পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] ബു. সেই অনুবাদ কবিতা 'সমুদ্রের প্রতি প্রবাসীতে প্রথম ছাপা হয় । @ সত্যেস্ত্রের সমস্ত জীবনযাত্রাটাই কবিত্বময় স্বন্দর সুসঙ্গত ছিল । তার আচরণ ছিল স্বন্দর, তার রচনা সুন্দর, তার আলাপ স্বন্দর, তার গান গাইবার শক্তি ছিল স্বন্দর, তার গৃহ গাছপালায় স্থসজ্জিত সুন্দর, তার লাইব্রেরী স্বন্দর। তিনি স্থলীর আলমারীতে সবচেয়ে স্বন্দর সংস্করণের বই কিনে সাজিয়ে রাখতেন ; বৈদিক সাহিত্য, দেশবিদেশের প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্য ও ইতিহাস র্তার খুব ভালো পড়া ছিল । জ্যোতিষের চর্চা তার অবসর-বিনোদন বাসন ছিল । অখ্যাত অবজ্ঞাত জাতির মধ্যেও কোনো কবির সন্ধান পেলে সত্যেন্দ্র তার কবিতা পড়বার জন্যে ব্যস্ত হয়ে উঠতেন ; সেই কবিতা অশেষ চেষ্টায় সংগ্রহ করতে পারলে আগ্রহে ত৷ সেই কবিরই ছন্দে অনুবাদ করে বঙ্গবাণীর ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতেন । নানা দেশের কবি হরস বিশেষ ভাবে সম্ভোগ করবার সুবিধা হবে বলে তিনি নানা দেশের ভাষা শেখবার চেষ্টা করতেন। তার প্রগাঢ় জ্ঞান তার রচনায় প্রকাশ পেত ; এক-একট, কবিতা ইতিহাস ব। পুরাণের বিশ্বকোষ হয়ে উঠত। সত্যেন্ত্র যে বিষয়ে কবিতা লিখতেন, সে বিষয়ের হাটহুদ জেনে লিখতেন। কাজরী, গরব সম্বন্ধে কবিতা লিখবেন বলে তিনি চেষ্টা করে ঐসব স্বরের গান শুনেছিলেন ; ফুলের কবিতা লিখতে বহু ফুলের নাম ও প্রকৃতি সংগ্রহ করেছিলেন ; মেঘঘটাকে যুদ্ধ আয়োজনের রূপক দেবার জন্যে তিনি বহু পারিভাষিক শব্দ ব্যবহার করেছিলেন । আমি তাকে বলতাম- “এসব শব্দের মানে কেউ বুঝবে না।” সত্যেন্ত্র বলতেন—“ন বোঝে খোজ করে বুঝবে।” এমন বহুবিদ্য লেখক এখন রবীন্দ্রনাথ ছাড়া আর কেউ আছেন বলে’ আমি জানি না । সত্যেন্দ্রনাথ দেশ-বিদেশের বহু ভাষা জানতেন বলে’ র্তার ভাবসম্পদ ছিল প্রচুর এবং বাংলাভাষার উপাদান ংস্কৃত পালি ফার্স হিন্দি বাংলা যথেষ্ট পড়া ছিল বলে তার শক-সঞ্চয় ও তথ্য-সংগ্রহ ছিল অফুরন্ত সত্যেঙ্গ আমীর কাছে ছ মাস ফাসী পড়েছিলেন ; রোজ দুপুব সত্যেন্দ্র-পরিচয় AeM eeAAASA SAASAASAASAASASAS SSAS SSAS SeMSAAeeMAe eAeMAeMASAS SSAS SSAS SSAS SSAS (rb-s) ^^^్న بیماریهای عیسی ۹حیه বেলা তার বাড়ীতে তাকে পড়াতে যেতাম। এই নিত্য সাহচর্য্যে র্তীর সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা প্রগাঢ় হয় । সত্যেন্দ্র একেবারে কলকাতার মধ্যে চির-আবদ্ধ থাকৃলেও বাংলা দেশের অন্তরের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগ ও পরিচয় ছিল ; তিনি এত অপভ্রংশ গ্রাম্য দেশজ প্রভাষার শব্দ জানতেন যে র্তার জ্ঞান ও পর্য্যবেক্ষণ দেখে আশ্চৰ্য্য হয়ে যেতে হত। বহু শব্দ জান ছিল বলে ও কবিতার মিল করা খুব অভ্যাস ছিল বলে সত্যেন্দ্র কথা নিয়ে ওলট-পালট করে' বা এক কথা বিভিন্ন অর্থে প্রয়োগ করে শব্দষ্ক্রীড়া ( pun ) কবৃতে বিশেষ দক্ষ ছিলেন। এর একটি উদাহরণ পাওয়া যায় হসস্তিকা’ বইয়ে ‘অম্বল-সম্বর কাব্যে"। শব্দচর্চার জন্য তিনি মজলিশী রসিকতায় সিদ্ধবাক্ ছিলেন। আর-একটি ফল হয়েছিল তিনি ভাষাতত্ত্ব শব্দতত্ত্ব ব্যাকরণতত্ত্ব আলোচনাতেও আনমা পেতেন। তিনি বাংলা ব্যাকরণের ও শবতত্ত্বের বহু নৃতন মৌলিক নিয়ম আবিষ্কার করেছিলেন ; আমি তাকে প্রায়ই সেগুলি লিখে ফেলতে অন্তরোধ করতাম, বলতাম Lawএর মতন ‘সত্য-নিয়ম’ সকলের কাছে সমাদৃত হবে।" সত্যেন্দ্র বলতেন—লিখুব । লিখব লিখব করে তার আর সেইসব অমূল্য নিয়মগুলি লেখা হয়নি , তাকে এত শীঘ্র হারাতে হলে স্বপ্নেও ভাবিনি বলে’ আমিও সেগুলো লিখে রাখিনি–র্তার মৃত্যুতে ভাষাতত্ত্বের দিক থেকেও একটা মহৎ ক্ষতি হয়ে গেল আমি মনে করি । সাধারণে র্তাকে কেবল কবিরূপেই জানতেন, তার গভীর পাণ্ডিত্য ও সূক্ষ্ম অস্তদৃষ্টির পরিচয তার বন্ধুবা বিশেষ রূপেই জানতেন । সাহিত্যের আদর্শ সত্যেস্ত্রের খুব উচু ছিল। তিনি বলতেন—“বাংলা দেশে আড়াই জন সত্যিকার কবি জন্মেছেন—বঙ্কিমচন্দ্র এক, রবীন্দ্রনাথ এক, আর মাইকেল আধ।” আমাদের দেশের কবি বলে তিনি স্বীকার করতেন দুৰ্জুনকে-কালিদাস, তারপর রবীন্দ্রনাথ। যুরোপেও তিনি তিন-চার জনকে মাত্র শ্রেষ্ঠ কবি বলে স্বীকার করতেন— গোটে, হিউগে, শেকৃশ পীয়ার, শেলী । ওয়ার্ডসওয়ার্থকে তিনি কবি বলে মানতেনই না ; এ নিয়ে রবীন্দ্রনাথ সত্যেন্ত্রকে অনেক বোঝাবার —“Grimm’s