পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭০৬ ബ്സ്പ്രൂത്ത്.ണ്. ത് পড়ে গেল। সে লোকট। অনেক আগেই দেউড়ীর লেfকারণ্যে মিশে গিয়েছিল । তাকে খুজে পাওয়া গেল ন| | রাজ্যের লোককে নিরাশ হ’য়ে ফিরে যেতে হ’ল, এতপানি বেল পৰ্য্যস্ত দাড়িয়ে থেকেও তারা গর্দান নেওয়া দেখতে পেল ন ! তাদের বড়ই দুঃখ হ’ল ! কিন্তু রাজা-মশাই একটুও রাগলেন না । তিনি মন্ত্রীকে ডেকে বল্লেন, "তাকে খুজতে হবে না, সে ঠিকই করেছে, সে আমাকে ‘রাজাড়ে ভোরে জাগিয়ে দিয়েছে।” শ্ৰী কপিলপ্রসাদ ভট্ট চার্য্য পুনমূষিক ( জাপানী গল্প ) জাপানের তোকিও সহরে এক খুব গরীব দিন-মজুর ছিল । তার কাজ প্লাস্ত-মেরামত করা । কি কষ্টেই না দিন তার কাটুত ! দুই এক টুকরো পোড়া রুট তাও মিলত বহু কষ্টে । রাতে সে একথান ভাঙা ঘরে একটা ছেড়া মাদুরের উপর শুয়ে শুয়ে ভাবত, ‘আমি যদি একটা মস্ত বড়লোক হতাম, তাহলে কি মজাটাই না হত । রাস্তার দুইধারে যে-সমস্ত স্বন্দর স্বন্দর পিটের দোকান আছে, সেগুলো সব আমি কিনে নি তাম । আর, সারা দিনরাত একটা খুব মোট নরম গদীর উপর শুয়ে থাকৃতাম। কোনে। কাজ নেই, কেবল শুয়ে থাকা অার চাকর-চাক্রাণীদের আদেশ করা ।” একদিন এক দেবদূত সেই ভাঙা কুঁড়ের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন । তিনি শুনতে পেলেন তার কথা । এই মনুষ জাতটাকে দেবদূত ভাল রকমই চেনেন কিন, তাই ভাবলেন একে নিয়ে একটু রগড় করা যাক । এই মনে করে তিনি মজুরের উদ্দেশে বল্লেন যে “তোমার ইচ্ছা সফল হোক ৷” দেবদূতের রূপায় নিমেষের মধ্যে মজুর এক মস্ত ধনী। প্রকা গু বাড়ী, যথেষ্ট দাস দাসী, তার আর কিছুরই অভাব নেই। - প্রবাসী—ভাঁদ্র, ১৩২৯ [ ૨૨ન ভাগ, ১ম খণ্ড AMAMMeMMeMMMMeMAeeMAMAMAMAMMAMMAeeMMAMMMeMMMMeMAeAeAMAMAAAS AAASASASS একদিন সে দেখলে তার বাড়ীর সন্মুখ দিয়ে এক সম্রাট চলেছেন । খুব স্বন্দর চারটি দুধের মতো সাদা ঘোড়া তার প্রকাণ্ড গাড়ীখানা টেনে নিয়ে যাচ্ছে। কি জমকালো তার জরির পোষাকটা। র্তার হীরার মুকুটটা এমনি ঝকৃঝকু করছিল যে সে মনে করলে যেন সেটা ভাকেই উপহাস করছে। সম্রাটকে দেখে সবাই হাটুগেডে বসে’ সম্মান দেখাচ্ছিল । এই সব দেখে সে ভাবলে ধনজন থাকুলে কি হয় ? আমাকে দেখে কি অমূৰ্ণি করে কেউ জয়ধ্বনি করে, ন সম্মান দেখায় ?” এইবার সে দেবদূতের বরে একটা সাম্রাজ্যও লাভ করূলে । একদিন মই সমারোহে বহু সৈন্য-সামন্ত নিয়ে একটা পাথর-বাধানে রাস্ত দিয়ে সে চলেছে । সে চার দিকে চেয়ে দেখলে যে আজ সবাই তাকে দর্শন করে আনন্দধ্বনি করছে । সে ভারী খুশী হল । হঠাৎ তার দৃষ্টি পড়ল সেই পাথরের রাস্তাটার উপর । স্বর্ঘ্যের আলোতে রাস্তাটা এমন জলছিল দে সেদিকে চাইতে গিয়ে তার চোখদুটো ঝলসে গেল । এবার সে বুঝলে রাজ-ঐশ্বৰ্য্যও স্বৰ্য্যের কাছে কিছুই নয়। রাস্তাটার দিকে সে কিনা চাইতেই পারছিল না। দেবদূত তার দিকে একটু হেসে চাইতেই সে একেবারে সূৰ্য্যদেব হয়ে গেল । সে তার প্রথর কিরণ পুথিবীর সমস্ত জায়গায় ছড়িয়ে দিল । তার অসহ প্রতাপে নদ নদী সাগর শুকিয়ে উঠল ; গাছ-পালা সব মরে যেতে লাগল। কিন্তু একদিন ছোট একখানা কালে মেঘ তাকে ঘিরে এলো। এইবার দে জব্দ হলো । পৃথিবী ইাপ ছেড়ে বঁাচল । সে দেখলে যে একথান। সামান্ত যেন তার প্রচণ্ড তেজকে একেবারে ঢেকে মেঘ হওয়া ছিল ঢের ভালো । দেবদূত এ সাধ ও তার অপূর্ণ রাখলেন না । সে তার প্রকাণ্ড শরীরটা দিয়ে স্বৰ্য্যকে আবৃভ করে’ রাখত। হঠাৎ একদিন সে বৃষ্টির জল হয়ে গলে মাটিতে পড়তে লাঞ্ছল । সেই জলরাশি একটা প্রবল স্রোতের আকার ধরে তার সম্মুখে যা পেল তাই ভাসিয়ে নিয়ে চলল। ফেল্ল । এর চেয়ে যে