পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

υ-Φυ" মৈত্রেয় সপ্রমাণ করিয়া দিয়াছেন বে বাঙ্গালার ভূগর্ভ হইতে যত প্রতিম! বারি হইতেছে, যত রৌদ্ধমুত্তি আবিষ্কৃত হইতেছে, তালুদের Technique ভারতবর্ষের অস্ত প্রদেশ হইতে সম্পূর্ণ পৃথক ও স্বতন্ত্র। বাঙ্গালীর ভাস্কৰ্য্য অপূৰ্ব্ব ও স্বতন্ত্র। বাঙ্গালার বাদ্যভাণ্ডের মধ্যে খুব বিশিষ্টত। প্রকট হইয় আছে ; বাঙ্গালার কবিওয়ালাদের ঢোল বাজনা অপূৰ্ব্ব ও অনস্তসাধারণ । এমন ভাবে ঢোল বজাইতে ভারতবর্ষের আর কোন জাতি পারে না। বাঙ্গালীর গৃহনিৰ্মাণ-পদ্ধতিও স্বতন্ত্র। এমন ঘর ছাইতে ভারতবর্ষের, বুঝি বা পৃথিবীর আর কোন জাতিতে পারে না। বাঙ্গালীর আটচালা ও চওঁীমওপসকল সত্যই বিদেশীয়ের বিস্ময় উৎপাদন করিত ; তেমনটি পৃথিবীর আর কোথাও ছিল না—নাইও । বাঙ্গালার “*प्रश्ब्र कांछ" वांत्रांजौब्र निछश ; छैश तांत्रांलांब्र वांश्रिब्र श्लि नl,-- ना३७ । ७भन कि बांत्रज्ञाब्र खनार्मिन, ब्रिवखब्र, खनरभञ्जग्न প্রভৃতি কৰ্ম্মকারগণ যেমন তোপ কামান তৈয়ার করিতে পারিত, দিল্লীর কারিকরে তেমনটি পারিত না, জাহান-কোষ, দল-মাদল, কালে থ| প্রভৃতি কামান এখনও তাহার সাক্ষ্য দিতেছে। বাঙ্গালীর নেীশিল্প সত্যই অপরাজেয় ছিল। এমন নৌকা বানাইতে, জাল বুনিতে ৬ারতের আর কোন জাতি পাতুি না বাঙ্গালার "বাট বৈঠার ছিপে চড়িয়া মীরকাসেম একরাত্রে গোদাগিরি হইতে মুঙ্গেরে গিয়াছিলেন। বাঙ্গালার আর-একটা শিল্প ছিল—কুসুম-শিল্প। নানা পুষ্পর আভরণ ও অলঙ্কার ৰাঙ্গালী যেমন তৈয়ার করিতে পারিত, এমন আর কোন জাতি পারিত না। আওরঙ্গজেবপুত্র যুবরাজ মহম্মদ পিতাকে লিথিয় পাঠাইয়|ছিলেন,–“কি আর মণিমুক্ত, চুণি পাল্লার লোভ দেখাও পিত, বাঙ্গালার কুসুমাভরণ দিল্লীর জড়োয় অলঙ্কার-সকলকে হেলায় পরাজয় করে। এমনটি তুমি দেখ নাই।" সে শিল্প লোপ পাইয়াছে। বাঙ্গালী আৰ্য্যাবর্তের মাৰ্য্যগণ হইতে একটা সম্পূর্ণ পৃথক জাতি । বৈদিক যুগের সম্বয় হইতে বাঙ্গালার এক স্বতন্ত্র সভাণ্ড ও মনুষ্য-সমাজ বিদ্যমান ছিল। প্রাচ্যের সে সভ্যত বৈদিক সভ্যতার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল । বাঙ্গালীয় বৈদিক ধৰ্ম্ম, সভ্যতা, আচার ব্যবহার কিছুই শিকড় গাড়িয়৷ বসিতে পারে নাই । যুগেযুগে, বারবারে পশ্চিম দেশ হইতে ব্ৰাহ্মণ ক্ষত্রিয়াদি আমূদনী করিয়াও বাঙ্গালীয় যাগ-যজ্ঞাদির তেমন প্রচলন হয় নাই। এত আক্রমগেও বঙ্গদেশ ও বাঙ্গালী জাতি স্বীয় বিশিষ্টতা রক্ষা, করিতে পারিয়াছিল, উপরন্তু আগন্তুকগণকে বাঙ্গালীর বিশিষ্টতায় মণ্ডিত করিতে পারিয়াছিল । বাঙ্গালী আৰ্য্যাবৰ্ত্তের অনুগামী হয় নাই বলিয়৷ মনে হয় আর্যাবৰ্বের পণ্ডিতগণ ঘোষণা করিয়া