পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS নিরাধার প্রেমধারা ভরি সংসার উছলি পরশে আমরায় । সে প্ৰেম অমর করে ধরার ধূলায়, সে প্রেমের রূপ অপরূপ, সে প্রেম দেউল রচি’ আকাশ-গুহায় জালে তায় চির-পূজা-ধূপ ; সম্রাট! সেই প্রেম প্রাণে তব ভায় মরলোকে অমৃত স-রূপ। সে প্রেমের ভাগ পেয়ে শিলা মৰ্ম্মর মৰ্ম্মের ভাষা কয় আজ, কামিনী-পাপড়ি হেন হয় প্রস্তর, হয় শিলা ফুলময় তাজ ! চামেলি-মালতী-যুখীময় স্বন্দর ছত্রে বিরাজে মমতাজ! যে ছিল প্রোসী, আজি দেবী সে তোমার তুমি তার গড়েছ দেউল, অঞ্জলি দেছ রাজা ! মণি-সম্ভার কাঞ্চন-রতনের ফুল । ঢেকেছ মোতির জালে দেহ-বেদী তার অশ্র-মুকুতা-সমতুল । সিংহলী নীলা, রাঙা আরবী প্রবাল, তিব্বতী ফিরোজা পাথর, বুন্দেলী হীরা-রাশি, আরাকানী লাল, স্বলেমানী মণি থরেথর, ইরানী গোমেদ, মরকত থাল থাল পোথ রাজ, বুদী, গুলনর, চার-কো-পাহাড়-ভাঙা মসী-মৰ্ম্মর, চীন তুতী, অমল স্ফটিক, ঘশলমীরের শোভা মিশ্র-বদর এনেছ চুড়িয়া সবদিক, মধুমৎত্বিষ, মণি ফুধিয়া পাথর দেউলে দেওয়ালী মণি-শিখ | প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩২২ [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড সাত শো রাজার ধন মানস-মাণিক সপেছ তা সবার উপর, তাই তো তাজের ভাতি আজো অনিমিথ, তাইতে সে চিরসুন্দর ; তাই শিস দিয়ে ফেরে নন্দন-পিক গায় কানে গান মনোহর । তাই তব প্রেয়সীর শুভ-কামনায় ওঠে যবে প্রার্থনা-গান, মৰ্ম্মর গুম্বজ ভরি’ ধ্বনি ধায়, পরশে সে সপ্ত বিমান, লুফে লুফে ব্যোমচারী মুখে মুথে তায় দেবতায় সাপে সেই তান । সে ছিল বধূ ও জায়া ; মাতা তনয়ের ; তবু সে যে উৰ্ব্বশীপ্রায় চিরপ্রিয়, চির-রাণী, নিধি হৃদয়ের, চির-প্রেম লুটে তার পায় ; চির-আরাধনা সে যে প্রেম-নিষ্ঠের চির-চাদ স্মৃতি-জ্যোৎস্নায় । বাদশাহী উবে গেছে, ডুবেছে বিলাস, ভালবাসা জাগে শুধু আজ, জেগে অাছে দম্পতী-প্রেম অবিনাশ জেগে আছে দেহী প্রেম—তাজ ; জগতের বুক ভরি উজলি আকাশ প্রিয়স্কৃতি করিছে বিরাজ । উজ্জ্বল টুকরা তাজ চন্দ্রলোকের পড়েছে গো খসে জুনিয়ায়, এ যে মহা-মৌক্তিক দিগ বারণের মহাশোক-অস্কুশ-ঘায় এসেছে বাহিরি’ ,—নিধি সৌন্দর্ঘ্যের প্রেমের কিরীটে শোভা পায় । মনো-যতনের সনে মণি-রতনের দিল বিয়া রাজা শাজাহান ! ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ/ T 8र्थ ग९५] ] পুণ্য-প্রতিমা পানে চাহিয়৷ তাজের কেটে গেল কতদিনমান ! বিরহীর অবসান হ’ল বিরহের যেই ক্ষণে টুটিল পরাণ। সাধক পাইল ফিরে সাধনার, ধন, প্রেমিক পাইল প্রেমিকায়, হৃদয় হৃদয় পেল, মন পেল মন, কবরে মিলিল কায়ে কায় ; ঘটাইল বারে বারে নিয়তি মিলন জীবনে,—মরণে পুনরায় । গোলাপ ফোটে না আর,— গোলাপের বাস হেথা তবু ঘোরে নিশিদিন, আকাশের কামধেনু ঢালে স্মিতহাস শিণির ক্ষীরধারা ক্ষীণ ; মৌন হাওয়ায় পড়ে চাপা নিশ্বাস যমুনা সে শোনে তটলীন । মরণের কালি হেথা পায় না আমল, শ্মশান—ভীষণ তবু নয়, বিলাস-ভূষণে তাজ নহে টলমল রাজা হেথা প্রতাপী প্রণয় ; মৃত্যুর অধিকার করিয়া দখল জাগে প্রেম, জাগে প্রেমময় । আজিকে দুয়ারে নাই চাদির কবাট— মোতির কবর-পোষ আর, তনু-বেদী ঘিরি’ নাই কাঞ্চন-ঠাট, বাগিচায় নাহিক বাহার ; তবু এ অভ্ৰভেদী জ্যোৎস্ব জমাট রাজাসন প্রেম-দেবতার। মথমল ঝলমল পড়ে না কানাং শাজাদীরা আসেনা কেহই, করে না শ্রাদ্ধদিনে কেহ থয়রাং থিবুনির তরুগুলি বই ; সতু ○ >○ বাদশা ঘুমান হেথা বেগমের সাথ, অবাক! চাহিয়া শুধু রই ! ঝরে গেছে মোগলের আফিমের ফুল— মণিময় ময়ূর-মাসন, কবরে জেগেছে তার চামেলি-মুকুল মরণের না মানি’ শাসন ; অমল সে ফুলে চেয়ে যত বুলবুল জুড়িয়াছে পুলক-ভাষণ। ঞ্জিত মরণের বুকে গাড়িয়া নিশান জয়ী প্রেম তোলে হের শির, ধবল বিপুল বাহু মেলি চারিখান ঘোষে জয় মৌন গভীর, চির সুন্দর তাজ প্রেমে নিরমাণ শিরোমণি মরণ-ফণীর। ঐসত্যেন্দ্রনাথ দত্ত। সতু (প্রবাসীর সপ্তম পুরস্কার প্রাপ্ত গল্প) "সতু" তার ডাক-নাম। আসল নামটি ছিল, “সতীশ”। গ্রামের সকলেই তাকে ভালবাসিত। কেহ কেহ বলিত, সতু বড় দুষ্ট ; কিন্তু যারা বলিত, তারাও সতুকে ভালবাসিত। তবে ইহাও সত্য বটে, যে, সে নিতাস্ত নিরীহ গোবেচারী ছিলনা। সে সারাদিন হাটে মাঠে ঘাটে ঘুরিয়া বেড়াইত, মাছ ধরিত, নদীর ঢেউয়ে ঝাপাইয় সাতার কাটিত, গাছের ডালে ঝুলিয়া দোল খাইত, আবার জেলে কিম্ব মালীতে তাড়া করিলে, দূর হইতে তাদের লক্ষ্য করিয়া মাটির ঢেলা ছুড়িয়া পলাইত। ছেলেদের . একটা দল ছিল ; সতু সেই দলের দলপতির স্থান অধিকার করিয়াছিল। বল ও বুদ্ধির তুলনায় সমবয়স্ক সকল বালককেই তার কাছে মাথাটি নীচু করিতে হইয়াছিল। যখন সদলবলে সতু পথে বাহির হইত, তখন গ্রামের অনেককেই ভয়ে ব্যস্ত হইতে হইত। কেননা, লুকাইয়া