পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্য। ] রাপ্ত ছাড়া ছবির গতি নেই। তেমনি মন যেখানে নেই, কথা সেখানে থেকেও নেই। মনে বেদন এল, নিবেদন হ’ল তবে ছবিতে কবিতায় নাট্যে ৷ মন কার নেই? কিন্তু মনের কথা গুছিয়ে বলার ক্ষমত যারতার নেই এটা ঠিক। ছাত্র পরীক্ষার দিনে খুব মনের আবেগ ও মনঃসংযোগ দিয়ে লিখছে--সে মন এক, আর সেই ছাত্রই দেশে গিয়ে যাত্র জুড়েছে, কি মাঠে বসে মন দিয়ে বাশি বাজাচ্ছে—সে মন অস্ত প্রকার। তেমনি সাধারণ মন, আর রসারিত মন, কবির মন আর্টিটের মন আর তাদের ইকোবরূদারের মন ও মনের আবেগে তফাৎ আছে। খুব খানিক মনের আবেগ নিয়ে লিখে কিম্ব বলে কয়ে চল্পেই কবি চিত্রকার অভিনেতা হয় না। অভিনেতা যদি অত্যন্ত মনের আবেগে কাণ্ডাকাগুজ্ঞানহীনের মতে রুদ্রমূৰ্ত্তিতে বেরিয়ে সত্যিই দ্বিতীয় অভিনেত্রীর গল কেটে বসে, তবে তাকে নট বলবে, ন পাগল মুর্থ এ-সব সম্বোধন করবে দর্শকরা ? কিম্বা দর্শকদের মধ্যে রঙ্গমঞ্চের নাচে মুগ্ধ হয়ে কেউ যদি হঠাৎ কোমর বেঁধে নান অঙ্গভঙ্গী মনের আবেগে স্বরু করে দেয় তবে তাকে নটরাজ বলে’ ডাকে কেউ ? অভিনেত্রী বেশ ভাল লয় স্বর দিয়ে কেঁদে চলেছে, হঠাৎ উপরের বক্স থেকে আবেগভরে ছেলে কাদা ও ঘুমপাড়ানো স্বরু হ’ল, তার বেলায় শ্রোতারা ধমূকে ওঠে কেন ছেলেকে ও ছেলের মাকে ?—মনের আবেগ তো যথেষ্ট সেখানে ভাষায় প্রকাশ হচ্ছিল, কিন্তু আর্ট ব'লে তো চল্লেী না সেটা ? তবেই দেখ, শিল্পের অমুকুল মনের পরশ আর তার প্রতিকূল—এই দুরকম মনের পরশ রয়েছে। মালী যেমন বেছে বেছে ফুল নেয়, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ফুলের তোড়া ফুলের হাঁর গাথে, শিল্পীর মনের পরশ ঠিক সেই ভাবে কাজ করে বায় বাক্য রং রেখা ভঙ্গী ইত্যাদিকে ভাবে সুত্রে ধরে ধরে । নিছক আবেগের উচ্ছ স্থল আছে, সংযম নির্বাচন এসব নেই। ছেলেকাদীর ঠিক উণ্টে যে পাক৷ নটীর কাল্পীর স্বর, কৃত্রিম হরে হলেও সেটা মনোরম হয় শিল্পীর বর্ণনভঙ্গী নির্বাচন ইতু্যাদি নিয়ে বীপের মতে শুধু খানিক আবেগের সঞ্চয় নিয়ে ছবি বল আর লেখাই বল শিল্প বলে’ চলে না ! কাচ অভিনেতা Realism এর পথে গিয়ে নাটকের বিষয়টাকে তর্জন গর্জন করে যেন দর্শকের নীকের উপরে ছুড়ে ফেলে দিকে চলে, আর পাকা অভিনেতা শিল্পীর সংযম নিয়ে সেই বিষয়টাই দিয়ে যায় অথচ ফল হয় তাতে বেশি দর্শকের উপরে। এইজগুই ঋষির বলেছেন বর্ণকাকে মনের সঙ্গে যুক্ত কর বা ‘কায়েন মনসা বাচা’ ছবি লেখ, কথা বল, অভিনয় কর, সাফল্য লাভ করতে বিলম্ব হবে না । কথা তে বলতে পারে সবাই, চলেও সবাই রঙ্গে ভঙ্গে, ছবিও লেখে অনেকে ; কিন্তু ভাষাকে পায় না সবাই । ছবিকে কেবলি দেখা ও ভোগ করার রাজত্ব থেকে কথা ও ভাষার কোঠায় টেনে আনার সম্বন্ধে সবার মত হবে না। র্তার। বলেন-কথা বল, কবিতা বল, উপকথা বল, তার তে স্বতস্থ রাস্তl, art বর্ণমালার পুস্তক, নীতিশাস্ত্র কিম্ব কথামাল হতে বাধ্য নয়, একে