পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 બિષિn ]* *: : সত্যেক্ত-তৰ্পণ : ¢ጳ¢ ു ുതുപ്പാ تمام معاعی به جای او -ق বে খেয়ার কর্ণধার তোমারে নিয়েছে সিন্ধুপারে জাষাঢ়ের সজল ছায়ায়, তার সাথে বারে বারে হয়েছে আমার চেনা ; কতবার তারি সারি-গানে নিশাস্তের নিজা ভেঙে ব্যথায় বেজেছে মোর প্রাণে অজানা পথের ডাক, স্বৰ্য্যাস্তপারের স্বর্ণরেখা ইঙ্গিত করেছে মোরে । পুন আজ তার সাথে দেখা মেঘে ভরা বৃষ্টিঝর দিনে। সেই মোরে দিল আনি, ঝরে’-পড়া কদম্বের কেশর-স্নগন্ধি লিপিখানি তব শেষ বিদায়ের। নিয়ে যাব ইহার উত্তর নিজ হাতে কবে আমি, ওই খেয়াপরে করি ভর, না জানি সে কোন শান্ত শিউলি-ঝরার শুরুরাতে ; দক্ষিণের দোলা-লাগা পার্থী-জাগা বসন্ত-প্রভাতে ; নব মল্লিকার কোন আমন্ত্রণ-দিনে ; শ্রাবণের ঝিল্লিমন্দ্র-সঘন সন্ধ্যায় ; মুখরিত প্লাবনের অশান্ত নিশীথ রাত্রে ; হেমস্তের দিনান্ত বেলায় কুহেলি-গুণ্ঠনতলে ? ধরণীতে প্রাণের খেলায় ংসারের যাত্রাপথে এসেছি তোমার বহু আগে, স্বখে দুঃখে চলেছি আপন মনে ; তুমি অম্বুরাগে এসেছিলে আমার পশ্চাতে, বাশিখানি লয়ে হাতে, মুক্ত মনে দীপ্ত তেজে, ভারতীরবরমাল-মাথে । আজ তুমি গেলে আগে ; ধরিত্রীর রাত্রি আর দিন তোমা হতে গেল খসি, সৰ্ব্ব আবরণ করি’ লীন চিরন্তন হ’লে তুমি, মর্ত্য কবি, মুহূৰ্ত্তের মাঝে । গেলে সেই বিশ্বচিত্তলোকে, যেথা সুগম্ভীর বাজে অনন্তের বীণা, যার শব্দহীন সঙ্গীতধারায় ছুটেছে রূপের বন্যা গ্রহে স্বর্ষ্যে তারায় তারায়। সেথা তুমি অগ্রজ আমার ; যদি কভু দেখা হয়, পাব তবে সেথা তব কোন অপরূপ পরিচয় কোন ছনে, কোন রূপে ? যেমনি অপূৰ্ব্ব হোক নাকো, তবু আশা করি ধেন মনের একটি কোণে রাখে। ধরণীর ধূলির স্মরণ, লাজে ভয়ে দুখে স্বথে • বিজড়িত,—আশা করি, মর্ত্যজন্মে ছিল তব মুখে যে বিনম্র স্নিগ্ধ হাস্য, যে স্বচ্ছ সতেজ সরলতা, সহজ সত্যের প্রভা, বিরল সংযত শাস্ত কথা, তাই দিয়ে আরবার পাই যেন তব অভ্যর্থনা অমর্ত্যলোকের দ্বারে,—ব্যর্থ নাহি হোক এ কামনা । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সত্যেন্দ্র-তৰ্পণ আজি স্বৰ্য্য মেঘে-ঢাকা, দিবস ঘনিমা-মাখা, অন্ধকার ঘিরেছে ভুবন, এ স্নিগ্ধ বাদল-দিনে পুলক-পুরিত মনে কাব্য-ছবি করিতে অঙ্কন ; যত মেঘে ভিড় করে, যত বারি ঝরঝরে, তত তোমা মনে পড়ে আজি— মনে পড়ে সৌম্য মূৰ্ত্তি, আঁখি-যুগ স্নিগ্ধ-কান্তি, কল্পনার ওহে পক্ষিরাজ ! বরষারি মেঘ সম ছিলে শাস্ত সৌম্য কম, তারি মত করেছ বর্ষণ— অজস্র ভাবের ধারা—কী শীতল জালাহরা, কী প্রশান্ত আনন্দ-ভাষণ ! এ বরষা দ্বাধিয়ার কেঁদে ময়ে আরবার কোথা তুমি ছাল-সন্তান, এস পূর্ণ সত্য কবি, গাও গান আঁক ছবি কল্পনায় করিয়ু সন্ধান। সাহিত্য-সমাজ হতে যে কেহ কালের স্রোতে ভেসে গেছে লভিয়া মরণ, তাহারি কল্যাণ তরে ভক্তিপ্রদ্ধাভর স্বরে তুমি নিতি করেছ তপ ; আজি তুমি স্বৰ্গলোকেজ বুক তব শোকে, কে তোমারে করিবে অর্জন, কে তোমার স্নিগ্ধ গীতি উচ্ছল স্বদেশ-গ্রীতি পিয়ে তোমা করিবে বঙ্গন