পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সৃংখ্যা ] ”سیاہ" میمس ব্যয়ে গোপনে “সবিতা” গ্রন্থাকাৰুে মুদ্রিত হয়। কয়েকমাস পরে উহা সত্যেক্সের পিতার ও আমার গোচরে আসে । পাঠাস্তে আনন্দিত হইলেও উভয়কেই বাহতঃ অসন্তোষ প্রকাশ করিতে হয়। আশঙ্কা, পাছে উৎসাহিত হইয়া সত্যেন্দ্র কলেজের পাঠ সম্পূর্ণ অবহেলা করে। এফ-এ পরীক্ষার পর সর্ত্যেজ্ঞের পিতার একান্ত ইচ্ছা হইল পুত্র ডাক্তারি পড়ে। এজন্য সকল ব্যবস্থাই হইল, মেডিকাল কলেজে আবেদনপত্রও প্রেরিত হইল । সত্যেন্দ্রনাথ প্রথমতঃ তাহাতে সম্মত হইয়া পরে বিরক্তি প্রকাশ করিল। তাহার মনোবৃত্তি কোন দিকে রজনীনাথকে তাহা বুঝাইলাম। তিনি নিজে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায়ু, ব্যুৎপন্ন ছিলেন, পুত্রের ডাক্তারি পড়া হইবার নয় বুঝিয়া মৰ্ম্মাহত হইলেন। অবশেষে বি-এ পড়াই সাব্যস্ত হইল । তৃতীয়- বার্ষিক শ্রেণীতে পড়িবার সময় সত্যেক্সের বিবাহ স্থির হয়। কিন্তু হায় ! রজনীনাথকে পুত্রের উদ্ধাহক্রিয়া সম্পন্ন করিতে হইল না । পিতা মনস্বী অক্ষয়কুমার দত্তের "প্রাচীন হিন্দুদিগের সুমুদ্রযাত্রা” পুস্তক পরিবদ্ধিত আকারে লিখিয়া ৪৫ বৎসর মাত্র বয়সে রজনীনাথ লোকলীলা সম্বরণ করিলেন । বৎসরান্তে সত্যেন্দ্রনাথের বিবাহ হইল। বিবাহের মাস কয়েক পরেই বি-এ পরীক্ষায় সত্যেন্দ্র অনুত্তীর্ণ হুইল । তাহার কারণ মনোবিজ্ঞানের চব্বিতচর্বণ তাঁহার আদৌ ভাল লাগিত না । পুনৰ্ব্বার বি-এ পরীক্ষা দিতেও সে অসম্মত হইল। - পীড়াপীড়ি করায় আমাকে বলিল, "আপনার export import ব্যবসায়ে যোগদান করিব । তাহাতে দেশের এবং দশেরও কাজ হইবে।” যৌবনে সত্যেন্ত্র প্রতিশ্রুতি রক্ষাও করিল। কিন্তু অল্প দিন পরেই সে কাৰ্য্যে বিরত হইল। শিরঃপীড়াই তাহার প্রধান কারণ। তাহার পর বহুবার এ কাৰ্য্যে ইচ্ছা প্রকাশ করিয়াছে, কিন্তু কাৰ্য্যতঃ কৰ্ম্মক্ষেত্রে আর অবতীর্ণ হইতে পারে নাই। গত বৎসরেও বায়ু পরিবর্তনের জন্য জৌনপুরে যাইবার, পূৰ্ব্বে বলিয়ছিল, “শুনিলাম, বোপাই সঙ্গরে সাহেবদের আধিপত নাই, তাহার কারণ সেখানকার هممي.ه۶٦مج”م♥ সত্যেন্দ্রনাথের কথা । (tb-3 অধিবাসীরা বড় ব্যবসায়ী । আমাদেরও একটা আদর্শ খাড়া করিয়া দেওয়া আবশ্যক। ফিরিয়া আসিয়া আফিসের কার্য্যে যোগ দিব ভাবিতেছি।” ফিরিয়া আসার পর আর এই উৎসাহ ছিল না। কথা-প্রসঙ্গে বলিল—“ব্যবসায় ত অর্থোপার্জনের জন্য, অর্থে আমার এমন কি প্রয়োজন ?” আফিস ত্যাগের পর সত্যেন্দ্রনাথ প্রবল উৎসাহে সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করে। নূতন নূতন গ্রন্থ ক্রয় করিয়া সত্যেন্দ্র পিতামহের লাইব্রেরী সমুদ্ধ করিতে থাকে এবং সৰ্ব্বদাই অধ্যয়নে মগ্ন থাকিত । ইহার পর স্বদেশী আন্দোলনের নূতন যুগে সে স্বদেশপ্রেমে অনুপ্রাণিত হয়। “সন্ধিক্ষণ” কবিতা লিখিয়া আমাকে দেখিতে দেয় । সামান্ত পরিবজ্জন ও পরিবর্তনের পর উহা মুদ্রিত ও বহু সভায় বিনামূল্যে বিতরিত হয়। “সন্ধিক্ষণ" কোন পরবর্তী গ্রন্থের অন্তভূত হয় নাই। একটি স্থান উদ্ধৃত হইল— “বংসরান্তে ভাদ্রশেষে শুধু একবার" কুল প্লাবি আসে যে জোয়াব, তাহার তুলনা নাই, সমস্ত বৎসরে সে জোয়ার আসে একবার ! সে জোয়ার এসেছে রে আমাদের ধরে ঘরে, • এসেছে রে নুতন জীবন ! বাঙ্গালী পেয়েছে আজ সামর্থ্য নৃতম।” ইহার পর সত্যেন্দ্রের সাহিত্যিক জীবন রীতিমত আরম্ভ হয়। “বেণু ও বীণা" “হোমশিখা" "তীর্থসলিল” “তীর্থরেণু" "ফুলের ফসল” “জন্মদুঃখী” “কুন্থ ও কেক।” “তুলির লিখন" “মণিমঞ্জুষা” “অভ্র আবীর” “হসস্তিক।” “রঙ্গমলী” “চীনের ধূপ" পর্য্যায়ক্রমে প্রকাশিত হয়। জীবনের এই অঃ তাহার বন্ধুগণের সম্যক পরিচিত। ত্রযুক্ত চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়, দ্বিজেন্দ্রনারায়ণ বাগচী প্রভৃতি অন্তরঙ্গ সুহৃদ্বর্গ সে সম্বন্ধে সবিশেষ আলোচনা করিবেন আশা করি । e প্রকৃতি - * e সত্যেঞ্জের প্রকৃতি কোমল মধর ও মীরন নিল ।