পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] ഫ്രക്ഷപ്പക്ഷണഘങ്ങിനപ്പുഫ്ഫ് পাওয়া যায়, তাহা হইলে, সেইগুলি লইয়া অত বাড়াবাড়ি করার প্রয়োজন নাই। প্রয়োজন নাই বলি এই জন্ত, যে, ইহার প্রবর্তক মহাত্মা গান্ধী সৰ্ব্বদাই সমস্ত শক্তির সহিত হিংসার নিঙ্গা করিয়াছেন, এবং হিংসার প্রকাশ যেখানেই তিনি দেখিয়াছেন, নিজে দোষী না হইয়াও তাহার প্রায়শ্চিত্তের ভার স্বয়ং গ্রহণ করিয়াছেন। কোন স্থানেই ইহা প্রমাণ করা যায় নাই যে নিখিল ভারতীয় কংগ্রেস কমিটি, বা প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটি, বা তাহ অপেক্ষা নিম্নস্থানীয় কোন কংগ্রেস কমিটি পূৰ্ব্ব হইতে মংলব অঁাটিয়া কোনও স্থানে দাঙ্গা বা রক্তপাত ঘটাইয়াছেন। ইহা তুলিলে চলিবে না, যে, যদিও ভারতবর্ষে স্বাধীনতা লাভের আন্দোলন স্ববিশাল দেশব্যাপী, তবুও ইহার ভিতর হিংসার ভাব যত কম প্রকাশ পাইয়াছে, অন্য কোন অপেক্ষাকৃত জনবিরল ও ক্ষুদ্র দেশে এই ধরণের কোনও আন্দোলনে তত কম প্রকাশ পায় নাই। লর্ড পিটনকে আমরা ইহাও স্মরণ করাইয়া দিতে চাই, যে, কোন দলের কোন নেতাকেই মহাত্মা গান্ধী অপেক্ষা মানবপ্রেমিক বলিয়া কেহ মনে করে না। ভারতবর্ষে চরমপন্থীদের আবির্ভাবের পূৰ্ব্বেও ইংরেজ ও ভারতবর্ষীয় রাজনৈতিকগণ অনেক সময় তীব্র ভাষা ব্যবহার করিয়া আপনাদের অন্তঃকরণের বিদ্বেষের পরিচয় দিয়াছেন। উদাহরণস্বরূপ ইলবার্ট বিল লইয়া যে আন্দোলন হয় তখনকার এবং স্বদেশী আন্দোলনের সময়কার বহু সংবাদপত্রের লেখার এবং অনেকগুলি বক্তৃতার উল্লেখ করা যায়। যখন দমনমূলক গ্রেস আইন ( যাই। এখন উঠাইয় দেওয়া হইয়াছে ) প্ৰবৰ্ত্তিত করা হয়, তখন উহার যে প্রয়োজন আছে তাহা বুঝাইবার জন্য অনেক দেশীয় সংবাদপত্র হইতে নানাস্থান হইতে মন্তব্য উক্ত করিয়া দেখান হয়। লণ্ড লিটন যদি মনোযোগ পূৰ্ব্বক সেই উদ্ধৃত অংশগুলি পাঠ করেন, তাহা হইলে দেখিতে পাইবেন, যে, উদ্ধারকারী সরকারী আমূলার দল নরম এবং চরম কোন দলের কাগজকেই অনুগ্রহ হইতে বঞ্চিত করেন নাই ; দুই দলের কাগজ হইতেই উছারা উত্তেজনা ও বিদ্বেষপূর্ণ লেখা সংগ্ৰহ করিতে পারিয়াছিলেন। ভারতবাসীরা সবাই মুনি ঋষি বিবিধ প্রসঙ্গ—স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বৃহৎ ব্রিটিশ লাঠির যুক্তি ఇసెసి ASAAeeA AMAMMeMAMMM MMMA SAMAMA AMAAA AAAASASASS নয়, তাহাদের হৃদয় কেবলমাত্র ভালবাসারই অ্যকর নয়। এবিষয়ে লাট-সাহেবের স্বদেশবাসীরা যে কিছুমাত্র শ্রেষ্ঠ তাঙ্গ মনে করিবারও কারণ নাই। তিনি যে দুই প্রকারের স্বরাজের উল্লেখ করিয়াছেন, তাহার ভিতর প্রথমটিকে কার্ধ্যে পরিণত কবিবার জন্য তিনি স্বীয় স্বদেশবাসীর সহায়তা প্রার্থনা করিয়াছেন। যথা – I rely on the assistance of your Association in working out the first of these two policies which I have described and in advancing in close friendship and co-operation with Indians towards the attainment of constitutional self-government for India. আমরা কি-আশা করিতে পারি, যে, ভবিষ্যতে র্তাহীদের মধ্যে আর কেহ তাঙ্গর জাতভাইদিগকে আমাদিগের প্রতি ভালবাসা বশতঃ দাত গিচাইতে অনুরোধ করিবেন না ? একজন এমন অতুরোধ অল্পদিন আগে করিয়াছিলেন । ইংরেজের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ না করিয়াও ভারতবাসী সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আকাজ করিতে পারে। বর্তমানে ভারতবর্ষে ইংরেজ-শাসন যেমন আছে, ভবিষ্যতে যদি তাহার অপেক্ষ অনেক উৎকৃষ্টও হয়, তাহা হইলেও আদর্শকামী এমন ভারতবাসী দেখা ধাইবে যাহার ইংরেজের প্রতি বিদ্বেষের বশবর্তী না হইয়াও সম্পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করিতে চাওয়াটা অন্যায় মনে করিবেন না। ভারতবর্ষ সম্পূর্ণ স্বাধীনতা পাইলে তাহাতে ইংরেজ ও ভারতবাসী উভয়েরই মঙ্গল । লর্ড লিটন হয়ত ইহা বুঝিবেন না, কিন্তু ইহা সত্য কথ। অন্তদেশ শাসন করিলে, ও উন্থীকে কেবলমাত্র আত্মস্থবিধার জন্য ব্যবহার করিলে, জাতীয় চরিত্রের অধোগতি হয় । আমরা ইংরেজী ইতিহাস পড়িয়া এবং ইংরেজচরিত্র অনুশীলন করিয়া ইহাই বুঝিয়াছি, যে, যদি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সকল অংশ সম্পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করিয়া পরস্পরের সহিত অনান্ত স্বাধীন দেশের মতন সখ্যস্থত্রে আবদ্ধ হয়, তা হইলে ইংরেজচরিত্রের যথেষ্ট উন্নতি হইতে পারে। তখন পরিবর্তনের কিছুকাল কাটাইয়া উঠিলেই ইংরেজ বুঝিতে পারবেন, যে, ইহাতে উহাদের মারাত্মক আর্থিক ক্ষতি হইবারও সম্ভাবনা নাই। স্বাধীন ঐশ্বৰ্যশালী বন্ধুভাবাপন্ন ভারতের সহিত বাণিজ্যে.