গিয়াছেন যে, তীর্থযাত্র। ছাড়া অন্ত কোন উদ্দেশ্বে বঙ্গদেশে বাইয়৷ বাস করিলে, “পুনঃসংস্কারমৰ্হতি ।” কেনন। বাঙ্গালীয় দীর্ঘকাল বাস করিলে সোমরসপায়ী গোঘ্ন আৰ্য্যগণের জাতিনাশ ঘটিত, তাছাদের বিশিষ্টত নষ্ট হইত। বাঙ্গালায় জৈন ধর্মের প্রথম বিকাশ হইয়াছিল, এমন কথা বলিলে অত্যুক্তি করা হইবে না । মহাবীর রাজমহলের কাছে কোন গ্রামে ভূমিষ্ঠ হইয়। জীবনের অৰ্দ্ধেকট কাল বৰ্দ্ধমান বিভাগে বা রাঢ়দেশে কাটাইয়াছিলেন ; বাম্বুপূজ্য উত্তর রাঢ়ে ও ভাগলপুর জেলার পূর্বাংশে জৈন ধৰ্ম্ম প্রচার করিয়াছিলেন । এই জৈন ধৰ্ম্ম বাঙ্গালীর বিশিষ্টতার পুষ্টি পক্ষে অনেকট। সহায়তা করিয়াছিল। গোরক্ষনাথের “নার্থী ধৰ্ম্ম” বাঙ্গালীর উত্তর রাঢ়ে খুব প্রসার লাভ করিয়াছিল। একপক্ষে জৈন তীর্থঙ্করগণ, অন্ত পক্ষে গোরক্ষনাথের যোগী শিষ্যগুণ বাঙ্গালীর বিশিষ্টতার পুষ্টি পক্ষে অনেক উপাদান সংগ্ৰহ করিয়া গিয়াছেন। বাঙ্গালারই কপিল-কণা, বাঙ্গালাই অহিংসা পরম ধর্শ্বের বেদী, বাঙ্গালাই জৈনাচাৰ্য্যগণের লীলাক্ষেত্র, বাঙ্গালায় সিদ্ধাচাৰ্য্যগণের প্রভাব এখনও ধৰ্ম্ম-কৰ্ম্মে, আচার-ব্যবহারে পরিস্ফুট। 4. so বঙ্গবাণী, ভাদ এr ঐ পাঁচকডি বন্দ্যোপাধ্যায় প্রবাসী-আশ্বিন, ১৩২ S AASAASA SAAAAS AAAAAS AAAAAS AAAAAS AAAAAS SSAS SSAS S S AAAA S S AAAAS S A S A S A S A S A S A S A S A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড S AAAAAA CS CC S A S A SAS S S AAAA S AAA AAAA AAAA SAS SSAS SJSJJSJJSJS J SSS JSSS SSSJJJSAAAA ۸۔ میں بر ۹ یہ , বাংলার নবযুগের কথা । t • ° ব্ৰাহ্মসমাজ ও স্বাধীনতার সংগ্রাম ংরেজী শিক্ষার ফলে বাংলায় নব্যশিক্ষিত সমাজে য়ে স্বাধীনতার আদর্শ জাগিয় উঠে, ব্রাহ্মসমাজই সৰ্ব্বপ্রথমে সেই আদর্শকে জীবনের সকল ক্ষেত্রে সর্বতোভাবে গড়িয়া তুলিবার চেষ্টা করেন। এই কারণেই পঞ্চাশ বৎসর পূৰ্ব্বে আমাদের মধ্যে ব্ৰাহ্মসমাজের প্রভাব এতট। বাড়িয়া উঠিয়াছিল। মহলি দেবেন্দ্রনাথের সময়েই এই স্বাধীনতার সংগ্রাম অীরস্ত হয় । এই স্বাধীনতার সংগ্রাম পরিপূর্ণমাত্রায় বাধিয় উঠে কেশবচক্সের নেতৃত্বাধীনে। সৰ্ব্বাঙ্গীন ধর্মের মূলসূত্র হইল সত্য ও স্বাধীনতা । নিজের বিচারবুদ্ধিতে যাহা সত্য বলিয়। মনে হয়, প্রাণ পাত করিয়াও তাহার অনুসরণ করিতে হইবে । এ বিষয়ে কোনও গ্রস্থের, কোনও পুরোহিত-সম্প্রদায়ের, সমাজের অধীনত স্বীকার করিলে চলিবে না. তাহাতে ধৰ্ম্মহানি হইবে। এই মূলমন্ত্র স্বাধীনতার মন্ত্র । এইভাবে সেকালের শিক্ষিত লোকমাত্রেই ব্রাহ্মভাবাপন্ন ছিলেন । কেশবচন্দ্র দেশাত্মবোধকে সে সময়ে বিশেষভাবে জাগাইয়া তুলেন । বিগত পঞ্চাশ বৎসর ধরিয়া