পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

《이y SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS - নারীর সৈনিক হওয়া উচিত কি না আজকাল সভ্যজগতের প্রধান দুটি সমস্যার মধ্যে একটি শ্রমজীবী-সমস্যা অপরটি নারী-সমস্যা । শ্রমজীবীসমস্যাট লইয়। শুধু মূলধনী ও শাসনকৰ্ত্তার মাথা ঘামাইলেই চলে, কিন্তু নারী-সমস্যাটা সকলের মস্তকই ঘৰ্ম্মাক্ত করিয়া তুলিয়াছে। এই সমস্যাটা লইয়। দুইটা দল গড়িয়া উঠিয়াছে। একদল বলেন “পুরুষ ও নারীর অভেদ অধিকার" ; অপর দল বলেন "অসম্ভব !" অধিকারপ্রাথিনী নারীর দল বলিতেছেন—“সকল বিষয়েই আমরা পুরুষের মত সমান ও অবাধ অধিকার চাই–শাসনকার্য্যেই বল, ডাক্তারী ওকালতি ইঞ্জিনিয়ারী ব্যবসাবাণিজ্য, পুলিশ রেল বা সৈন্যবিভাগের যে-কোন রাজকৰ্ম্মই বল—সকল বিভাগেই পুরুষের মত অবাধ অধিকারের আমরা দাবী করিতেছি। কারণ পুরুষের চেয়ে কোনো অংশে আমরা शैन नङ्गे ।: [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSJSJSMSMSMMSJJSMSMSMS SS যাওয়ার মত। আরও, ইহা ছাড়া নারীর কতকগুল শারীরিক ও মানসিক অযোগ্যতা আছে যেজন্য তাহার পক্ষে পুরুষের সহিত সমান অধিকার লাভ করা সম্ভব নয়। প্রকৃতি প্রত্যেক জীবকেই বিশেষ বিশেষ কার্য্যের উপযোগী করিয়া স্মৃষ্টি করিয়াছে, কিন্তু পুরুষ ও নারীকে ঠিক একই প্রকার কাজের জন্য স্থষ্টি করিয়াছে—উভয়ের গঠন দেখিয়া সেরূপ তো আদৌ মনে হয় না। প্রতিপক্ষের শেষের যুক্তিটার পাশ কাটাইয়া ইহার। প্রতিবাদের এই উত্তর দেন যে—নারী পুরুষের চেয়ে দৈহিক বলে কোনো মতেই পাটো নয়। যেহেতু বৰ্ত্তমানে অনেক মেয়ে-পালোয়ান দৈহিক বলে পুরুষের মতই কুতিত্ব দেখাইতেছে। রাষ্ট্রজগতে রাণী এলিজাবেথ, ভিক্টোরিয়া, রুশিয়ার রাণী ক্যাথারিন, অষ্টিয়ার সম্রাজ্ঞী মেরিয়া থেরেস প্রভৃতি , সাহিত্য-জগতে জর্জ ইলিয়ট, জর্জ স্যাও, মাদাম দে স্তেইল, সালটি ব্ৰণ্টে, জেন অষ্টেন প্রভৃতি ; বিজ্ঞানজগতে মাদাম কুরী ; শিক্ষায় মস্তেসরী ; এবং যুদ্ধসাজে রমণীকে কেমন দেথায় । অপরপক্ষ প্রতিবাদ করিয়া বলিতেছেন যে নারী ও পুরুষের অভেদ অধিকার সম্ভব নয়, যেহেতু নারী— নারী, ও পুরুষ-পুরুষ,—গোড়াতেই এই বিষম প্রভেদ । চিরদিনের অভ্যাস যেমন নারীকে গৃহকাৰ্য্য ও এই শ্রেণীর কাজকর্থে পটু করিয়া তুলিয়াছে, পুরুষও ঠিক ঐ কারণেই বাহিরের অন্যান্য কার্য্যে বিশেষভাবে দক্ষ। স্বতরাং হঠাৎ কৰ্ম্মভেদের মামলা রুজু করিয়া নূতন ব্যবস্থা করিতে গেলে উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে গিয়া চড়িবে। এরূপ চেষ্টাটা নিতান্তই হাতের পক্ষে মুখের অধিকার কাড়িতে হান স্কেল বৃদ্ধ রাজা ইতিহাস-থ্যাত অন্যান্য নারীগণও পুরুষের অপেক্ষ কোনো ংশে হীন নয়। জোয়ানদার্ক, সালটি কর্ডেট, জ্যারাগোজার বীরাঙ্গন, ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল, মাদাম রোল্যাণ্ড প্রভৃতি আরো কত বিখ্যাত নারীর নাম করা যায়। স্বতরাং নারী পুরুষের সহিত সমান অধিকার