পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- - 8〉め (১) গোপাল রাজা নিৰ্বাচিত হইয়াছিলেন ( had been elected ) a sqi থালিমপুর তাম্রশাসনসম্মত । (২) গোপাল প্রথমে বাঙ্গলার রাজা নিৰ্ব্বাচিত হইয়া ছিলেন অর্থাৎ বাঙ্গলা তাহার নিবাস-ক্ষেত্র ছিল এবং .

    • {{{ * *footfotai ( He began to reign in Bengal, but afterwards reduced Magadha Amtz. Vol. IV, p. 366 )। বৈদ্যদেবের প্রশস্তি এবং রামচরিত বরেন্দ্রদেশকে পালবংশের "জনকভূ" বা পিতৃভূমি বলিয়৷ এই কথার সমর্থন করিয়াছে।

(৩) গোপালের পুত্রের নাম দেবপাল ; ধৰ্ম্মপাল দেবপালের পৌত্র, গোপালের প্রপৌত্র। একথা তাম্রশাসনে প্রদত্ত বংশাবলীর বিরোধী । (৪) ধৰ্ম্মপাল সম্বন্ধে তারানাথ যাহা লিথিয়া গিয়াছেন, ভিনসেন্ট স্মিথ তাহার সিফনার-কৃত জৰ্ম্মন অনুবাদের অবিকল ইংরেজী অনুবাদ প্রদান করিয়াছেন। যথা— "After him [ scil. 10evapal.i ], 1)harma.pala, the son of this king, was chösen as sovereign. lle exercised sovereignty for 64 years, and since he had also brought under his rule Kamarupa, Tirahuti, Gauda, &c., his dominions were very extensive, reaching on the east as far as the occan, on the west also under his power—Indian inland to Delhi ( Dili), on the north to a point below Jalandhar, and on the south over the inner valleys from the skirts of the Vindhva mountains.........Contemporary with this king 駕 Western India was Cakrayudha, as appears from the inscription on the 鬣 ( obelisk ) of the younger Sita of Jayasena. oughly speaking, it appears that he was a contemporary of the Tibetan king Khri srong lde bstan ( J. R. A. S. 1909, pp. 260-261 )." অর্থাৎ দেবপালের পর তাহার পুত্র ধৰ্ম্মপাল রাজা নিৰ্ব্বাচিত হইয়াছিলেন । ধৰ্ম্মপাল ৬৪ বৎসর রাজত্ব করিয়াছিলেন । ধৰ্ম্মপাল কামরূপ, তীরন্থত, গৌড় প্রভৃতি দেশ স্বীয় শাসনাধীন করিয়াছিলেন । তাহার রাজ্য পূৰ্ব্ব দিকে সমুদ্র পর্য্যন্ত, পশ্চিমে দিল্লি পর্যান্ত, উত্তরে জলন্ধরের সীমান্ত পর্যন্ত এবং দক্ষিণদিকে বিন্ধ্য পৰ্ব্বতের পাদদেশ পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল। জয়সেনের কনিষ্ঠ সীতার স্তম্ভলিপি হইতে পরিষ্কার বুঝিতে পারা যায়, ধৰ্ম্মপালের সমসময়ে চক্রায়ুধ ভারতের পশ্চিমাংশের অধিপতি ছিলেন । ধৰ্ম্মপাল তিব্বতের রাজা খ্রিস্রোং দেবস্তানের সমসময়ে বিদ্যমান ছিলেন—মোটামোটি একথা বলা যাইতে পারে। প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩২২ SSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড । SSMSSSMSSSMSSSMSSSJJS “জয়সেনের কনিষ্ঠ সীতা" অর্থ যে কি, তাহ এখনও স্থির হয় নাই, এবং কথিত স্তম্ভলিপিও আবিষ্কৃত