পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్రీసి {3 graphical Notes on Southern India—Thurston, p. 287.’) পূর্ববঙ্গেও প্রায় প্রতি প্রাচীন ধরণের বাড়ীতে এইরূপ কয়েকটি গাছ লইয়া মনস-খোলা রাখার রীত্তি আছে। খোলা অর্থ যেখানে জঙ্গল গাছ কাটিয়া একটু श्रूङ्खांश्श्रे। ब्रिां श्विांश्, ब१छ बनश्श्रेडिब्र छ्ांश्च।। ८ब* আছে। বরিশাল, চাদপুর, নোয়াখালী, ফরিদপুর, ঢাকা প্রভৃতি অঞ্চলে বিস্তর এরূপ মনসা-খোলা আছে। তারপর বাংলায় টাদসদাগরের মুখে মনসার নাম ( অবশু অবজ্ঞার অর্থে) দেখিতে পাই “চেংমুড়ী"। চাদসাগর চেংমুড়ী কাণী” ছাড়া মনসাকে বড় অন্ত নামে অভিহিতই করেন নাই। সেদিন প্রাচীন আয়ুৰ্ব্বেদীয় বনৌষধির নামের নানা দেশীয় প্রতিশব্দ খুজিতে খুজিতে হঠাৎ দেখিলাম মনসাগাছেরই তেলঙ্গ নাম "চেংমুডু" (ভাবপ্রকাশ, ভাবমিশ্র বিরচিত, কলুটোলা সংস্করণ, পূর্ব খণ্ড, প্রথম ভাগ,— গুড়চ্যাদি বর্গ, ৭৫,৭৬ শ্লোক, অম্বুবাদ টক) ( দেবেন্দ্রনাথ ও উপেন্দ্রনাথ সেনের দ্রব্যগুণ ১৬৪ পৃষ্ঠ) । তে েও বর্তমান অভিধানে আছে "চেমুডু" বা "জেমুডু" শব্দ। এই শব্দটি পাইয়া আমার ধোকা আরও অনেকটা কাটিয়া গেল। মনসা নাম পূৰ্ব্বেষ্ট পাই য়াছিলাম—“মন্‌চ অন্মা" বা “মনসা অন্মা" অর্থাৎ মনসা মাত । শিব ও মনসার ঝগড়ার গল্প পাইলাম। পূজার পদ্ধতির ঐক্য পাইলাম। মন্‌স-খোলা রাখার নিয়মের সাম্য পাইলাম। মনসগাছ যাহাতে মনসা দেবীর পূজা হয় তাহার নামটিও পাইলাম “চেংমুডু" বা “চেংমুী"। বাংলাতে “চেংমুড়ী" কথাটির মানে হয় না। তখন সকলে মনে করিলেন “চ্যাং" অর্থাৎ “লেঠা” মাছের মত মাথা যার সেই মনসা দেবী। বাংলার মনসা-ভাসানলেখকরাও তখন দক্ষিণ হইতে এই পূজার আলিবার ইতিহাস ভুলিয়া গিয়াছেন। এখন মনসারই নাম "চেংমুড়ু’’ পাইয়া আগাগোড়া সবটা স্বসঙ্গত হইয়া গেল। জাবার তা ছাড়া চাদসদাগর যে বাংলার লোক নছেন তাহার প্রমাণ ষে বহু জেলাই তাহাকে দাবী করিতে চায়। তার নির্দিষ্ট কোনো স্থান নাই। ত্রিপুর জেলায়. বর্ধমানের চম্পকনগরে, ধুবড়ীতে, বগুড়া জেলায় মহাস্থানে, প্রবাসী—আবাঢ়, ১৩২৯ [ २२° छां★, »म थ७ দিনাজপুরের সনকাগ্রামে, ত্ৰিবেণীতে, ইহা ছাড়া ৰিহারের বহু তীর্থে ও জারও অনেক জায়গায় টাদসাগরের বাড়ী আছে। এর গোলমাল দেখিয়া ঐযুত দীনেশচন্দ্র সেন মহাশয়ও স্বীকার করিতে বাধ্য হইয়াছেন যে চাদসাগর নামে কেহ ছিলেন না, গল্পটি কল্পনামূলক। বেহুল পরম সতী হইলেও বাঙালী নববধূর সঙ্গে তার কিছু প্রভেদ দেখিতেছি। বিবাহ হইতেই তার একটু স্বাধীন নির্ভীকতা ও আত্মশক্তির পরিচয় পাইতেছি। তিনি নৃত্যগীতনিপুণ। সমুদ্র বাহিয়া দক্ষিণ দিকে দেবপুরীতে যখন डिनि जशैौमब्रटक लद्देब्रा शाहेरङ थखङ डशन डॉहे বলিতেছেন—“কেমনে ছাড়িয়া দিমু সাগর ভিতরে। বিষম সাগরের ঢেউ তোলপাড় করে ”— নারায়ণ দেব কৃত পদ্মাপুরাণ। কিন্তু বেহুলা নিৰ্ভীক। "অমাবরু" যেমন দেব পুরীতে গিয়াছেন বেহুল, মনসা, এমন কি মনসার মাতা চণ্ডীও ক্রুদ্ধ হইয়া নিজ দাবী সাব্যস্ত করিতে দেবপুরীতে যান। “অন্মাবরু"র সঙ্গে মনসার মাতা চওঁীর বেশী মিল। আসলে চণ্ডী অন্মাবক্রর স্থায় গ্রামদেবী। তারই পরবর্তী আমদানী যেসব দক্ষিণের দেবী, মনসা তার অন্ততম। কাজেই মনসা চণ্ডীর কন্যা একেবারে যুক্তিহীন নয়। বিজয় গুপ্তের ও অন্তান্ত মনসার কথা লেখকের পুস্তকেও দেখিতে থাই যে চওঁী শিবের পত্নী হইলেও মনসাকে লইয়া বড় গোল লাগিয়া গিয়াছে। শিব চওঁীকে স্বীকার করিলেও মনসার দায়িত্ব গ্রহণ করিতে নারাজ। তাই মনসার বিবাহ চণ্ডী নিজেই দিতেছেন। . শিব সেখানে নাই। ইহা লইয়া বহু ঝগড়া চলিতেছে। কাজেই তখন চণ্ডী যদিও গোলেমালে পাৰ্ব্বতীর স্থান লইয়াছেন তবু মনসার স্থান হইতেছে না। তবে চণ্ডীকাব্যে দেখি চওঁীও ভাল করিয়া গৃহীত হইতে পারিতেছেন না। আর বেহুলাও কলিঙ্গ দেবীর কাছে কলিঙ্গ বালিকার মত স্বাধীনতা ও তেজ লাভ করিয়াছেন। তার মধ্যে রসবোধচুকুও বেশ আছে। লখীন্দরকে জিয়াইয়া ডোম ও ডোমকস্তার বেশে শ্বশুর-বাড়ী যাওয়ায় তাহার প্রমাণ । আর জন্মাবরকেও দেখি নীচ জাতীয়া কঙ্কা সাজিয়া অপূৰ্ব্ব চুপত্নী লইয়া বেচাকেনায় বাহির হইয়াছেন।