পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্য। ] പസ്.സി.സ অশ্রুসিক্তচক্ষে—করুণার্জকণ্ঠে বলিলেন—“আর আমায় জালাসনে মা ! ধাবি আয়, উঠে আয়।" আমার আবেগউদ্বেলিত অন্তরের আর্তনাদ হাহাকার করিয়া মাতুক্রোড়ে বাপাইয়া পড়িল। আমি মার হাতের মধ্যে মুখ চাপিয়া কাদিতে কঁাদিতে বলিলাম-“তোমার পায়ে পড়ি মা ! আমি যদি তোমাদের জঞ্জাল হয়ে থাকি, আমায় এক ভরি-” “ছি ! ওকি কথা মা !”—ম আমাকে বুকের মধ্যে চাপিয়া ধরিলেন। বাবা তাহার প্রতিজ্ঞা রক্ষা করিলেন, তিনি আমার বিবাহের ব্যবস্থা করিয়া বাড়ী ফিরিলেন। .. আজ, বাবা দায়মুক্ত,-আজ আর আমি পিতৃগৃহের জঞ্জাল নহি । উঃ ! বাবা যে কতখানি নিরুপায় হুইয়া আমাকে এই-না, থাকৃ—আজ আর সে চিন্তা করিয়া লাভ কি ! 婚 পুনরায় তখন প্রবলবেগে বৃষ্টি পড়িতেছিল। বজ্ৰধ্বনিতে চমকিত হইয়। চিন্তাযুক্ত হইলাম। বহুক্ষণ নিষ্কৰ্ম্ম বসিয়া থাকিতে মনপ্রাণ অস্থির হইতে লাগিল। কোন একটা কিছু করিবার জন্য ইতস্তত অনুসন্ধান করিতে করিতে আমার মৃত সপত্নীর হাতবাক্সটির প্রতি দৃষ্টি পড়িল। ইচ্ছা হইল—আমার অ-দৃষ্ট, অপরিচিত "দিদিটির কোন স্মৃতিচিহ্ন তাহার মধ্যে আবদ্ধ আছে একবার দেখি। বাক্স উন্মুক্ত করিয়া তাহার প্রতি দ্রব্যটি সযত্নে দেখিতে লাগিলাম। বাক্সের সৰ্ব্ব নিম্নজলে দেখিলাম—একখানি খাতা । তাহার উপর লেখা আছে—শ্ৰীলক্ষ্মী দেবী । অকস্মাৎ বুকের মধ্যে কেমন করিয়া উঠিল,—না-জানি ইহার মধ্যে র্তাহার প্রাণের কোন গোপন কথা লুকায়িত আছে। ক্ষিপ্রহস্তে খাতার পাতা উলটাইয় তাহাতে লিখিত প্রথম ছত্র পাঠ করিয়াই আমার সর্বশরীর কঁপিয়া উঠিল। বাহিরে তখন অবিশ্রান্ত ধারাপাতে একটা প্রবল প্লাবনের স্বষ্টি করিয়াছিল । আমি সমস্ত বিশ্বত হইয়া একাগ্র চিত্তে পড়িতে লাগিলাম — “অশ্র” প্রথম বিন্দু - “—তবে মানুষের মূৰ্ত্তি দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলে حیبر বিদায়-বরণ "ماہ" "یہ" محی حیحم. ૧૧ાં কেন নিষ্ঠুর ঠাকুর । আজ জীবনের অকাল-সন্ধ্যার ধূসর অন্ধকার আমাকে পূর্ণগ্রাস করতে চতুর্দিক থেকে ঘনিয়ে আসছে। এখনি কোন অজ্ঞাত মুহূৰ্ত্তে জীবনের শেষ আলোকরশ্মিটুকু একটা ফুংকারে জন্মের মত নিভে যাবে,—বলদাতা, তবে কোন উদ্দেশ্যে এই ব্যর্থ জীবনের ভার বইতে মনুষ্যগর্ভে স্থান দিয়েছিলে ? এ তুৰ্ছ জীবনের আদি অন্ত একি নিফল রহস্তে পূর্ণ ক’রে দিলে ভগবান ! আমার জন্ম, -যেন একটা বিশ্বব্যাপী উদ্ধাপাতের পূর্ব আয়োজন। আজ বুঝি পৃথিবীর একাংশ বিষের আগুনে জলিয়ে পুড়িয়ে-পরপারের কোন নরককুণ্ডে নিক্ষিপ্ত হ'তে চলেছি। তাই হোক দয়াল ! তোমার এ কৌতুক-ক্রীড়ার নিবৃত্তি করে তোমার রাজ্যের স্বশাসনের স্ববিচারের অবসান করে' এ অপরাধিনীকে জন্মের মত জন্মাস্তরে নির্বাসিত করে দাও ধৰ্ম্মরাজ ! নইলে এ গুরুভার বুঝি আর বইতে পারব না। জীবনের এ-পারে ত বিচার হ’ল না। বিচার করবে কে ? মানুষ ? মানুষের সে ক্ষমতা, সে बिंकांब्रবুদ্ধিই যদি থাকবে, তবে আর দুঃখ কি ? যারা নিজের চক্ষুকে, নিজের অঙ্গকে বিশ্বাস করে না, যার সত্যকে সন্দেহ করে,—নিজের নীচতা, সঙ্কীর্ণতাকে অসত্যের আবরণে আবৃত করে', নিজের মহুত্বের মহিমা গেয়ে, নিজেই বড় হতে চায়—বিচার করবে সেই মাহুষ:? বিশেষতঃ এদেশের পুরুষ ? তা আজ পর্য্যস্ত হয়নি, আজও হ’ল না, আর হবেও না। হয়নি বলেই ত’ আমার মত কত অভাগী নিজের বিচার নিজেই করে শাস্তি দিয়েছে নিজের পাষাণ প্রাণকে, প্রতিশোধ নিয়েছে নিজের উপরই। কিন্তু কলঙ্ক রটেছে কেরো--- সিনের নামে, দোষারোপ হয়েছে সময় ও শিক্ষার উপর। বলিহারি বিচার আমাদের কৰ্ত্তাদের ! প্রাণ নিয়ে অবজ্ঞায় এমন তুচ্ছ ছিনিমিনি খেলা আর কোন দেশে আছে কিনা খুবই সন্দেহ হয়। বাবুরা বলছেন,— “তোমরা বেরিয়ে এস, তোমরা স্বাধীন, তোমরা আমাদের সমকক্ষ, কেননা তোমরাও মাহব।" চোঞ্চ - রাঁড়িয়ে বৰ্ত্তারা বলছেন—“খবরদার, এক পাও SAeAAASAAAA