হয় নাই। ধৰ্ম্মপালের সময় সম্ভবতঃ দিলি হয় নাই। ধৰ্ম্মপালের সাম্রাজ্যের পশ্চিম সীমা নির্দেশ করিবার জন্য তারানাথ S S S S S S S S S S S S S S S র্তাহার গ্রন্থ রচনার কালে সুপরিচিত দিল্লি নাম ব্যবহার - করিয়াছেন । এই অংশে তারানাথ যে-কয়েকটি কথা বলিয়াছেন, তন্মধ্যে এক দেবপালের ও ধৰ্ম্মপালের পরস্পরের সম্বন্ধ ভুল প্রমাণিত হইয়াছে। পক্ষান্তরে ধৰ্ম্মপালের রাজ্যের বিস্তৃতি সম্বন্ধে এবং চক্রায়ুধের সম্বন্ধে তারানাথ যাহা লিথিয়াছেন, তাহ পালবংশের এবং প্রতীহার-বংশের লিপির দ্বারা প্রমাণিত হইয়াছে। মোটামোটি বলিতে গেলে ধৰ্ম্মপাল যে তিব্বতের রাজা থিস্ৰোং দেবস্তানের সমসময়ে বিদ্যমান ছিলেন একথাও সত্য । নরপতির সময়ের একটি তারিখ আমরা ঠিক জানি। ৭৮৩ খ্ৰীষ্টাব্দে তিনি চীনের সম্রাট তিং সাংএর সহিত সন্ধি করিয়াছিলেন । লাসার জোকাং মন্দিরের স্বারদেশের নিকট প্রতিষ্ঠিত একটি স্তম্ভগাত্রে সেই সন্ধিপত্র উৎকীর্ণ রহিয়াছে ( J. R. A. S. 19০০, ৯২৩-৯৫২ পৃ: ) । জৈন । “হরিবংশ" হইতে জানিতে পারা যায়, ধৰ্ম্মপাল যে ইন্দ্রায়ুধ বা ইন্দ্ররাজকে পরাজিত করিয়া, চক্রায়ূধকে কান্তকুঞ্জের সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন, তিনিও ৭৮৩-৮৪ খৃষ্টাব্দে বিদ্যমান ছিলেন (গৌড়রাজমালা ১৯ পূ: )। সুতরাং ইন্দ্রায়ুধের সমসময়ে বিদ্যমান ধৰ্ম্মপালকে. তিব্বতরাজ থিস্ৰোং দেবস্তানের সমসময়ের লোক স্থির করিয়া তারানাথ অভিজ্ঞতার পরিচয় দিয়াছেন। তারানাথের গ্রন্থে গোপালের এবং ধৰ্ম্মপালের ইতিহাসের এতগুলি খাটি কথার উল্লেখ দেখিয়া অহমান হয়—এই যুগের ঐতিহাসিক বৃত্তান্তের কোনও নির্ভরযোগ্য আকরকোনও গ্রন্থ বা লিপি—-গ্ৰন্থরচনার সময় তারানাথের হাতের কাছে ছিল । একথানি স্তম্ভলিপির আভাস তারানাথ স্বয়ংই দিয়াছেন। তিনি ধীমান ও বীতপাল সম্বন্ধে যাহা লিথিয়াছেন, তাহ অমূলক নাও হইতে পারে। গোপালের এবং ধৰ্ম্মপালের সম্বন্ধে আমরা যে কিছু প্রমাণ পাইয়াছি, আমাদের এই সিদ্ধান্ত সেই-সকল প্রমাণসম্মত, সুতরাং Żagsfär-àfono (scientific induction ) પ્રાફે তিব্বতের এই সুপ্রসিদ্ধ । ৩য় সংখ্যা ] বলি না। বিজ্ঞান চরম সিদ্ধান্ত জানে না ; বৈজ্ঞানিক রীতি অনুসারে বিচারনিষ্ঠ ব্যক্তি কোনও সিদ্ধান্তকেই |: সিদ্ধাস্ত বলিয়। স্বীকার করিয়া অনুসন্ধান ত্যাগ সিদ্ধান্তই যে ধীমান ও বীতপাল সম্বন্ধে চরম সিদ্ধান্ত একথা করে না । প্রবন্ধের উপসংহারে স্বরেন বাৰু বৰ্দ্ধমান জেলার } অট্টহাসগ্রামে সম্প্রতি আবিষ্কৃত একখানি প্রস্তরমূর্তির, এবং আর চারিখানি সুপরিচিত ধাতুমূৰ্ত্তির উল্লেখ করিয়াছেন। প্রথমখানি কোন দেবতার মূর্তি তাহ অদ্যাপি নির্ণীত হয় নাই। দেবীর শ্বাসরুদ্ধ হইবার উপক্রমের সঙ্গে সঙ্গে “শীর্ণ অধরপ্রান্তে ক্ষীণ হাস্তরেখা শিল্পীর অপূৰ্ব্ব কলাকৌশলের নিদর্শন” বলিয়া কথিত হইয়াছে। জন্য তুলনার চর্চিকা দেবী । আমাদের