পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] AA^^^ @ বিদ্যাসাগর \ఆలీ উারাই চিরকালের পথিক, চিরকালের পথপ্রদর্শক। তিনি কেবুল শাস্ত্রের দ্বারা শাস্ত্রের খণ্ডন করেননি, তাদের সকলেই যে বাইরের সফলতা পেয়েছেনু তা নয়, কারণ আমি বলেছি যে তাদের কৰ্ম্মক্ষেত্র অনুসারে সার্থকতার ভারতম্য হয়েছে কিন্তু আমাদের পক্ষে খুব আশার কথা যে আমাদের দেশেও এদের মত (लॉ८कब्र छद्म झग्र । 醫 আজকাল আমরা দেশে প্রাচ্য বিদ্যার যে সন্মান করছি তা কতকটা দেশভিমান বশত। কিন্তু সত্যের প্রতি নিষ্ঠ বশত প্রাচীন বিদ্যাকে সৰ্ব্বমানবের সম্পদ কবৃবার জন্য ভারতবর্ষে সর্বপ্রথম ব্ৰতী হয়েছিলেন আমাদের বাংলার রামমোহন রায় এবং তার জন্ত অনেকবার উrর প্রাণশঙ্ক পৰ্য্যন্ত উপস্থিত হয়েছে। আজ আমরা উীর সাধনার ফল ভোগ করূচি কিন্তু তাকে অবজ্ঞ করতে কুষ্ঠিত হইনি। তবু আজ আমরা তাকে নমস্কার করি। বিদ্যাসাগর মহাশয়ও সেইরূপ, আচারের যে হৃদয়হীন প্রাণহীন পাথর দেশের চিত্তকে পিষে মেরেছে, রক্তপাত করেছে, নারীকে পীড়া দিয়েছে, সেই পাথরকে দেবতা বলে’ মানেন নি, তাকে আঘাত করেছেন। অনেকে বলবেন যে তিনি শাস্ত্র দিয়েই শাস্ত্রকে সমর্থন করেছেন। কিন্তু শাস্ত্র উপলক্ষ্য মাত্র ছিল ; তিনি অন্তায়ের বেদনায় যে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন সে ত শাস্ত্রবচনের প্রভাবে নয়। তিনি তার বক্ষণার ঔদার্য্যে মানুষকে মানুষরূপে অনুভব করছে পেরেছিলেন, তাকে কেবল শাস্ত্রবচনের বাহকরুপে দেখেন নি। তিনি কতকালের পুঞ্জীভূত লোকপীড়ার সম্মুখীন হয়ে নিষ্ঠুর আচারকে দয়ার দ্বারা আধাত করেছিলেন। হৃদয়ের স্বীরা সত্যকে প্রচার করে” গেছেন । - আজ আমাদের মুখের কথায় তাদের কোনো পুরস্কার নেই। কিন্তু আশা আছে যে এমন একদিন আসবে যেদিন আমরাও সম্মুখের পথে চলতে গৌরব বোধ করব, ভূতগ্রস্ত হয়ে শাস্ত্রাতুশাসনের বোঝায় পঙ্গু হয়ে পিছনে পড়ে থাকব না, যেদিন “যুদ্ধং দেহি” বলে’ প্রচলিত বিশ্বাসকে পরীক্ষা করে নিতে কুষ্ঠিত হব না। সেই জ্যোতিৰ্ম্ময় ভবিষ্যংকে অভ্যর্থনা করে আনবার জন্যে যারা প্রত্যুষেই জাগ্রত হয়েছিলেন, তাদের বলব, "ধন্ত তোমরা, তোমাদের তপস্যা ব্যর্থ হয়নি, তোমরা একদিন সত্যের সংগ্রামে নিৰ্ভয়ে দাড়াতে পেরেছিলে বলেই আমাদের অগোচরে পাষাণের প্রাচীরে ছিদ্র দেখা দিয়েছে। তোমরা একদিন স্বদেশবাসীদের দ্বারা তিৰস্কৃত হয়েছিলে, মনে হয়েছিল বুঝি তোমাদের জীবন নিষ্ফল হয়েছে, কিন্তু জানি সেই ব্যর্থতার অন্তরালে তোমাদের কীৰ্ত্তি অক্ষয়ৰূপ ধারণ করছিল ।” সত্যপথের পথিকৃরূপে সন্ধানীরূপে নবজীবনের সাধনায় প্রবৃত্ত হয়ে, ভাবীকালের তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে একতালে পা ফেলে যেদিন আমরা এই কথা বলতে পারব সেইদিনই এই-সকল মহাপুরুষদের স্মৃতি দেশের .হৃদয়ের মধ্যে সত্য হয়ে উঠবে। আশা করি সেই শুভদিন অনতিদূরে । e শ্ৰী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিদ্যাসাগর-স্মরণসভায় বক্তৃতার মৰ্ম্ম (১৭ই শ্রাবণ, ১৩২৯ । এাহ্মসমাজ, কণিকাতা । ) শ্ৰীযুক্ত প্ৰদেওকুমার সেনগুপ্ত কর্তৃক অণুলিপি৩ ।