পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&నy -- প্রবাসী-শ্রাবণ, ১৩২৯ { ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড তুমি মর নাই, আছ আছ বেঁচে বাঙ্গলার গেহে গেহে, বাঙ্গালীর বুকে, বাঙ্গালীর মুখে, তার স্বখে-দুখে-স্নেহে। অক্ষয়-স্থতি, অফুরাণ-গীতি তোমার কি আছে শেষ । মানস-নয়নে উদিবে গো তুমি পরি’ নিতি নব বেশ। ه جایی رس-میمایی ۶۳میته های আসিবে এখনো কত উৎসব, কত আলো, কত হাসি, তুমি কি আড়ালে লুকায়ে তখন বাজাবে অলোক-বাণী ? দুর্গমপথে গহন আঁধারে যেইজন পথহারা তার তরে তুমি উঠিবে ফুটিয়া আকাশেতে ধ্রুবতারা ? ঞ্জ স্থবোধচন্দ্র রায় কবিবন্ধু সত্যেন্দ্রনাথ হে দীর্ঘ পথের বন্ধু, হে কবি সচ্ছন্দ ছন্দরাজ ! একি অভিনব ছন্দে মৃত্যুমন্ত্রে বরি নিলে আজ আপন মৰ্ম্মের মাঝে, সহসা পথের মধ্যখানে ? অতৃপ্ত তৃষ্ণার মত স্বর শুধু ঘুরে’ মরে কানে! রিক্ত-অশি বঙ্গভাষা—বিয়োগিনী কঁাদিছে করুণ দ্বর্ভাগ্য দেশের বুকে ;—মধ্যপথে মুদিত অরুণ ! বিরহের মন্দাক্রাস্ত আষাঢ়ের মেঘমগ্র মাঝে গুমরি ওমরি’ তাই বাঙ্গলার বক্ষে আজি বাঞ্জে । শুনেছি বরুণ-মন্ত্রে বিনামেঘে বৃষ্টিধারা ঝরে, প্রমূৰ্ত্ত দীপক রাগে কলাবিং নিজে পুড়ে মরে ; জানিনাক কোন স্বরে বন্ধু তুমি সেধেছিলে বাশী— রুদ্র পরিণাম যার মূৰ্ত্তিমান দেখা দিল আসি’ সমস্ত দেশের বুকে অকস্মাং বজ্রব্যথা হানি’— বঙ্গ সারস্বত কুঞ্জে মৃচ্ছৰ্গতুর নিজে বীণাপাণি ! যাজ্ঞিকের হেীমশিখ সমীরন্ধ যজ্ঞ-সূচনায় লাগিল কেবল গৃহে ; যজ্ঞ শেষ হ’ল না'ক হায় ! ভৃঙ্গারে শুকায়ে গেল সমাহৃত পুণ্যতীর্থবারি, ভক্তের নয়নে শুধু রাখি তার শেষ অশ্র-ঝারি ; কাব্যের নিকুঞ্জ থেকে কুহু-কেক লভিল বিদায়, চোখ গেল—চোখ গেল ভগ্ন কুঞ্জে আজি বাহিরায় ! তুলিথানি অশ্রুজলে অঙ্কে তুলি রাখিল ভারতী— কে লিখিবে লেখা আর, কে করিবে একান্ত অrরতি নিত্য নব নব ছন্দে মন্দিরেতে তুলিয়া ঝঙ্কার,— কতু সহজিয়ী ভাষা, কতু সাম, কছুৰী ওঙ্কার ! আর কেন ছন্দ-গ্লাথি ? বন্ধু গেছে ছন্দ লয়ে’ সাথে ; মোরা শুধু মন্দভাগ্য, পড়ে আছি চাহিয়া পশ্চাতে শুধিতে দুঃখের ঋণ ! নেত্রপথ রুদ্ধ অশ্রুজলে— কৰে মিলাইবে তার দৃষ্ঠপট জবনিকা-তলে! শুধু থেকে থেকে আজ এক কথা জেগে উঠে মনে, কেন তুমি চলে গেলে অকস্মাং হেন অকারণে। যাবার সময় তা যে শুধাবার দিলে না সময়, শুধাবার দূরে থাক্‌-হ’লনাক দৃষ্টি বিনিময়। দুর্ভাগিনী বঙ্গভূমি-ছিল যে প্রাণের চেয়ে প্রিয়,— যার নাম জপমালা, নামাবলি যার উত্তরীয় ছিল তব অল্পদিন, সে বঙ্গ তেমনি ভাগ্যহীন, লাঞ্ছিত বিশ্বের দ্বারে, পায়ে পায়ে পরের অধীন ; তারে কি বলিয়া আজি ছেড়ে গেলে, তাই ভাবি মনেসিংহাসন কৈ দিলে ?—লুটায় সে কণ্টক-আসনে। রাণী বলে’ ডেকেছিলে—এই কি রাণীর যোগ্য সাজ, জননী বলিয়া ডাকি ঘুচালে না জননীর লাজ ! হে দেশবংসল, তবু সত্যসন্ধ তোমারি সন্ধান আজি অরে হানে মৰ্ম্মে—তব সত্য কত বড় দান । যাহা তুমি রেখে গেছ ; মূৰ্ত্তি যত পশ্চাতে লুকায়, অভাবের অন্ধকার ঝলি উঠে দীপ্ত প্রতিভায়। তাই চোখে পড়ে যত ধরণীর ধূলি আর বালি, দেশজোড়া অসত্যের পুঞ্জীভূত কলঙ্কের কালী। তবু যে তোমারে চাই—ভাব নিয়ে ভরে না জীবন, মাটীর মানুষ মোরা—মাট যে একান্ত প্রয়োজন ! কি ফল বিফল বাক্যে ? গেছ যদি, যাও কবি যাও— ফুলের ফসল ফেলি’ এ ধরার, যদি স্থখ পাও নবীন নন্দনে আজি-অম্লান মন্দারে ভরি' ডালা গাথিতে নূতন ছন্দে বরদার বর কণ্ঠমালা। হেথা সবি পুরাতন, ধূলিমান দৈন্তভারাতুর চিত্ত নিত্য অশ্রুনেত্রে চায় হেথা বিয়োগবিধুর ! নিম্পলক মাতৃনেত্রে ঝরে সেথা যে প্রসন্ন হাসি, ভারি স্পর্শে ধৌত হোক ধরণীর সর্ব ধূলিরাশি। ঐ যতীন্দ্রমোহন বাগচী