পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৬৬ へヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ。 মণি' নামক তন্সের রচয়িত লিথিয়াছেন—“আমি নিজে পরীক্ষাদ্বারা যাহা জানিতে পারিয়াছি তাহাই লিপিবদ্ধ করিতেছি। তন্ত্রানুযায়ী প্রাচীন ও প্রামাণিক গ্রন্থের রচয়িতা ঢুণ কনাথ, আরও লিথিয়াছেন— অধ্যাপয়স্তি যদি দর্শয়িতুং ক্ষমন্তে স্বতেন্দ্ৰ কৰ্ম্মগুরবে। গুরবস্তু এব। শিয্যাস্তু এব রচয়ন্তি গুরো পুরো যে শেষা: পুনস্তদুভয়াভিনয়ং ভজন্তে । যাহারা শিক্ষণীয় বিষয় পরীক্ষাদ্বারা দেখাইতে পারেন তাহারাই প্রকৃত শিক্ষক। যে-সকল ছাত্র শিক্ষকের নিকট হইতে পরীক্ষাগুলি শিথিয় নিজে নিজে সেইগুলি করিতে পারেন তাহারাই যথার্থ শিক্ষার্থী। এতদ্ব্যতীত অন্যান্য শিক্ষক ও ছাত্রগণ রঙ্গমঞ্চের অভিনেতা মাত্র। o অস্ত্র-চিকিৎসা ও তৎসংক্রান্ত যন্ত্রাদি বিষয়ক নানাবিধ প্রয়োজনীয় তথ্যপূর্ণ প্রাচীন স্থশত গ্রন্থে প্রত্যক্ষ জ্ঞানের আবশ্যকতা সম্বন্ধে নিম্নলিথিত শ্লোকটি আছে— প্রত্যক্ষতে হি যদৃষ্টং শাস্ত্রদৃষ্টং চ যদভৰেং ৷ সমাসতন্তছভয়ং ভূয়ে জ্ঞানবিবৰ্দ্ধনম | যে দেশে একদা প্রত্যক্ষ জ্ঞানের এত অাদর ছিল, কালে সেই দেশেরই কবিরাজগণ শরীরতত্বের প্রত্যক্ষ आन लाङ मा করিয়াই চিকিৎস৷ করিতে লাগিলেন । কি পরিতাপের বিষয় । সেদিন যখন মধুসূদন গুপ্ত সহস্ৰবর্ষব্যাপী কুসংস্কার পদদলিত করিয়া, কলিকাতা মেডিকেল কলেজে শবদেহে অস্ত্রপ্রয়ােগ করলেন, তখন তাহাকে উৎসাহ প্ৰদানার্থ ফোট উইলিয়ম কেল্লা হইতে তোপ ছোড়া হইয়াছিল। - হিন্দুগণের রাসায়নিক সাহিতো যে-সকল প্রক্রিয়ার উল্লেখ আছে, তৎসমৃদয়ের সবিশেষ বর্ণনা করিলে প্রবন্ধ অত্যন্ত দীর্ঘ হইয়। যাইবে । সুতরাং আমি কেবল ঔষধপ্রস্তুত-প্রণালী ও ধাতুবাদ ( Metallurgy ) – až দুইটি বিষয়ের আলোচনা করিব । ক্ষার-প্রস্তুত-প্রণালী । উদ্ভিদের ছাই জলে গুলিয়। ছ'কিয় লইয়া, উঠার সহিত শামুকপোড়া চুন মিশাইয়া তীক্ষু ক্ষার প্রস্বত প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩২১ JS S S S S S S S SMSMMSMSMSMSMSJSJSS *^ヘ-へへヘヘー。ー。ー、ヘー、。。。。。。。 করিবার প্রণালী আধুনিক বিজ্ঞান-সন্মত। মুখতে মুছুক্ষার ও তীক্ষক্ষারের প্রভেদও বর্ণিত আছে। বঙ্গত, এই প্রণালীটি এমনই বিজ্ঞানসম্মত যে ইহা কোনও আধুনিক রসায়ন সম্বন্ধীয় পুস্তকে স্থান পাইতে পারে। স্ববিখ্যাত ফরাসী রাসায়নিক বার্থেলে মং প্রণীত হিন্দু রসায়নের ইতিহাসের সমালোচনাফালে এই পদ্ধতিটির বৈজ্ঞানিকতা ও মৌলিকতা দর্শনে এতই মুগ্ধ হইয়াছিলেন, যে, তাহার সন্দেহ হইয়াছিল যে সুশ্রীতের এই অংশটি ভারতবর্ষ ইউরোপীয়দিগের সংশ্রবে আসিবার পর লিখিত ও প্রক্ষিপ্ত হইয়াছে। কিন্তু, চুন মিশাইয়া মুছক্ষারকে তীক্ষারে পরিণত করিবার প্রণালী চক্রপাণি এবং বাগ্ভটেও দৃষ্ট হয়। স্বতরাং, ইহা যে ইউরোপীয় রাসায়নিকদিগের নিকট হইতে গৃহীত হয় নাই তাহ নিঃসন্দেহে বলা যায়। মিলিন্দপ্রশ্ন' || নামক পালি গ্রন্থ পাঠে দেখিতে পাই, যে, প্রাচীন ভারতে তীক্ষার দ্বারা দুরারোগ্য ক্ষত সকল পোড়াইয়া দিবার প্রণালী প্রচলিত ছিল। হিন্দুগণ ধাতব পদার্থ প্রস্তুত