পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిy'R প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩২৯ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড MM MMeeMMAMeMA SMMMM MMM AAJMM AM MAM MMeMMAM MAMA SAMMAMAM AM AMM MMSJAMJJAMMAMAMJMS MSAAAA AAAA AAAAM eMAAA AAASA SAASAASSAAAAAAM AMMAM AAAA AAAA AAAA SAAAAA ASAAAS A SA AAAAAS S ASM MAAAS AAAA S কল্পিত। নানা'রকমের দামী উপহার অভ্যাগতদের দেওয়া হইত। তবে তাহা একেবারে নিঃস্বার্থ দান হইত না । ভবিষ্টতে প্রতিদানের আশাতেই এত দান করা হইত। এই রকম ভোজে অনেক সময় মাওরি রাজনৈতিক বৈঠক বসিত। তখন সর্দারের দাড়াইয়া দাড়ি জ্বলাইয়া, নানা প্রকার অঙ্গভঙ্গী করিয়া লম্বা লম্বা বক্তৃতা করিত। ভোজে নানাপ্রকার নাচ হইত। স্ত্রী পুরুষ একসঙ্গেও নাচিত, তফাতে তফাতেও মাচিত। নাচের পা ফেলার কায়দা আশ্চর্ষ্য ছিল। কোন রকমে একটু তাল ভুল হইত না। নাচ দেখিতেও খুব ভাল ছিল। নাচের সঙ্গে সঙ্গে গান চলিত । নানা প্রকার অভিনয় নাচের সঙ্গে সঙ্গে,চলিত । সন্ধ্যা বেলায় গ্রামের যুবক-যুবতীরা "হাকা" বা নাচের গান করিতে করিতে নাচিত। নানা রকমের ফুল এবং পালক পরিয়া সকলে দল বাধিয়া বসিত, তাহার পর স্বকণ্ঠ এবং স্ব-কণ্ঠীরা গান ধরিলে বাকি সকলে নাচ সুরু করিত। এক সময় মাওরিরা নরখাদক ছিল। তাহারা যুদ্ধে ৰক্ষ্মী হত্যা করিয়া থাইত । ইহাতে শত্রুপক্ষকে নাকি ভয়ানক অপমান করা হইত। মেয়ের প্রায়ই এই হত্যা ব্যাপারে যোগ দিত না বা নরমাংস ভক্ষণ করিত না । তবে প্রধান-মহিলাকে যোগ দিতেই হইত। শত্রুপক্ষ যুদ্ধে বিপক্ষদলের কেল্লায় গরম পাথর ছুড়িয়া জাগুন ধরাইয়া দিতে চেষ্টা করিত। মেয়েরা এই সময় জলপাত্র লইয়া তৈরী থাকিত, কোথাও আগুন ধরিলে জল ঢালিয়া নিবাইয়া দিত। তবে সময় এবং স্থবিধা হইলে নারীদিগকে যুদ্ধস্থান হইতে দূরে পাঠাইয় দেওয়া হইত । যুদ্ধে কোন নারীর যদি কোন আত্মীয় নিহত হইত, তবে সে বন্দীদের মধ্য হইতে যাহাকে ইচ্ছা তাহাকে হত্য করিতে পাইত। ইহাতে নিহত ব্যক্তির আত্মার পরম আনন্দ লাভ হইত। একবার একজন সর্দার যুদ্ধে নিহত হয় । তাহার স্ত্রী নিজহাতে ১৬ জন বন্দীর মাথা কাটিয়া ফেলে ! বিবাহ ব্যাপারে পুরোহিতদের কোন হাত ছিল না। ৰালিকাণের যথেষ্ট স্বাধীনতা ছিল । বিবাহিত স্ত্রীলোক স্বামীর কাছে কোনদিন অবিশ্বাসিনী হইবে না, লোকের এই রকম ধারণা ছিল। সৰ্গারেরা বহুবিবাহ করিত। লোকে অনেক সময়ে দাসীদের বিবাহ করিত। তাহাতে লজ্জার কোন কারণ ছিল না। কিন্তু কোন নারী যদি কোন দাসকে বিবাহ করিত তবে তাহ বড়ই লজ্জার কথা হইত। বিবাহে নারীর অবস্থার বিশেষ কোন পরিবর্তন হইত না । অনেক সময় পুরুষ বড়-ঘরে বিবাহ করিয়া বড় হইত। নারীরা যেমন ঘরের মেয়ে সেই ঘরেই বিবাহিত হইত। মেয়েরা নিজের দলের বা জাতির কাহাকেও বিবাহ করিত। অন্ত দলে বা জাতির কাহাকে বিবাহ করিতে হইলে উভয় জাতির মত দরকার হইত। ভাৰী স্ত্রীর ভ্রাতাদের খুব তোয়াজ করিতে হইত। বিবাহের প্রকৃষ্ট উপায় ছিল, কন্যার ঘর হইতে কস্তাকে ছিনাইয়া লইয়া যাওয়া। অনেক সময় ছিনাইবার প্রয়োজন না থাকিলেও লোক-দেখানি ছিনাইয়া লইয়া যাওয়া হইত। অনেক সময় এই গোলমালে বেচারী কন্যা মারা যাইত। অনেক সময় কস্তার পিতা বিবাহে ইচ্ছুক পাত্রকে কন্যার সঙ্গে আসিয়া বাস করিতে বলিত। বর তখন কন্যার ঘরে আসিয়া কন্যার জাতির লোক হইয়া যাইত। যে কোন উপায়েই হোক কন্যাকে পুরুষ আপন ঘরে একবার লইতে পারিলেই বিবাহ হইয়া যাইত। অার কোন গোলমাল হইত না । শ্ৰী হেমন্ত চট্টোপাধ্যায় হাউস অফ লর্ডসের প্রথম নারী সভ্য ভাইকাউন্টেস রোও ইংলণ্ডের হাউস অব লর্ডসের প্রথম নারী সভ্য। ইনিই সৰ্ব্বপ্রথম হাউস্ অব লর্ডসে পুরুষ ও নারীর সম-অধিকার নীতির প্রতিষ্ঠা করেন। ইংলণ্ডের অনেক সম্পাদকের অভিমতে নারী যদি হাউস অব কমন্সের সভ্য হইতে পারেন, তবে হাউস্ অব লর্ডসে বলিতে র্তাহাদিগকে কেহ ঠেকাইতে পারিবে না। এখন সৰ্ব্বসমেত ২৪ জন পিয়ারেস্ হাউস অব লর্ডসে আসন দাবী করিতে পারেন। ং হেমপ্ত %