পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

بالان প্রবাসী—শ্রোবণ, ১৩২৯ [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড

  • صے sحمی لحمیہ جمیا مجمعے ج*

BBBBB BBBB BBB BBBBS BBB BBB DBB BBBBB BB BBB BBB BBB BBBBB অমিতব্যয় বা অপব্যয়ও মার্জনীয় নহে । অপব্যয়ের প্রপ্রয় কোথাও দেওয়া উচিত নহে বলিয়া আমরা কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়-ব্যয়ের প্রতি গবর্ণমেণ্টকে এবং শিক্ষিত সাধারণকে দৃষ্টি দিতে বলিয়া আসিতেছি। অপব্যয় কিম্বা চিন্তাহীনভাবে ব্যয় ন হইলে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক লাখ টাকা অকুলান পণ্ডিত না । বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট বড় নানা কথার এত আলোচনা আমাদের বাংলা ও ইংরেজী মাসিকে করিবার আরো কারণ এই, যে, ইহা আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ অবৈতনিক ও বৈতনিক কৰ্ম্মীদিগের শিক্ষার কেন্দ্র ; ইহার নৈতিক হাওয়া বিশুদ্ধ ও স্বাস্থ্যকর না থাকিলে দেশের কল্যাণ কখনও হইতে পারে না। অনিয়মিত ব্যয়, অপব্যয়, চিন্তাহীনভাবে ব্যয় করিবার ক্ষমতা যেখানে থাকে, সেখানকার নৈতিক হাওয়৷ ভাল থাকিতে পারে না । এই কারণে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলির সম্পূর্ণ বিশুদ্ধত রক্ষিত হয় নাই । এখানে স্থলবিশেষে অমুগ্ৰছে এবং তদ্বিরের জোরে পাস হওয়া যায়, উচ্চশ্রেণীতে পাস হওয়া যায়, প্রথমস্থানীয় হওয়া যায়, বৃত্তি পাওয়া যায়, চাকরী পাওয়া যায়, চুরি করা বিদ্যার জোরে প্রশংসিত হওয়া যায়, এইরূপ ধারণ লোকের জন্মিয়াছে। কোন বুদ্ধিমান চিন্তাশীল লোকই এরূপ মনে করেন না, যে, যাহারা পাস করে, ভাল পাস করে, বৃত্তি পায়, ইত্যাদি, তাহদের সকলেরই কৃতিত্ব অনুগ্রহ- ও তদ্ধির জাত ; অধিকাংশেরই কৃতিত্ব স্ব স্ব যোগ্যতা অনুযায়ী । কিন্তু অল্প কয়েকজনের দোষে অনেককে সন্দেহভাজন হইতে হয় । বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থঘটিত কাৰ্য্য পরিচালন অতীতে যে শোচনীয় হইয়াছে, তাহা শিক্ষামন্ত্ৰী শ্ৰীযুক্ত প্রভাসচন্দ্র মিত্র তাহার গত ১লা মার্চের বক্তৃতায় বলিয়াছেন (“the financial management of the Calcutta University In the past was depiòtable" ) । এই অর্থঘটিত কাৰ্য পরিচালুনা কিরূপ হইয়াছে ও হইতেছে, প্রযুক্ত ঋবীন্দ্রনাথ সরকারের প্রস্তাবে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সম্ভ, অধিকাংশ সভ্যের মতে, তাহার তদন্ত করিবার • করেন। প্রজাদিগের প্রতিনিধিদের নিকট দায়ী গবর্ণমেন্ট (Reponsible Government ! ) stri FIAR Rf | যদি ঐরুপ কমিটি নিযুক্ত হইত, এবং তাহাতে কৃষ্ণলাল দত্ত, চারুচন্দ্র বিশ্বাস প্রভৃতির মত লোক নিযুক্ত হইতেন, তাহা হইলে বিশ্ববিদ্যালয় সম্বন্ধে লোকের সন্দেহ কতটা সমূলক বা অমূলক বুঝা যাইত। আমরা আপাততঃ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্ট হইতে উহার শিক্ষাদান-বিভাগের ( Post-graduate Departmentegg) zjęta WTH HWN কিছু বলিব । এই পুস্তিকার নাম Post-graduate Teaching in the University of Calcutta, rg2o-2I । ইহা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাপাখানায় এই বৎসর ৮ই জুন ছাপা হইয়াছে। ইহা হইতে আমরা দেখিতে পাই, যে, পোষ্টগ্রাজুয়েট বিভাগে ১৯২০-২১ সালে মোট ছাত্র ছিল ১১৯৬জন । বৎসরের শেষে যাহা ছিল তাহাই ধরিয়াছি। বৎসরের গোড়ায় আরো ৫০জন ছাত্র বেশী ছিল । এই ১১৯৬জনের শিক্ষার জন্য মোট ২৩৮টি শিক্ষকের পদ ছিল । কলিকাতায় কয়েকটি কলেজ আছে, যাহাদের প্রত্যেকের ছাত্রসংখ্যা ১১৯৬ অপেক্ষা বেশী কিম্বা তাহার কাছাকাছি। তাহার পোষ্টগ্রাজুয়েট বিভাগের সমানসংখ্যক বিষয় শিক্ষা দেয় না ; কিন্তু খুব কমও দেয় না । তাহাদের প্রত্যেকটিতে কতজন করিয়া শিক্ষাদাতা আছেন তাহা চিন্তনীয়। গড়ে ৫ জন করিয়াও আছেন কি? প্রেসিডেন্সী কলেজেও ৫০৷৬০ জনের বেশী অধ্যাপক নাই। পোষ্টগ্রাজুয়েট বিভাগের কয়েকজন শিক্ষককে বাদ দিলে অবশিষ্টের প্রথম শ্রেণীর কলেজের অধ্যাপকদিগের চেয়ে বেশী যোগ্য লোকও নহেন। ১১৯৬জন ছাত্রের শিক্ষার জন্য শিক্ষাদাতাদিগকে মোট বেতন মাসিক ৫৩১৩০ ( তিপাল্প হাজার এক শত ত্রিশ ) টাকা অর্থাৎ বার্ষিক ৬৩৭৫৬০ ( ছয়লক্ষ সাঁইত্রিশ হাজার পাচ শত যাট) টাকা দিতে হইয়াছে। ইহার উপর ক্যাপ্টেন পেটাভেলকে বাধিক ১৪০০ টাকা, অর্থাৎ মোট খরচ, ৬৩৮৫৬৪২ টাকা বাধিক শিক্ষাদাতাগণকে দিতে