করিতে যে অস্তৃত । নিপুণতা লাভ করিয়াছিলেন, কুতবমিনারের সন্নিকটবর্তী স্ববিখ্যাত লৌহস্তস্ত তাঙ্গর প্রকৃষ্ট প্রমাণ। বহুকাল যাবৎ এই লৌহস্তম্ভের বৃহৎ আকার রাসায়নিকগণের বিস্ময় উদ্রেক করিয়াছে। এ সম্বন্ধে রস্কো এবং শলেমার লিথিয়াছেন—“বর্তমান কালে বৃহৎ যন্ত্রাদির সাহায্যেg এরূপ প্রকাণ্ড স্তম্ভ নিৰ্ম্মাণ করা সহজ নহে। হিন্দুরা শুধু হাতে কিরূপে ইহা প্রস্তুত করিয়াছেন তাহ আমরা বুঝিতে পারি না।” আর-একজন উচ্চদরের রাসায়নিক বলিয়াছেন—"সে সময়ে এরূপ বৃহদায়তন লৌহস্তম্ভ প্রস্বত করিবার উপযোগী যন্ত্রাদির যেরূপ অভাব ছিল, তাহ বিবেচন। করিলে, স্পষ্টই প্রতীতি হয় যে তৎকালের কারিকরগণ পূৰ্ত্তকাৰ্ঘো সুনিপুণ ছিলেন। ১৮৫১ খ্ৰীষ্টাব্দে ইউরোপ এবং আমেরিকার সমস্ত লৌহের কারখানা একত্রিত হইয়। এরূপ বিশাল লৌহস্তম্ভ প্রস্তুত করিতে পারিত কি না তাহা সন্দেহস্থল।" লৌহ সম্বন্ধে পারদর্শী স্যার রবার্ট হাডফিল্ড প্রাচীন ভারতে লৌহ প্রস্তুত বিষয়ে গবেষণা করিয়া স্থির সিদ্ধান্ত করিয়াছেন যে হিন্দুগণই এ বিষয়ে অগ্রগামী । [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড । ৫ম সংখ্যা ] ...~~-- ‘স্বপ্রত হইতে আরম্ভ করিয় রসরত্নসমুচ্চয় পৰ্যন্ত গ্রন্থসমূহে ছয়টি ধাতুর উল্লেখ দেখতে পাওয়া যায়। এই ছয়টি ধাতুর নাম—স্বৰ্ণ, রৌপ্য, রঙ্গ, সীসক, তাম্র ও লৌহ । শেষোক্ত গ্রন্থে পিত্তল ও কাংস মিশ্র ধাতু বলিয়া পরিগণিত হইয়াছে। রাজা মদনপাল কর্তৃক ১৩৭৪ খ্ৰীষ্টাব্দে লিখিত চিকিৎসাবিষয়ক অভিধানে সৰ্ব্বপ্রথম-দস্তার উল্লেখ দেখিতে --- পাওয়া যায়ু । দক হইতে সত্বপাতন অর্থাৎ যশ বা দন্ত নিষ্কাশনের প্রক্রিয় । দস্তু প্রস্তুত করিবার প্রাচীন হিন্দু প্রণালী ( অধঃপতন )। রসার্ণব-তন্ত্রে দস্ত। প্রস্তুত করিবার চতুদশ শতাব্দীর পূৰ্ব্বে নামক পুস্তকে দস্তা প্রস্তুত म८९ । বর্ণিত অাছে। 'রসরত্নসমুচ্চয়' বর্ণিত পদ্ধতির অবিকল অমুরূপ। নব্য হিন্দু রসায়ন-শাস্ত্রের প্রাচীনত্ব হিন্দুগণই প্রথম রসক (calamine) হইতে দস্ত। প্রস্তুত করেন। প্যারাসেলসস দস্তার নাম করিয়াছেন বটে, কিন্তু ইহার প্রকৃতি সম্বন্ধে তাহার কোনও স্পষ্ট ধারণী ছিল কি ন। তাহ সন্দেহজনক , কারণ তিনি বলেন ইহা অতিসই প্রণালী লিখিত করিবার যে পদ্ধতি বর্ণিত আছে, তাহ অধুনাতন পাঠ্যপুস্তকে ইউরোপীয় (ఆగి ---. 、し、ヘヘヘヘヘヘヘヘーマ*** ------ প্রণালী এবং প্রাচীন হিন্দু প্রণালীর প্রতিকৃতি প্রদত্ত হইল । দুইটি প্রণালীই মূলত: এক এবং এই প্রণালীর প্রাচীন শাস্ত্রোক্ত নাম, অধঃপাতন, ইংরেজি পুস্তকোত্ত । distillatio per descensum RTCN3 সহিত একার্থবাচক । উভয় প্রণালীতেই একটি আচ্ছাদিত পাত্রের । মধ্যে রসক ও কোনও অম্লজানহারী পদার্থ (ইংরেজি প্রক্রিয়ায় কয়লা এবং হিন্দু প্রক্রিয়ায় গুড়, লাক্ষ, সোহাগা


- দুস্ত প্রস্তুত করিবার নবা ইউরোপীয় s-stað (toistillatio - per descensuii) ইত্যাদি ) রাখিয়া উত্তপ্ত করা হয় । কিছুক্ষণ পরে দস্তা বাহির হইয়া, তাপহেতু বাপআকার ধারণ করিয়ু, পাজনিম্নস্থ ছিদ্র দিয়া আর-একটি শীতল পাত্রের মধ্যে গিয়৷ পড়ে এবং জমিয়া কঠিন দস্তায় পরিণত হয়।