পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓPe وخی _ സംഘകുണുസപ്പസ് *-ുബ് ആു. অভিমুখে নিয়ে যেতে চায় সেই প্রবাহকে লোকের বিশ্বাস করেনি, এবং তাকে বিপজ্জনক মনে করে’ তার পথে সহস্ৰ বাধ বেঁধে সমাজকে নিরাপদ করবার চেষ্টা করেচে। কিন্তু তৎসত্ত্বে তিনি পুরাউনের বেড়ার মধ্যে জড়ভাবে আবদ্ধ থাকৃতে পারেননি। এতেই তার চারিত্রের অসামান্তত ব্যক্ত হয়েছে। দয়া প্রভৃতি গুণ অনেকের মধ্যে সচরাচর দেখা যায় কিন্তু চারিত্র-বল আমাদের দেশে সৰ্ব্বত্র দৃষ্টিগোচর হয় না। যারা সবলচরিত্র, যাদের চারিত্র-বল কেবলমাত্র ধৰ্ম্মবুদ্ধিগত নয় কিন্তু মানসিক-বুদ্ধি-গত সেই প্রবলের অতীতের বিধিনিষেধে অবরুদ্ধ হয়ে নিঃশব্দে নিস্তব্ধ হয়ে থাকেন না। তাদের বুদ্ধির চারিত্র-বল প্রথার বিচারহীন অস্থশাসনকে শাস্তশিষ্ট হয়ে মানতে পারে না। মানসিক চরিত্র-বলের এইরূপ দৃষ্টান্ত আমাদের দেশের পক্ষে অতিশয় মূল্যবান। যারা অতীতের জড় বাধা লঙ্ঘন করে দেশের চিত্তকে ভবিষ্যতের পরম সার্থকতার দিকে বহন করে নিয়ে যাবার সারণী স্বরূপ, বিদ্যাসাগর মহাশয় সেই মহারণিগণের একজন অগ্রগণ্য ছিলেন, আমার মনে এই সত্যটিই সব-চেয়ে বড় হয়ে লেগেছে । বৰ্ত্তমান কাল ভবিষ্যৎ ও অতীত কালের সীমান্তে অবস্থান করে, এই নিত্যচলনশীল সীমারেখার উপর দাড়িয়ে কে কোন দিকে মুখ ফেরায় আসলে সেইটাই লক্ষ্য করবার জিনিষ। যারা বর্তমান কালের চুড়ায় দাড়িয়ে পিছন দিকেই ফিরে থাকে, তার কখনো অগ্রগামী হতে পারে না, তাদের পক্ষে মানবজীবনের পুরোবর্তী श्वांङ्ग श्रृंथं भि१j श्रघ्न cशंtछ् । उॉब्रां आउँौङएकहे নয়ত দেখে বলে তার মধ্যেই সম্পূর্ণ নিবিষ্ট হয়ে থাকাতেই তাদের একান্ত অস্থি। তারা পথে লাকে মানে না। তার বলে যে সত্য স্থদুর অতীতের মধ্যেই তার সমস্ত ফসল ফলিয়ে শেষ করে। ফেলেছে ; তারা বলে যে তাদের ধৰ্ম্ম-কৰ্ম্ম বিষয়-ব্যাপারের যাকিছু তত্ত্ব তা ঋষিচিত্ত থেকে পরিপূর্ণ আকারে উদ্ভূত হয়ে চিরকালের জন্ত স্তন্ধ হয়ে গেছে, তার প্রাণের নয়ম অনুসারে ক্রমশঃ বিকাশ লাভ করেনি, স্বতরাং প্রবাসী-ভাদে, ১৩২৯ . [ २२५ छां★, २म श्र७ കപനയ്ക്കേസ്.സ സ്. ത് സക്സസ്.സ.യു. A^^^^* তাদের পক্ষে ভাবী বিকাশ নেই, অর্থাৎ ভবিষ্যৎকাল বলে জিনিষটাই তাদের নয়। এইরূপে স্বসম্পূর্ণ সত্যের মধ্যে অর্থাৎ মৃত পদার্থের মধ্যে চিত্তকে অবরুদ্ধ করে তার মধ্যে বিরাজ করা আমাদের দেশের লোকদের মধ্যে সৰ্ব্বত্র লক্ষ্য-গোচর হয়, এমন কি আমাদের দেশের যুবকদের মুখেও এর সমর্থন শোনা যায়। প্রত্যেক দেশের যুবকদের উপর ভার রয়েছে সংসারের সত্যকে নূতন করে যাচাই করে’ নেওয়া, সংসারকে নূতন পথে বহন করে নিয়ে যাওয়া, অসত্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা। প্রবীণু ও বিজ্ঞ যারা তারা সত্যের নিত্যনবীন বিকাশের অমুকুলতা করতে ভয় পান, কিন্তু যুবকদের প্রতি ভার অাছে তারা সত্যকে পরখ করে” নেবে। সত্য যুগে যুগে নূতন করে আত্মপরীক্ষা দেবার জন্তে যুবকদের মল্লযুদ্ধে আহবান করেন। সেই-সকল নবযুগের বীরদের কাছে সত্যের ছদ্মবেশধারী পুরাতন মিথ্যা পরাস্ত হয়। সবচেয়ে দুঃখের কথা এই যে, আমাদের দেশের যুবকেরা এই আহবানকে অস্বীকার করেছে। সকল প্রকার প্রথাকেই চিরন্তন বলে কল্পনা করে কোনো রকমে শাস্তিতে ও আরামে মনকে অলস করে’ রাখতে তাদের মনের মধ্যে পীড়া বোধ হয় না, দেশের পক্ষে এইটেই সকলের চেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয় । সেইজন্তেই আশ্চর্য্যের কথা এই যে ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের ঘরে জন্মগ্রহণ করেও, এই দেশেরই একজন সেই নবীনের বিদ্রোহ নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন । তিনি আপনার মধ্যে সত্যের তেজ, কৰ্ত্তব্যের সাহস অনুভব করে ধর্শ্ববুদ্ধিকে জয়ী করবার জন্তে দাড়িয়েছিলেন। এখানেই তার যথার্থ মহত্ব । সেদিন সমস্ত সমাজ এই ব্রাহ্মণ-তনয়কে কিরূপে আঘাত ও অপমান করেছিল, তার ইতিহাস আজকার দিনে স্নান হয়ে গেছে, কিন্তু যারা সেই সময়ের কথা জানেন তারা জানেন যে তিনি কত বড় সংগ্রামের মধ্যে একাকী সত্যের জোরে দাড়িয়েছিলেন। তিনি জয়ী হয়ে ছিলেন বলে গৌরব করতে পারিনে। কারণ সত্যের জয়ে দুষ্ট প্রতিকূল পক্ষেরই যোগ্যতা থাকা দরকার। কিন্তু ধর্শ্বযুদ্ধে ধারা বাহিরে পরাভব পান ত্বারাও অন্তরে