পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8లీ షి छेङtप्रब्रहे छंना श्नि । उोहे क्रिशांद्रौदभांश्नब्र कांटछ् আপনার উচ্চাকাঙ্খার কথা জানাতে মোহিনীমোহনের একটা প্রচও লজ্জা ছিল, আর মোহিনীমোহনের কাছে আপনার দুরাশার কথা জানাতে কিশোরীমোহনের ছিল রিষম ভয় । কারণ পিতার বিষযে তার এখনও কোনো অধিকার জন্মায়নি। পুত্র পিতাকে এবং পিষ্ঠ পুত্রকে আপন আপন প্রাণের কথা লুকাবার আগ্রহে বাড়ীর আর কাউকেও বলতে সাহস পেতেন না। স্বামী যে একটা বিরাট ব্যাপার নিয়ে মহা ব্যস্ত একথা ইন্দিরার জানতে বাকি ছিল না। খবরের কাগজ, বাড়ীর প্ল্যান, পথ-ঘাটের নক্সা, আর হাজার রকম খসড়া নিয়ে কিশোরীমোহন সৰ্ব্বদাই মগ্ন, কিন্তু ইন্দিরার চোখের সামনে সব থাকৃলেও ইন্দিরাকে সে কোন কথা বলত না। ইন্দিরাও জিজ্ঞাসা করত না। কারণ সে-সব ত বাবুদের কথা । কিন্তু তবু দরিদ্রের মেয়ে ইন্দিরার নীহাটির এত সম্পদের চেয়ে বেশী লোভ ছিল ওই ছেড়া খাতা আর কাগজের কথাগুলোর উপরেই। তার স্বামীর সম্পদ ত সকলেই দেখছে কিন্তু স্বামীর মন জুড়ে যে জল্পনা-কল্পনা দিবীরাত্রি চলেছে, যার কথা দশজনে জানে না, সেইটা স্বামীর মুখের কথায় উপহার পেতেই তার ছিল সবচেয়ে আগ্রহ । এমন সময় এক নূতন পরিবর্তন দেখা গেল। অতীতের মধ্যে পিতৃগৃহের স্মৃতি চাপা দিয়ে ফেলবার চেষ্টায় ইন্দির যখন সমগ্র মনটা নিয়োগ করছিল সেই সময় তার বড় ভাই শীর্ণ দেহ আর জীর্ণ বেশের উপর একমুখ হালি নিয়ে এসে হাজির। বিবাহের সময় ইন্দিরা তাকে যেমন দেখে এসেছিল, আজ তাকে তেমন মোটেই মনে হল না। তার সে উজ্জল স্বন্দর চোখের আলো আজ নিভে গেছে, দুই চোখে আছে শুধু ভিক্ষুকের নিল্পজ দীনতা । তার দীর্ঘ কৃশ তরুণ দেহঘষ্টি আজ অভাবের নিষ্পেষণে শুকনো আখের মত নীরস কঙ্কাল মাত্র, তার মুখের সলঙ্গ হাসি চাটুকারের বাক্যচ্ছটার মত প্ৰগলভ । ইন্দিরা ভাইকে এতকাল পরে দেখে খুলী হবে কি, লজ্জায় তার কান্না আসছিল। ভস্মঢাকা আগুনের মত যার বালমুখের দীপ্তি এতদিন তাদের প্রবাসী—আষাঢ়, Sలిషిని SAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA MMe AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAMAAA AAAA SAAAA AAAA AAAA M S SSMM MMAAA SAAAAAS AAAAA SAMMMAMAMAeM AMAMAAAA [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড تعییت ح۶یی حییم یحیی ۹ কুঁড়ে ঘর আলো করে রেখেছিল, দারিদ্র্যের তাড়ন। আর ঐশ্বর্ধ্যের লোভ যে তার এমন বিকার করেছে তা ইন্দির একদৃষ্টিতে বুঝে নিল। বালকের কল্পলোক তার অনন্ত ঐশ্বধ্য নিয়ে যৌবনের আগমনে বিদায় নিয়েছে। অনুপম ভগিনীর এতদিনের অবহেলার জন্য তাকে অমুযোগ করলে, বড়ঘরে মেয়ের বিবাহ দিয়ে পিতামাতার স্বথের পরিবর্তে দুঃখই যে বেশী হয়েছে তাও বললে। সে বললে, “গরীবের ঘরে যদি তোর বিয়ে হত তবে আর কিছু লাভ হোক অার না হোক যে রক্তে জন্মেছিস সে রক্তের টান এমন করে কাটাতে পারতি না । শেষকালে চিঠি লেখাও বন্ধ করলি! তুই স্বখে আছিস্ স্বখে থাক, না-হয় রাপ-মার দুঃখ না ঘুচাতে চাল নাই ঘুচালি, কিন্তু একবার কি মনেও করতে নেই ?” ইন্দির বললে, “দাদ মনের কথাও কি তোমরা টের পাও ?” অনুপম বললে, “মনে কি মানুষে শুধু মনে মনেই করে ?” ইন্দিরা বললে, “মানুষে না করতে পারে, কিন্তু মেয়েমানুষকে তাই করতে হয়।” - অনুপম বোনের সে কথা হেসে উড়িয়ে দিল, বললে, “আচ্ছা, মেয়েমানুষকে যা করতে হয়, তাই নাহয় কর । এতখানি পথ এলুম, মানুষটার তেষ্টা পেয়েছে কি না তাও কি একবার খোজ নিতে নেই।” ইন্দির রূপার গেলাসে জল এনে ধরল। অনুপম বললে “ইন্দির, বড়মানুষের বাড়ীতে কি রূপার গেলাস দেখেই পেট ভরে ?” ইন্দির হাসলে আর বললে, “আমায় বল্‌ছ কেন ? আমি ত তোমারি বোন ।” অনুপমের আসা-যাওয়া চলতে লাগল। বোনকে নূতন করে আত্মীয়তার বন্ধনে বধিবার চেষ্টাটা সফল হল তার অন্ত দিক দিয়ে। সে কিশোরীমোহনের স্কনজরে পড়ে গেল। স্বতরাং ভগ্নী শুধু মনে মনে তাকে চাইলেও ভগ্নীপতির দৌলছে তার আদিত চাওয়ার বিশেয অভাব হত না । অনুপমের ত্বাত্মীয়তার তলে তলে যে অভিলাষ