পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS S S S S S S S S S AAAA S S S AAAA S S S S S S S S S S S S S S S S S S কারণ আরওঁ অনেক প্রমাণ আছে। সেখান হইতে দেব দেবী ও পূজা-পদ্ধতি আসা খুবই স্বাভাবিক। আরও অনেক প্রমাণ মিলিবার স্বত্র আছে । বাংলা দেশের শিব-পূজাতে হিমালয়ের শিবও আছেন, দক্ষিণ দেশের শিবও আছেন। দেবীর মধ্যে উত্তরের দেবী ও শক্তি আছেন, দক্ষিণ দেশের গ্রাম-দেবীও আছেন। বাংলা দেশে প্রচলিত বহু তন্ত্র রাবণ-প্রোক্ত । রসায়ন ও চিকিৎসা গ্রন্থের তন্ত্রাংশগুলি রাবণ-প্রোক্ত ও দক্ষিণ-বিদ্যা বলিয়া খ্যাত । আমাদের মঙ্গলকাব্যের গল্পগুলির সব যোগ দক্ষিণ দেশের সঙ্গে। শ্ৰীমন্ত গেলেন দক্ষিণে সিংহলে । ধনপতি গেলেন সিংহলে । কমলে কামিনী দর্শন দক্ষিণে। বিদ্যাস্বন্দরের সুন্দর কাঞ্চীপুর হইতে আসিলেন ; তার চোরপঞ্চাশং চোল কবির পঞ্চাশটি স্তব শ্লোক। রায়মঙ্গল শীতলামঙ্গল ও মনসামঙ্গলেও দক্ষিণের সম্পর্ক প্রবল । আমাদের গল্পগুলি বরাবর কলিঙ্গ,"দ্রবিড় বাহিয়া সিংহল তক গিয়াছে। গঙ্গা বাহিয়া বড় যায় নাই। এসব দেখিবার মত, ভাবিবার মত বিযয় । সমস্ত উত্তর ভারতের মেয়েদের আঁচল ডীন কাঁধের উপর ফেলা হয়। তামিল তেলেগু প্রভৃতি দেশেব মেয়েদের আঁচল বাম কাধের উপর ফেলা হয় । বাংলা দেশের নারীরা উত্তর ভারতে থাকিয়াও উত্তর ভারতের স্ত্রীদের মত আঁচল ডানদিকে ফেলেন না, বা কাধে ফেলেন । ইহা সীমান্ত কথা নয়। বেশভূষাতেও অন্ধ দেশের নারীর সঙ্গে বাংলার নারীর বেশী যোগ । উভয়েই জামা পরিতে অভ্যস্ত নহেন এবং দেহ প্রায় অনাবৃতই থাকে। উত্তর ভারতের নারীর এই রীতি নয়। প্রাচীন ংস্কৃত কবিরাও অন্তু, নারীর আবরণহীনতার কথা বার বার উল্লেখ করিয়াছেন । বাংলায় নারীদের খোপ। দক্ষিণের প্রণালীতেই বাধা (দ্বিজ বংশীদাস–পদ্মাপুরাণ, ২৮৯ পৃষ্ঠা ) । - পুরুষের বেশেও দেখি উভয় দেশেই না আছে পাগড়ী, না আছে জুতা। অবশু সভ্যতার সংস্পর্শে উভয় দেশেই কিছু পরিবর্তন ঘটিয়াছে । তবে প্রাকৃত অবস্থাটা একরূপই । - MS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড ঢোল ও কাশীর সঙ্গে সানাই উত্তর ভারতে কোথাও নাই, অথচ তৈলঙ্গ তামিল দেশে ইহাই জাতীয় বাজনা। কাশীতে বাংলা দেশের “ঢোল ও সানাই” বাদ্য নাই । মান্দ্রাজ দেশের নাটকোটের শ্রেষ্ঠীদের নিত্য পূজা যখন রাত্রিতে বিশ্বনাথ-মন্দিরে যায় তখন সে বাজনা শুনিয়া বাঙ্গালীর কান জুড়ায়। উত্তর ভারতের সানাইর খুব চমৎকার একটি কেমন মুক্ত স্বর। কিন্তু বাংলায় সানাইর ধরণ তৈলঙ্গের সানাইর মত। তাই বাংলার সানাইর আওয়াজকে ও সে দেশে তেলেঙ্গ আওয়া স্ব বলে ( দ্রষ্টব্য দ্বিজ বংশীদাস–পদ্মাপুরাণ, ২৭৪ পৃষ্ঠা ) । এইরূপ যে দিক দিয়া দেখা যায় দেখিতে পাই বাংলার সঙ্গে দক্ষিণের অতি ঘনিষ্ঠ যোগ । তারপর মনসার সঙ্গে শিবের ঝগড়া ও লখিন্দরের লোহার বাসরের মত গল্প প্রবিড় দেশীয় মনসাপূজকদের কাছে কাশীতে শুনিয়াছি, খোজ করিলে মিলিবে । বিশপ হোয়াইটহেডের গ্রন্থেও একটি গল্প আছে। বিশপ মহাশয় বলেন যে তৈলঙ্গ উপকূলে এক পূজারীর কাছে এক প্রাচীন তালপাতার পুথী পান। তাতে দেবী অশ্মবিরু বা অঙ্কাম্মার গল্প আছে । তাহাতে আছে—শিব-স্বষ্টির. ব্রাহ্মণ-স্বষ্টির, জল ও জ্যোতি ও যুগ স্বষ্টির পূৰ্ব্বে দেবী অম্মাসরু ছিলেন। তিনি তিনটি অণ্ড প্রসব করিলেন। প্রথমটি নষ্ট হইল ; দ্বিতীয়টি বায়ুতে পূর্ণ ( বাংলাতে বাওয়া ডিম-ব্যর্থ ডিম্ব ) ; তৃতীয়টিতে ব্ৰহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর হইলেন, পৃথিবী অন্তরীক্ষ হইল। দেবী দেবতা তিনটিকে পালন করিয়া তিনটি পুর তাদের দিলেন। দেবী নিজের পুর তাম পিতল সোনা দিয়া বেষ্টিত করিলেন। তাতে ধোপা নাপিত কুম্ভকার বাস করিল। দেবী শুনিলেন যে তিন রাজা ব্ৰহ্ম বিষ্ণু শিব তার পূজায় অবহেলা করিতেছেন। বিশেষ, শিব তাকে অবজ্ঞা করায় তার ক্রোধের সীমা রহিল না। তার উপর শিবের আদেশে তার ভূত্য অন্মাবকর নগরে গিয়া আবার র্তাকে গালি দেন। দেবী শুনিয়া আগুন হইলেন। তিনি এক হাতে মৃগ, এক হাতে শঙ্খ, এক হাতে ড়িfগুম ও নাগের উপবীত গলাম দিয়া এক সভা ডার্কাইয়া বলিলেন