পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] , ওটা যার দরকার হবে গাছতলা থেকে তুলে লেবে – তোমার কি বাজনা শুনতে ইচ্ছে কবৃছে ? —ই, একটা গাও না কিছু ! —দেখি এ কসমস্গুলোর কাছে নিশ্চয়ই কেউ কোন বাদ্যযন্ত্র রেখে গেছে। এই দেখো, একটা বীণ পাওয়া গেলো ! —তুলে নিলে যে, কা’র ওটা ? —কা’র কি ! এখানে সব জিনিষ যে প্রত্যেকের জিনিষ। বীণটা আমার দরকার হয়েছে আমি নিয়ে চয়ুম, বাজানো শেষ হলে কাউকে দিয়ে দেবো অথবা কোথাও রেখে যাব । - বীণ বাজুতে বাজাতে একটা ঘরের সাম্নে এসে দাড়ালুম—তার মেজেট লাল মাৰ্ব্বেলের, দেয়ালগুলো নীল কাঠের আর ছাদটা হীরের মত সাদা কাচের । ঘরের মধ্যে জাপানী-পোষাক-পরা এক যুবক এক ষ্টোভে গরম গরম বেগুনী ফুলুরী ভাজছে, আর লাল ভেলভেটের ফ্রক পরা এক খুকীকে মহানন্দে খাওয়াচ্ছে । আমি বল্লুম—কি স্বন্দর বেগুনীগুলো ভাজছে! —তোমার ভারি লোভ হচ্ছে ? এসো না কিছু খাওয়া যাক্ । —ন, নিশ্চয় পচা তেল । —কি, পচা ! অবাক করলে তুমি, সবপেয়েছির দেশের এতবড় অপমান কেউ কখনও করেনি। এখানকার সব জিনিষ তাজা, সব মানুষ চিরনবীন, সতেজ স্বাধীন— এসো তুমি । আমরা কাছে পৌছতেই জাপানীটি বল্পে—এসো বন্ধু, আমার ভাজা শেষ হয়েছে, তোমাদের কি আমি ভেজে দেবো ? তরুণী বন্ধে—ন, আজকে আমার নতুন বন্ধুকে আমি নিজ হাতেই ভেজে খাওঁয়াব। যুবক ও খুকীটি কয়েকখানি বেগুনী মহানন্দে খেতে খেতে চলে গেল । আমি বল্লুম-ও দোকান ak গেল কোথায় ? , - অয়ন্ধান্তমণিময় বঁটিতে নীলবেগুনগুলো ফাল করতে করতে বন্ধু হেসে বন্ধে—আহা তুমি তুলে যাও কেন, এ واستحدم 6ة সব পেয়েছির দেশে ᎼᎽ☾ AMMMMeAMeeAMASAMAMeAAAA দোকাঙ্গ যে সবাইয়ের দোকান, এখানে private property বলে কোন হাস্যকর জিনিষ নেই। আমাদের বেগুনী খাবার ইচ্ছে হলে, আমরা ভেজে খেয়ে গেলুম। তুমি কড়ায় তেলটা চড়াও অথবা বীণটা বাজাও, বেগুনী ভাজার সঙ্গে সঙ্গে তারের স্বর ভারি স্বন্দর শোনাবে। নিঃসঙ্কোচে বীণটা তুলে নিলুম এবং আশ্চর্যের বিষয় মন্দ বাজালুম না। জিজ্ঞাসা করলুম—এটা কি ইলেকটিক ষ্টোভ ? —ই, এটা অনেক শতাব্দীর আগেকার জিনিষ ; এখন সবচেয়ে নতুন রায়ার উন্থন হচ্ছে স্বৰ্য্যমণি—সে আরকিছু নয় একটা পাত্রে স্বর্ঘ্যের তেজ জমা করা হয়, তাব আগুনের শিখায় বেশ রান্না করা যায় ;– আর এই ষ্টেৈিভর ইলেক্ট সিটিও স্বর্য্যের আলো থেকে নেওয়া—না, মা, এx দেখছি বর্ষার জলধারা থেকে জমা করা। খুব আনন্দের সঙ্গে রান্না আর খাওয়া শেষ হলে, তারপর বন্ধু দক্ষিণ-হাওয়ার মুখে রাধুবার যন্ত্রটা কি রকম: কায়দা করে’ রাখলে । বল্লুম–ওটা কি হলো ? - —অনেকখানি ত আগুন খরচ কবুলুম, হাওয়া থেকে কিছু আগুন ওতে জমা হোক –রোসো জায়গাটা পরিষ্কার করে যাই । - ঘরের কোণ থেকে সোনার সরু কাটির গুচ্ছের মত একটা কাট৷ টেনে নিয়ে বন্ধু ভারি খুপি হয়ে সমস্ত ঘর বাট দিতে আরম্ভ করলে। দেখুলুম ঝাটার কাটিগুলি থেকে বিন্দু বিন্দু জল ঝরে মেজেটাকে ধুইয়ে দিচ্ছে, কোন ধুলো উঠুল না। বল্লুম–কাটাটা ত ভারি মজার। —আর ঝাট দিতেই কি মজা কম ? —বাস্তবিক ঝাট দিতে ভারি আনন্দ পাচ্ছে দেখছি । তোমরা পৃথিবীর ঐ কিনা, অসৌন্দৰ্য্য তোমাদের সয় না, . সব মলিনতা আপন হাতে নিৰ্ম্মল স্বন্দর করে তুলতে চাও। কিন্তু কাটার মুখটা যতক্ষণ মাটির বুকের দিকে থাকে ততক্ষণই ভাল, আকাশের দিকে উঠতে চাইলেই মুস্কিল হয় ।