পাইবে না কেন ? জর্জের সেনাবিভাগে বহুকাল ধরিয়া দক্ষতা ও বীরত্বের সহিত কাৰ্য্য করিয়াছিলেন। আরো আধুনিক সময়ের কথা, গ্ৰীক বীরাঙ্গন হৈলেন কন্সট্যাটিনাইডিস তুর্কীদের বিরুদ্ধে স্বদেশের স্বাধীনতা • नृठेठ । ৫ম সংখ্যা ] SumitaBot (আলাপ) ০৮:৪১, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) ~~ ও উৎপীড়িত স্বজনবর্গের জন্য অশেষ বীরত্বের সহিত যুদ্ধ করিয়াছেন, তাহার বীরত্বে এথেন্সের সেনাদল মুগ্ধ হইয়া গিয়াছে ! বৰ্ত্তমানকালেও কত নারী যুদ্ধকার্য্যে অশেষ দক্ষতা দেখাইয়াছেন । যে শারীরিক শক্তির অনুশীলন এতদিন পুরুষদের একচেটিয়া ছিল, আজ স্ত্রীলোকেরাও তাঙ্গতে যোগ দিতে আরম্ভ করিয়াছেন। ঘোড়ায় চড়া, বন্দুক ছোড়া, তলোয়ার খেলা, ঘুযোধুষি, পথচলার বাজী প্রভৃতি সকল শ্রমিক ব্যাপারেই আজকাল স্ত্রীলোকদের দেখা যায় এবং এ-সকল বিষয়ে তাহার। নিতান্ত অক্ষমও নন। প্রশ্নটা অনেকদিন হইতেই ছিল, তবে সম্প্রতি এই মহাযুদ্ধের মরশুমে চাঙ্গ হইয় গ। ঝাড়া দিয়া উঠিয়াছে যে "স্ত্রীলোকদের যুদ্ধ করা উচিত কি না।" একদল ইহার উত্তরে বলেন—“তা আর বলিতে । একান্ত উচিত—অবশ্য কৰ্ত্তব্য " অপরপক্ষ প্রতিবাদ করিতেছেন “কখনই তা হইতে পারে না।” একজন স্ত্রীলোক বলেন যে—যুদ্ধট। আজকাল তে৷ আর গায়ের জোরের কাজ নয়—নিতান্তই বিজ্ঞানের বাহাদুরী। আমি দেখিয়াছি একজন নিতান্ত ক্ষীণাঙ্গী অবলা নারী নায়ে গ্রার লক্ষ অশ্বশক্তির তড়িৎপ্রবাহটাকে সামান্য একটি বোতাম একটুখানি টিপিয়াই চালাইয়া দিল । সুতরাং আজকালকার যুদ্ধে স্ত্রী পুরুষ প্রভেদ করা বৃথা। চল্লিশবৎসর আগে আমেরিকার লুই রোজ তাহার বিখ্যাত ঘোষণাপত্রে স্ত্রীলোকদিগকে সম্বোধন করিয়া বলিয়াছিলেন যে, দৈহিক বলে আমরা অযোগ্য নই-জোয়ানদার্ক, ফরাসীবিপ্লব, পোলিশ ও মার্কিনবিদ্রোহের রমণীগণ তাহার জোর যার মূলুক তার—এই জোর নারীদের চাই, নইলে ন্যায্য অধিকারের মূলুকে আমরা ঢুকিতে পারিব না । সম্রাজী মেরী ইভানোভন মানবজাতিকে চারভাগে ভাগ করিয়াছিলেন । পুরুষ, মেয়ে, পুরুষ-মেয়ে ও মেয়েপুরুষ। তিনি বলিতেন—"চরকা যদি না কাটিতে পারে তো মাঠে গিগা ওর কুচকাওয়াজ করুক। স্বামী লাভ কবিবার যদি ক্ষম ত না থাকে তে যুদ্ধে গিয়া জয়লাভ করুক1 আমি বরঞ্চ তাদের অধ্যক্ষ রাজী আছি।” হইতে নারীর সৈনিক হওয়া উচিত কি না 、/、/、/、ヘヘヘヘヘヘ・ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ 。 «ዓ« তাহার কথা-মত র্তাহার কৰ্ম্মচারীরা অতুসন্ধানে গিযু এই সংবাদ লইয়া শেষে ফিরিয়া আসিয়াছিল যে—যুদ্ধে যাইবার মত মোটে বারোটি স্ত্রীলোক জুটিয়াছে। নাম দিয়াছিল প্রথমটা অনেকেই—তবে অতুসন্ধানে একে একে হান স্কেল, ইনি সৈনিকের কাজ করিয়াছিলেন। ੇ -

  • - r. -

- গ্ৰীক বীর-নারী হেলেন কনষ্টাণ্টনাইডিস । । - - বাহির হইয়া পড়িল যে তাহদের মধ্যে কেহ বাপত্তা কাহারো বিবাহকার্য শীঘ্রই সমাধা হইবে-আর কেহ কেহ। ব। ইতিমধ্যে গোপনে বিবাহকাৰ্য্য সারিয়াই রাখিয়াছে। |-- i| - - - --- -