পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२०

  • ヘヘヘヘヘヘー・ペヘー、、、。。。、、、ヘヘー、ヘー

সকল সহরের ন্যায় নয়ন-বিস্ময়কর, নান৷ তক্ষণ-শিল্প-কলাপূর্ণ, দূরবিস্তার উত্তঙ্গ প্রাসাদ এখানে নাই। প্রাসাদের সন্নিকটে সুরমা উদ্যান বা প্রমোদ-কেলি-কুঞ্জ ও এখানে নাই। প্রাসাদপ্রাচীরে আলোকমালার রহস্য-ময় কম্পনে, চিত্রাবলীর শোভনীয় মণ্ডনে এ প্রাসাদের কোন বিশেষত্ব নাই। গৃহ-নিৰ্ম্মাণের কৌশলে, স্থাপত্যবিদ্যার অনুশীলনে এই সহর প্রায় সৰ্ব্বপ্রকার বিশেষত্ব-বর্জিত। এই সহরের মধ্যে এক মিউজিয়াম ভিন্ন কোন গৃহই সাধারণের দৃষ্টি প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ ,১৩২২ [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড লাগিল। প্রথম মিছিলের দিন দেখিলাম তিনি সামান্য প্রহরীর বেশে নগ্নপদে নগ্নদেহে আসি ও বম্ম হস্তে পারিষদ গণের সঙ্গে মূল্যবান কারুকার্য্য-খচিত বস্ত্র এবং স্বর্ণরৌপ্যের অলঙ্কার ভূষণে শোভিত হস্তী-অশ্ব-শ্রেণীর পশ্চাতে পশ্চাতে শ্ৰীশ্ৰীপদ্মনাভস্বামী নামক দেবতাকে তাহার মন্দির হইতে সমুদ্রে স্নান করাইতে যাইতেছেন। কিঞ্চিং অধিক দুই মাইল পথ মহারাজ। এই ভাবে পদব্রজে ও নগ্নদেহে গমন করিলেন। দ্বিতীয় দিন তাহার ঐশ্বৰ্য্য to শোভন । আর সমস্তই দীনভাব-ব্যঞ্জক । প্রাসাদে যাহা দেখি মহারাজার পরিচ্ছদাদির মধ্যেও সেই ভাবেরই প্রাবল্য দেখি। আরাট-মিছিলের সু-সজ্জিত হস্তী অশ্ব ও বাদ্যভাণ্ডের মধুর কম্পনের মধ্যে দুই দিন ত্রিবাঙ্কুর-নরেশকে দেখিলাম এবং দুই দিনই বেশভূষা দেখিয় তাহার দীনতার কথাই বিশেষ করিয়া মনে হইতে ভূতের নাচে লালহত কাঠের भूक्षण । আকর্ষণ করে না। এই মিউজিয়াম ও সাহেবদিগের দুইএকটি বাসভবন ও ক্লব-গৃহ রাজপ্রাসাদ অপেক্ষ সুদৃশু ও বেশ হইলেও আমরা এই দেশে সামান্য জমিদারপুত্রেরও বাহাড়ম্বর-পূর্ণ পরিচ্ছদ দেখিয়া থাকি। দ্বিতীয় দিবস মহারাজা অগণিত তোপধ্বনির মধ্যে, বহু সু-সজ্জিত সশস্ত্র সেনানীর দ্বারা পরিবেষ্টিত হইয়া, অযুত নরনারীর ভক্তিনত मृछेि ভেদ করিয়া চতুরখযোজিত শকটে আরোহণ করিয়া 2|게 মন্দিরাভিমুখে যাত্র করিলেন। মহারাজ। দেশাধিপতি হইলে ও তিনি জানেন তিনি পদ্ম - হইতে ー・ヘヘヘーヘヘヘン、/ ゞヘーベーダーヘヘヘヘ T ২য় সংখ্যা ] ヘヘヘヘヘヘへダ・ゾ・グ・ダゾ°・ ・ ・バーグ*ー^ヘーベ তাহার নাভ স্বামীর দাসমাত্র । নামের উপাধিও পদ্মনাভদাস। তিনি দেশ শাসন করেন পদ্মনাভের নামে । যা কিছু করেন সমুদায়ই দেবতার গৌরবের জন্য। দেব-সেবা এক পরম পবিত্র অধিকার । দেবত দয়া করিয়া তাহাকে এই সেবার অধিকার প্রদান করিয়া তাহাকে সৰ্ব্ব প্রকারেই ধন্য ও কৃতাৰ্থ করিয়াছেন। মহারাজা বাহা জীবনে যে দেবসেবার প্রাধান্য প্রকাশ করিতেছেন অস্তরে সেই ভাবের প্রকৃত অবস্থান হইলে তিনি ও ধন্য, তাহার শাসিত দেশও ধন্য । ত্রিবার রাজ্যের সর্বপ্রধান গৌরবের বিষয় পূর্ব কৰ্ম্ম। এই পৃষ্ঠবিভাগ যেসকল অদ্ভূত কৰ্ম্ম সম্পন্ন করিয়াছেন তাহার দুই একটি মাত্র উল্লেখ করিয়া আমার বক্তব্য প্রমাণ করিব । রাজ্যমধ্যে নানাস্থানে ক্ষুদ্র বৃহং যেসকল হ্রদ ছিল তাহার দেশের কোন পরশুরাম-ক্ষেত্র SSX


- - - ----------

উপকার করিতে পারিত না। পূৰ্বকৰ্ম্মচারীগণ এইসকল হ্রদ সংযোজিত করিয়া বাণিজ্য-সস্তার বহনের পথ সুগম ও সহজ করিয়া দিয়াছেন । এই সংযোজনক্রিয়৷ যে কত দুরূহ তাহ অভিজ্ঞ ব্যক্তি ভিন্ন সকলে সম্যক পরিবেন না। কোন হ্রদের গভীরতা অধিক, কোথাও তাহ অল্প। এইসকল বিভিন্ন-প্রকারের গভীরত-বিশিষ্ট হ্রদকে এক প্রকার সমতলে আনয়ন করিয়া জলপার। ধীরে ধীরে অগভীর হইতে গভীরে অানিয়া কোন স্বাভাবিক শ্ৰোতস্বতীর সহিত মিলিত করিয়া দেওয়া নিতান্তই দুরূহ কৰ্ম্ম । এই কৰ্ম্মে এই বিভাগ সফল হইয় হৃদয়ঙ্গম করিতে ভূতের নাচে রাবণ ও মন্দোদরীর অভিনয় । দেশকে স্বর্থী ও ধনী করিয়াছেন। অপর আর-এক কৰ্ম্মে পূৰ্বকৰ্ম্মচারীগণ অধিকতর কৃতিত্ব দেখাইয়াছেন। নগরকইল অঞ্চলে কোন কোন পৰ্ব্বতশৃঙ্গে ঝরণা-নিঃস্থত জলধারা গিরি-গাত্র বহিয়া অধিকাংশস্থলেই অযথা অপব্যয়িত হইতেছিল। পূৰ্বকৰ্ম্মচারী এই জলধারাকে সংগ্ৰহ -