সংগ্রহালয়ে স্থিত একখানি "জরাজীর্ণ শীর্ণ" দেবীমূৰ্ত্তির প্রতিকৃতি দিলাম। এই মূখিানি দীনাজপুর জেলায় পাওয়া গিয়াছে। মূৰ্ত্তির উপরদিকে খোদিত আছে"চর্চিকা"। অর্থাৎ মৃদ্ভিধানি চর্চিকার বা চামুণ্ডার মূৰ্ত্তি। মূৰ্ত্তি কয়গানির গুণগান করিয়া স্বরেন বাবু সিদ্ধাস্ত করিয়াছেন— "রাঢ়ে ও বঙ্গে আবিষ্কৃত এই সমস্ত নিদর্শনের প্রমাণের বিরুদ্ধে কেবল তারানাথের উক্তির উপর নির্ভর করিয়৷ বরেন্দ্রবাসী ধীমানকে - পুরাবৃত্ত আলোচনা 、。。ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘーへヘヘヘヘヘー --------------------------SumitaBot (আলাপ) - 8>> গৌড়ীয় শিল্পরীতির প্রতিষ্ঠাতা নির্দেশ করা বিজ্ঞানসন্মত প্রণালীর অনুমোদিত হয় নাই।” এই-সকল মূৰ্ত্তি হইতে স্বরেন বাবু যে কি প্রমাণ সংগ্ৰহ করিলেন, এবং আমরাই বা কেমন করিয়৷ সেই প্রমাণের বিরুদ্ধাচরণ করিলাম, তাহা বুঝিতে পারিলাম না। এইসকল মূৰ্ত্তির রচনারীতি যদি বরেন্দ্রে আবিষ্কৃত মূৰ্ত্তিনিচয়ের রচনারীতির অনুরূপ না হয়, অন্যরূপ হয়, তবে আমরা রাঢ়ে বঙ্গে এবং বরেস্ত্রে স্বতন্ত্র ওস্তাদের প্রতিষ্ঠিত স্বতন্ত্র শিল্পিগোষ্ঠীর অস্তিত্বই স্বীকার করিব, একই ধীমান বরেক্সে এক প্রকার শিল্লিরীতি প্ৰবৰ্ত্তিত করিয়া, রাঢ়ে অন্যপ্রকার শিল্পরীতি প্ৰবৰ্ত্তিত করিয়াছিলেন একথা কখনই বলিতে পারিব না। স্বরেনবাবু কিন্তু রীতিবৈষম্য স্বীকার করেন না। তিনি বলেন, "গৌড় বঙ্গ মগধ অঙ্গ ও রাঢ়ে একই শিল্পরীতি প্রচলিত ছিল।” এ কথা মানিয়া লইলে, সেই রীতির উৎপত্তিস্থানও যে একটাই ছিল, তাহাও মানিয়া লইতে হয় । যিনি ধৰ্ম্মপালের খালিমপুরের তাম্রশাসন আবিষ্কারের পূৰ্ব্বে আমাদিগকে গোপালের নির্বাচনের কথা শুনাইয়াছিলেন, এবং নারায়ণপালের ভাগলপুরের তাম্রশাসন আবিষ্কারের পূৰ্ব্বে চক্রায়ুধের কথা শুনাইয়াছিলেন, সেই তারানাথের কথার অনুসরণ করিয়া, আমরা আপাতত বলিতে চাই—গৌড়শিল্পরীতির জন্মস্থান ধীমান ও বীতপালের কারখানা। এই সিদ্ধান্তও আমরা চরম সিদ্ধান্ত বলিয়া ধরিয়া থাকিতে চাই না । ২। বৌদ্ধধৰ্ম্ম কোথা হইতে আসিল । পত্রাস্তরে (ভারতবর্ষ, ১০১৮ পূ: ) প্রকাশিত প্রবন্ধের গোড়ায় স্বরেন্দ্রবাবু লিখিয়াছেন— "মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয়ের বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে বেসকল প্রবন্ধ "নারায়ণে ধারাবাহিকরূপে প্রকাশিত श्रटरइ, সেগুলি । সারগর্ভ ও শিক্ষাপ্রস্থ হইলেও উত্তরবঙ্গের কতকগুলি ব্যক্তির সম্পাদন করিতে পারে নাই। উত্তরবঙ্গের দুইজন অধ্যাপক ছুইখানি স্থানীয় মাসিক পত্রিকায় শাস্ত্রী মহাশয়ের প্রবন্ধের প্রতিবান করিয়াছেন।” - এই কতকগুলি ব্যক্তির মধ্যে দুইজন অধ্যাপক ছাড়া আর র্যাহারা থাকিতে পারেন, তাহাদের পক্ষে কিছু বলিব । সারগর্ভ এবং শিক্ষাপ্রদ মনে করিয়াই, শাস্ত্রী মহাশয় যখন যাহা লেখেন, তাহা আমরা সাদরে পাঠ