পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] AMAMA AMMMA AeMeMMAMAMA MMMMMMAMMMAMS যোগেশ-বাৰু বেশ বুঝিতেছিলেন, তিনি ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে অগ্রসর হইতেছেন, তাই এ বিবাহের প্রস্তাৰে মাধৰীর অসন্মতি থাকিলেও তিনি তাহাকে সম্মতি দিবার জন্ত নানাপ্রকারে অকুনয় করিতে লাগিলেন। মাধবীকে পিতুার মতে মত দিতে হইল। কিন্তু একমাত্র পিতার অনুরোধ বিবাহের কারণ বলা যায় না,—ইহার মধ্যে রজতের প্রতি একটু অভিমান ছিল, পিতার সঙ্গে দুঃস্বপ্নময় জীবনভারের প্রান্তি ছিল, নারীজনোচিত নবজীবনস্বাদের ঔৎস্বাক্য ছিল, আর নবজাগ্রত তরুণীচিত্তের ক্ষুধাও ছিল। মাধবী বিবাহের কারণ বুঝিতে চেষ্টা করে নাই, চেষ্টা করিলেও বুঝিতে পারিত না। যেদিন সে বিবাহে মত দিল তারপর দিন হইতে দেখিল, যতীনকে .সে সত্যই ভালবাসিয়াছে। তাহার দেহ স্বন্দর, তাহার সঙ্গ মধুর, তাহার বাণী মুখকর, তাহাকে ঘিরিয়া কি স্বপ্নরহস্তজাল বিজড়িত। বিবাহের পর যতীন মাধবীকে কয়লার খনিতে লইয়৷ গেল । সেখানে প্রথম মাস সত্যই যেন স্বপ্নের ঘোরে কাটিয়া গেল। সে যে কেমন করিয়া তাহার পূর্বজীবন, তাহার পিতার অবস্থা তুলিয় পরিপুর্ণ আনন্দে দিন কাটাইল তাহ ভাবিয়া সে নিজে-বিস্মিত লজ্জিত হইয়৷ উঠিত। সকালে যতীনকে চা করিয়া দিতে, দুইজনে বসিয়া এক টেবিলে খাইতে লে কি অপূৰ্ব্ব আনন্দ পাইত । তাহার গাম্ভীৰ্য্য, মাঝে মাঝে ভাঙিয়া যাইত, রমলার মত cन कईल ८कोछूकभशै श्रेष्ठ फेfड। ६उँौन काव्य চলিয়া গেলে প্রভাতের আলোর দিকে চাহিয়া বিরহিণী স্বপ্নের জাল বুনিত । দুপুরে আবার দুইজনে একসঙ্গে থাকার স্থখ, কত মৃদুগল্প, শীত মধ্যাহের রৌদ্রের দিকে চাহিয়া সে দিবাস্বপ্ন দেখিত। সন্ধ্যাবেলায় তাহারা প্রায় মোটর করিয়া বেড়াইতে বাহির হইত, উচুনীচু আঁকবাক লালপথ ধরিয়া কতদূর চলিয়া যাইত, যতীনের পাশে বসিয়া তাহার মোটর চালানর কায়দা দেখিয় তাহার বুক অসীম রূখে ভরিয়া উঠিত। কিন্তু এ স্বপ্নের ঘোর বেশীদিন রহিল না, মদের নেশার মত কাটিয়া গেল। নারীর সম্বন্ধে যতীনের ধারণা ছিল ংে নারী পুরুষের কাছে নেশার পাত্রের মত, সে যেন রমলী AMAeMAMAeAAAS SAAAAAA AAAA SAAA AAAA S S - ԵՏԳ SS MAAA AAAAA S SAAAA S MA AAAA AAAA ASASASA AAA AAAA SAAAAA SAAAAA SAAAAA AAAA AAAAMeeSAS SSAS SSAS জীবনের কাজের মধ্যে জুড়িয়া না বলে। সন্তান জন্মদান ও পালনের জন্ত প্রকৃতি নারীকে স্বষ্টি করিয়াছে; এ গতীহইতে জোর করিয়া বাহির করিয়া প্রকৃতির এ অভিপ্রায় পুরুষ যেন ব্যর্থনা করে। বস্তুতঃ, শিকার বা করা মোটর ইাকানর মত, বিবাহ করাটাও যতীনের কাছে জীবনের একটা সখ মেটান মাত্র। শিকার-শেষের পর বন্দুকটা যেমন বাক্সে পুরিয়া রাখে, কোথায় থাকে তাহার ঠিকানা থাকে না, তেমনি বিবাহের প্রথম মাসের পর যতীন মাধবীকে তাহার কলিকাতার বাড়ীতে পাঠাই দিল এবং নানা ব্যবসায়-সংক্রান্ত চিঠির সঙ্গে প্রতিসপ্তাহে একখানি করিয়া চিঠি লিখিয়া খোজ লইত সে বাচিয়া অৗছে কি না । কৈিলা আকাশের এক প্রান্ত হইতে অপর প্রান্ত পৰ্য্যন্ত অগ্নিরেখা টানিয়া একটা বিদ্যুৎ চমকিয় গেল। মাধবীর মনটাও অমনি চমকিয় উঠিল। সে ভাবিতেছিল, হয়ত সব বিবাহে এইরকমই ঘটে, এইরূপ ক্ষণিক আনন্দ স্বপ্নমায়ার পর দীর্ঘ অবসাদ, প্রান্ত জীবনভার। সত্যই ত, উবার আকাশে আলোর হোলিথেল কতক্ষণ থাকে, সে রঙের স্বপ্ন নিমেষে টুটিয়া যায়, সমস্তদিন ধরিয়া বর্ণহীন তপ্ত জালাময় আলোর দীপ্তি, তারপর স্নিগ্ধ অন্ধকারভর রাত্রি আসে। সে মৃত্যুরাত্রির অতল কালে স্নেহের জন্ত এখনও তাহার প্রাণ তৃষিত হইয় উঠে নাই বটে, কিন্তু এ সজল অন্ধকার তাহার বড় ভাল লাগিড়েছিল না, ইচ্ছা হইতেছিল জনহীন পথে মত্ত-বাতাসের সঙ্গে তামসী রাত্রে বাহির হইয় পড়ে । আর সত্যসত্যই তাহাদের বিবাহ ধদি ভুল হইয়া থাকে ! এ ভুল সংশোধন করিবার কি কোন উপায় নাই? তাহা হইলে কি সমস্ত জীবন দুইজন দুইজনকে ফাকি দিবে, প্রেমের ভণ্ড অভিনয় চলিবে আর—,আর তাহার ভাবিতে ভাল লাগিতেছিল না। ব্লাউসের ভিতর হইতে কাজীসাহেবের চিঠিখানি বাহির করিল। কাজীসাহেব তাহার নববিবাহিত জীবনের নানা স্থখচিত্র নানা রংএ বর্ণনা করিয়া বহুফাসীকবিতামণ্ডিত করিয়া এক দীর্ঘপত্র লিখিয়াছেন, তাহার এই কল্পিত আনন্দগুলির কথা পড়িয় তাহার - ঠোটে এক ব্যঙ্গ হাসি থেলিয়া গেল । তারপর চোখ | ছলছল করিয়া উঠিল। চিঠির সবশেষে কাজীসাহেব ها یا مایه تهیه ۶د