পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6:38 AeeSeeAMMMMA AAMAMA AMAMAMAMAMAAAA প্রবাসী—ঙ্গাৰণ, ১৩২৯ [ २२* छां★, »थ थ७ উমারাণী বলন্ত পড়ে গিয়েচে না 7 দখিন হাওয়া এলে শীতকে তাড়িয়ে দিচ্ছে। আকাশ এমন নীল, যে মনে হচ্চে, উড়ন্ত চিলগুলোর ডানায় নীল রং লেগে যাবে। এই সময় আমার তার কথা বড় মনে পড়ে। তার কথাই বলবো । মেডিকেল কলেজ থেকে বার হয়ে প্রথম দিন কতক গবর্ণমেণ্টের চাকরী নেবার বৃথা চেষ্টা করবার পর যে মালে আমি একটা চা-বাগানের ডাক্তারী নিয়ে গৌহাটীতে চ'লে গেলুম, সেই মাসেই আমার ছোট বোন শৈল তার শ্বশুর-বাড়ীতে কলেরা হয়ে মারা গেল। এই শৈলকে আমি বড় ভালবাস্তুম, আমার অন্যান্ত বোনেদের সঙ্গে ছেলেবেলায় অনেক মারামারি করেছি, কিন্তু শৈলর গায়ে আমি কোনোদিন হাত তুলিনি। শৈলর বিয়ে হয়েছিল যশোর জেলার একটা পাড়াগায়ে । শৈল কখনো সে গ্রামে যায় নি, তার স্বামী তাকে নিয়ে কলকাতায় বাসা করে থাকৃতে । তার স্বামী প্রথমে পাটের দালালী করতো, তার পর একটা অফিসে ইদানীং কি চাকরী করতো। যেখানে শৈলর স্বামী বাস করেছিল, তার পাশেই আমার মামার বাড়ী,—একটা গলির এপার ওপার । এই বাসায় ওরা শৈলর বিয়ের অনেক আগে থেকেই ছিল এবং শৈলর বিয়েও মামার বাড়ী থেকেই হয়। s সেদিন সন্ধ্যার কিছু আগে বাগানের ম্যানেজারের ংলা থেকে একটা ঘা ড্রেস ক’রে ফিরছি, পিওন খানকতক চিঠি আমার হাতে দিয়ে গেল। আমার বাসায় ফিরে এসে তারি একখানাতে শৈলর মৃত্যুসংবাদ পেলুম। বাংলার চারি পাশের ঝাউ কৃষ্ণচূড়া ও সরল গাছগুলো সন্ধ্যার বাতালে সৰু সন্‌ করছিল । আমার চোখের সামনের সমস্ত চা-বাগানট, দূরের ঢালু পাহাড়ের গাটা, মারঘেরিটা ২নং বাগানের ম্যানেজারের বাংলার সাদা রংট, দেখতে দেখতে সবগুলো মিলে একটা জমাট অন্ধকার পাকিয়ে তুললে । আলো জালিয়ে চুপ ক’রে ঘরের মধ্যে বসে রইলুম। বাইরের হাওয়া খোলা ছার জানাল দিয়ে ঘৰে ঢুকতে লাগলো। অনেক দিনের শৈল যে ! কলিকাতা থেকে ছুটি পেয়ে যখন বাড়ী খেতুম, শৈল বেচারী জামায় তৃপ্তি দেবার পন্থা খুজে ব্যাকুল হয়ে পড়তো। কোথায় কুল, কোথায় কাচা তেঁতুল, কার গাছে কবেল পেকেছে, আমি বাড়ী তাসবার আগেই শৈল এসব ঠিক ক’রে রাখতো ; নানা রকম মসলা তৈরী ক’রে কাগজে কাগজে মুড়ে রেখে দিত ; আমি বাড়ী গেলেই তার আনন্দজড়ানো ব্যস্ততা আর ছুটাছুটির আর অগ্ন থাকৃতে না । গ্রীষ্মের ছুটতে আমি বাড়ী গেলে আমায় বেলের সরবৎ খাওয়াবার জন্তে পরের গাছে বেল চুরি কর্ভে গিয়ে ঘরের পরের কত অপমান সে সহ করেচে ; আমারই জুতো বুনে দেবে বলে তার উলবোন শেখা। সেই শৈল তো আজকের নয়, যতদুর দৃষ্টি যায় পিছন ফিরে চেয়ে দেখলুম কত ঘটনার সঙ্গে কত তুচ্ছ মুখ-দুঃখের স্থতির সঙ্গে শৈল জড়ানো রয়েচে । কত খেলা-ধূলোয় সে আজ ঐ আকাশের মাঝখানকার জলজলে সপ্তর্বিমণ্ডলের মত দূরের হয়ে গেল, ঝাউ-গাছের ডাল-পালার মধ্যেকার ঐ বাতাসের শব্দের মতই ধরা-ছোয়ার বাইরে চলে গেল ! তার পরদিন ছুটি নিয়ে দেশে চলে গেলুম। বাড়ীর সকলকে সান্ধন দিলুম। আহ, দেখুলুম আমার ভগ্নীপতি বেচার বড় আঘাত পেয়েছে । শৈলর বিয়ে হয়েছিল এই মোটে তিন বৎসর, এই সময়ের মধ্যেই সে বেচার শৈলকে বড় ভালবেসে ফেলেছিল । তাকে অনেক বোঝাবার চেষ্টা কবুলুম। শৈল প্রথম বুনতে শিখেই আমার ভগ্নীপতির জন্তে একটা গলাবন্ধ বুনছিল, সেটা আধ-তৈরী অবস্থায় পড়ে আছে, ভগ্নীপতি সেইটে আমার কাছে দেখাতে নিয়ে এল । সেইটে দেখে আমার মনের মধ্যে কেমন একটু হিংসে হোলে, আমার জুতো বুনে cनदांब्र बरछ ऐज बृन्ड निरर्ष cभएष क्मि निरखब्र স্বামীর গগাবন্ধ আগে বুনতে যাওয়া ! তবুও তো সে ञांख cमहे ! t