সৌন্দর্ঘ্য ও তার অনুভূতির রাস্তাতে চালানোই ঠিক। এ কথা মানূতেম যদি রূপের জগতে এমন বিশেষ পদার্থ একটা থাকৃতে যে নির্বক নিশ্চল। বিন্দু সে বলে আমি চোখের জল, শিশির-ফোট, কত কি ! মৃত্যু সেও বলে আমি এই দেখ চলেছি আর ফিরবে না, গভীর সাৰনা আমি, নিদারুণ আমি, সকরুণ আমি । ফুলের সঙ্গে ফুলদানিটাও যদি কথা না কইতো তৰে কি তাঁর মানুষের মনে গৰ্বতে ? নির্বক যে সেও ইঙ্গিতে বলে— জামি বলতে পারছিনে মন কি করছে। অৰোধ বারা তারাই কেবল বাক্য থেকে বিচ্ছিন্ন এক অদ্ভুত আর্টের কল্পনাঙ্গল বুনে বুনে কষ্টিপাথর—পচিশে বৈশাখ ৬৭১ নিজেকে ও নিজের শিল্পকে গুটির মধ্যে গুটিপোকার মতে বদ্ধ করে রাখতে চায় এ শিল্প যে অনঙ্গ দেয় সেই অনঙ্গই তার ভাবআনন্দ-কাকলী, আনন্দের দোল৷— 彎 "কি আনন্দ, কি আনন্দ, কি আনন্দ . দিবারাত্রি নাচে মুক্তি নাচে বন্ধ” মহাশূন্ত -তীর নিজের বাক্য দিয়ে সেও পরিপূর্ণ রয়েছে। চটক্ এবং চাকচিক্যময় ক্ষণিক পদার্থটার উপভোগের অনিত্যতার উপরে, কিম্ব ক্ষণিক শ্রুতিমুখ দৃষ্টিমুখ ইত্যাদির উপরে শিল্প-রচনার ভাষাকে প্রতিষ্ঠা করলে বাণীকে নামিয়ে দেওয়া হয় আকাশ থেকে রসাতলে । कछूब्रभौठि शक्र छरग्रब्र उ*ञ्चाशक खैौवन? निरग्नई भांश्व यथन ছিনিমিনি খেলে বেড়াচ্ছে তখন যুগ-যুগান্তরের তপস্ত দিয়ে কত মহৎ জীবনের ব্যর্থতার দুঃখ থেকে সার্থকতার আনন্দ দিয়ে লাভ করা ভাষাসমূহকে নিয়ে মানুষ যে নয় ছয় করে খেলা করবে তার বাধা কি ? শিল্পরূপিণী সুন্দরী ভাষাকে পেতে তপস্তার দুঃখ আছে— “Art interprets the mightier speech of nature. It is 3. poètical language, for it is an utterance of the imagination addressed to the imagination and to rouse emotion.”—s Gilbert. ) অনহতের ধ্বনি ব্যক্ত করে যে ভাষা, অরূপের ইঙ্গিত ও রূপ দর্শন করার যে ভাণ, নিশ্চল নির্বর্ণীক পাষাণকে চলায় বলায় যে ভাল, তাকে বিন সাধনায় মনে করলেই কি কেউ পেয়ে থাকে ? ভাষার তপস্যাঁয় বলীয়ান মানুষ পাথরের কারাগার থেকে যায় করে’ নিয়ে এল যে ভাষাকে চিরস্থধাময়ী রসের নিঝরিণী—তারি চতুঃষষ্টি ধারা হল—কথা, ছবি, মূৰ্ত্তি, নাটক, সঙ্গীত, নৃত্য ইত্যাদি কলা বিদ্যা । ( বঙ্গবাণী, শ্রাবণ ) শ্ৰী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর পচিশে বৈশাখ রাত্ৰি হ’ল ভেlর । আজি মোর জন্মের স্মরণপূর্ণ বাণী, প্রভাতের রৌদ্রে লেখা লিপিখনি হাতে করে আনি, দ্বাবে আসি দিল ডাক পচিশে বৈশাখ । দিগন্তে আরক্ত রবি ; অরণ্যের মান ছায় বাজে যেন বিষণ্ণ ভৈরবী। শাল তাল শিরীধের মিলিত মর্শ্বরে वनां८छब्र शृीनश्छत्र क८ग्न ! রক্ত পথ শুষ্ক মাঠে, যেন তিলকের রেথ সষ্ঠাসীর উদার ললাটে । এই দিন বৎসরে বৎসরে নান। বেশে আসে ধরণীর পরে,— আতাস্ত্র আস্ত্রের বনে ক্ষণে ক্ষণে সাড়া দিয়ে, তরুণ তলের গুচ্ছে নাড়া দিয়ে, মধ্যদিনে অকন্মাৎ শুক্ষপত্রে তাড়া দিয়ে, কথনে বা আপনায়ে ছাড় দিয়ে