বাঙ্গালী বে স্বাধীনতামন্ত্র সাধন করিয়া আসিয়াছে, বলিতে গেলে কেশবচন্দ্রই সেই মন্ত্রের একরূপ প্রথম দীক্ষাগুরু । জাতীয় স্বাধীনতা জগতের সর্বত্রই ব্যক্তিগত স্বাধীনতার উপরে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে । যেখানেই জাতীয় স্বাধীনতার প্রচেষ্ট৷ হইয়াছে, সেইখানেই তাহার গোড়ীয় একটা ধৰ্ম্মের প্রেরণ জাগিয়াছে । এবং এই ধর্মের প্রেরণায় মানুষ আগে তিতরের বাধন কাটিয়াছে, নিজের চিস্ত ও চিত্তকে বাহিরের বন্ধনমুক্ত করিয়াছে , পরিবারে ও সমাজে এই স্বাধীনতার আদর্শকে গড়িয়া তুলিতে গিয়াছে, এবং পরিণামে এই ব্যক্তিগত স্বাধীনত স্বধৃঢ় ভিত্তির উপরেই নিজের রাষ্ট্রের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করিবার জন্থ অগ্রসর হইয়াছে । ভিতরে যে দ্বাস, বহিরে সে স্বাধীন হইতে পারে না । পরিবারে এবং সমাজে যে আপনার বিচারবুদ্ধি •এবং বিশ্বাস অনুসারে চলিতে ভয় পায়, সে কথনও নিউকি হইয়। একতন্ত্র রাজশক্তির সম্মুখীন হইতে পারে না । কেবল সাংসারিক মুখ স্ববিধ যেখানে জাতীয় বা প্লাষ্ট্রীয় স্বাধীনতার মূল প্রেরণা হইয় রহে, সেখানে এই স্বাধীনতার সংগ্রাম কদাপি জয়যুক্ত হইতে পারে না । যেখানে জয়যুক্ত হয়, সেখানে "দেশের জনলাধারণে এক অধীনতা হইতে মুক্তিলাভ করিয়৷ অপর অধীনতাতে যাইয় পড়ে, 'স্ব'য়ের উপরে দাড়াইতে পারে না। আমাদের বর্তমান রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতার প্রচেষ্ট্র। যে পরিমাণে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অাদর্শের প্রেরণা লাভ করিয়াছে, সেই পরিমাণেই তাহ। বিশুদ্ধ উদার এবং অপরাজের হইয়াছে এবং হইতেছে। এই দিক দিয়া ভারতের, বিশেষতঃ বাংলার, বৰ্ত্তমান স্বাধীনতার অন্দোলনের ইতিহাস আলোচনা করিলে, ইহার মূলে একরূপ প্রথম শিক্ষা- ও দীক্ষা-গুরুরূপে কেশবচন্দ্র এবং উাহার প্রতিষ্ঠিত ভারতবধাঁর ব্রাহ্মসমাজকে দেখিতে পাই । কেশবচন্দ্র বা ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ সাক্ষাৎভাবে রাষ্ট্রীয় পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙ্গিতে চেষ্টা করেন নাই, একথা সত্য। কিন্তু সে সময় রাষ্ট্রীয় বন্ধনের.বেদনাও লোকে অনুভব করিতে আরম্ভ করে নাই । বন্ধনের বেদন যেখানে নাই, মুক্তির বাসনাও সেখানে জ্ঞাগে না । পঞ্চাশ বৎসর পূর্বে ইংরেজের শৃঙ্খল আমাদের গলায় বাধে নাই। প্রচলিত হিন্দুধর্মের কৰ্ম্মকাণ্ডে এবং জাতিভেদের উপরে প্রতিষ্ঠিত ও ছুৎমাৰ্গচারী সমাজের কঠোর রজুটাই আমাদিগের গলার এবং হাতে ও পারে বড়ই বাজিয়া উঠিয়াছিল। এইখানেই বন্ধনের বেদন জাগিয়ছিল। পৌরাণিক দেবদেবীতে বিশ্বাস ব্লাই, অর্থ তাহাদিগের নিকটে