পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8;ہ راA. সাধারণের ভক্তি-মিশ্ৰিত ভয় উৎপাদন করিয়া সম্মানে বিএ পাশ করিয়া ফেলিল, তখন তাহার ভাগ্যলক্ষ্মী, বোধ হয় অতিরিক্ত স্তুতিবাদের সংঘাতে, অকস্মাং বিমুখ হইয়া বসিলেন। রুদ্র কাস্তের অভিভাবক মাতুল সারদাপ্রসন্ন বস্থ মহাশয় তালুকদার মানুষ , স্বতরাং আইন-ব্যবসায়ই র্তাহার চক্ষে সৰ্ব্বাপেক্ষ মনুষ্যত্বের পরিচায়ক বিদ্য। কাজেই তিনি ভাগিনকে অতঃপর আইন অধ্যয়ন করিতে আদেশ দিলেন। কিন্তু ভাগিনী রুদ্রকান্ত অত্যন্ত দৃঢ় অথচ পরিষ্কার ভাবে লিথিয় পাঠাইল, যে, বাক্য বিক্রয় করিয়া জীবিক অর্জন তাহার মত ক্ষুদ্র প্রকৃতি লোকের সম্ভবপর নহে, বরং এমএ পাশ করিয়৷ অধ্যাপনার কার্য্যে ব্ৰতী হওয়াই তাহার পক্ষে বাঞ্ছনীয় পথ। মাতুল একটু উষ্ণ হইয় তাহাকে জেদ ত্যাগ করিতে আদেশ দিলেন। রুদ্রকান্ত রুষ্ট হইয়। পত্রের জবাব দিল-না। সেই সময় আর-একটি ঘটনা ঘটিল। রুদ্রকান্তের পরীক্ষাত্তীর্ণ হওয়ার সংবাদ চারিদিকে রাষ্ট্র হইলে, রুদ্রকাস্তের পৈত্রিক বাসস্থান তাবিজপুরের জমিদার বক্রেশ্বর বস্থ, কন্যার সহিত রুদ্র কাস্তের সম্বন্ধ স্থির করিবার জন্য, সারদ। বাবুর নিকট অবিলম্বে ঘটক পাঠাইলেন। দুদ্ধৰ্ষ প্রতাপ জমিদারকে বৈবাহিক সূত্রে সখ্য-বন্ধনে আবদ্ধ করিতে সারদাবাবুর অবখ্য বিশেষ রকম আগ্রহ থাকিতে পারে, কিন্তু রুদ্রকান্ত সে সম্বন্ধে একেবারে সম্পূর্ণ উদাসীন সে মাতুলের উচ্চ বংশের সহিত কুটুম্বিতার সাধ, এবং আপনার ভবিষ্যং সৌভাগ্যের আশ সম্বন্ধে বিশদ বর্ণিত পত্রের উত্তরে বাটী ত অসিলই না, পরন্তু যথেষ্ট সম্মানের সহিত মাতুলকে প্রণাম নিবেদন করিয়া অত্যন্ত সংক্ষেপে, সোজা কথায়, সেই লোভনীয় সম্বন্ধ সম্বন্ধে এমনি গুটিকতক কথা লিখিল, যাহাতে সারদ। বাবু বক্রেশ্বর বাবুর প্রস্তাবিত বিষয়ে একেবারে নিরুত্তর হইয়া গেলেন, ও অকৃতজ্ঞ অবাধা ভাগিনেয়ের সহিত পত্রালাপ বন্ধ করিলেন। এই সামান্ত ঘটনাটির স্বত্র ধরিয়া মাতুল ও ভাগিনেয়ে, জমিদার ও তালুকদারে রীতিমত মনান্তর হইয়৷ গেল। উদ্ধত অভিমানী রুদ্রকান্ত এই ব্যাপারে আপনার শিক্ষার সহিত শ্লেষময় পরামুবর্ধিতার দৈন্য অকস্মাং [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড পে হৃদয়ঙ্গম করিয়া পড়াশুনা সব বদ্ধ করিল। কলিকাতায় পড়িতে গিয়া অবধি সে বরাবরই মাতৃলের ব্যয় লাঘবের জন্য টিউশনী করিয়া পড়ার খরচ অর্ধেক জুটাইয়া লইত, এবং ইচ্ছা করিলে বাকী অৰ্দ্ধেক খরচ সংগ্রহ করা তাহার মত পরিশ্রমী উদ্যমশীল লোকের পক্ষে অসম্ভব ছিল না ; কিন্তু রুদ্রকান্ত কিছুই করিল না। মাতুলের সহিত মতদ্বৈধ হওয়ায় তাহার অন্তরে কেমন একটা নিগুঢ় অভিমানের বেদন সঞ্চারিত হইয়াছিল। তাহাতে সে নিজের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে লেশমাত্র দ্বিধা সংশয় না করিয়,--তাবিজপুরের নিকটস্থ শান্তিপুর গ্রামে গবর্ণ মেন্টের স্থাপিত উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয়ের তৃতীয় শিক্ষকের পদ গ্রহণ করিয়া পৈত্রিক ভদ্রাসন পুনঃসংস্কৃত করিয়া বসবাস আরম্ভ করিল, মাতুলালয়ে গেল না, শুধু পত্র দ্বার মাতুলকে সংবাদটা জ্ঞাপন করিতে হয় তাই করিল। মাতুল । পত্রের উত্তর দিলেন না, রুদ্রকান্তও আর পত্র লিখিল না। রুদ্র কান্ত দিবসে বিদ্যালয়ের কাজ করিত এবং রাত্রে तौ¢उ ७की 8न५ तिलालग्न श्रृं★न कब्रिग्र। श्रभू१ दिन বেতনে গ্রামস্থ ইতর ভদ্র নিৰ্ব্বিশেষে সকল শ্রেণীর বালকবালিকাদিগকে পাঠাভ্যাস ব্যতীতও মুখে মুখে নানা বিষয় শিক্ষা দিত; অবদর-কালে, গ্রামস্থ সকল সম্প্রদায়ের সহিত মিশিয়া তাহীদের অভাব অভিযোগের তত্ত্ব লইয়া অর্থে সামর্থে যথাসাধ্য প্রতিকারের চেষ্টা করিত। নিৰ্ব্বিচারে পীড়িতের সেবা, মৃতের সংকার ও দরিদ্রের অন্নসংস্থানের চিন্তায় তাহার সমস্ত সময় কাটিয়া যাইত । ওদিকে জমিদার বক্রেশ্বর বাবু একটা খুব বড় রকমের প্রতিশোধের চিন্তায় মনোনিবেশ করিলেন। কিন্তু দিন কতকেই এই স্পষ্টবক্ত, নিৰ্ভীক, সাধারণের প্রিয়পাত্র যুবাটির আপনার শত সহস্ৰ অসুবিধা উৎপীড়নের প্রতি নিৰ্দ্দয় তাচ্ছিল্য দেখিয়া একটু বিশ্বিত ও কুষ্ঠিত হইয়া পড়িলেন–তিনি বুদ্ধিমান লোক, বুঝিলেন শিক্ষিতের সহিত তুচ্ছ ছুতায় বিবাদ বাধান, বা নির্ধ্যাতন করা সম্ভবপর নহে; তিনি সময়ের প্রতীক্ষায় রছিলেন । এদিকে একরোধী রুদ্রকান্ত কুমীরের সহিত বিবাদ করিয়া জমে বাস নামক প্রচলিত প্রবাদট। যতই স্মরণ করিতে লাগিল, ততই সেটাকে | ৫ম সংখ্যা l এইরূপে বৎসরাবধি কাটিয়া গেল। অকস্মাং রুদ্রকান্তের মাতুল মৃত্যুরোগে পীড়িত হইলেন। সংবাদ ট্রাপ্তি মাত্র কঠোরপ্রকৃতি রুদ্রকান্ত বিনা দ্বিধায় অযাচিত ভাবে আসিয়া মৃত্যু পৰ্য্যন্ত মাতুলের প্রাণপণ সেবা শুশ্ৰুষা করিল। মাতুল মৃত্যুকালে তাহাকে অন্তরের সহিত আশীৰ্ব্বাদ করিয়া অপ্রাপ্তবয়স্ক পুত্ৰগণের বিষয় সম্পত্তি সমস্ত তত্ত্বাবধানের ভার একমাত্র রুদ্রকাস্তের উপর দিয়া গেলেন । শ্ৰাদ্ধান্তে মাতুলানীর সস্নেহ অনুরোধ সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করিয়া রুদ্র কান্ত নিজালয়ে চলিয় গেল, এবং শিক্ষকতার সহিত সমস্ত নিয়মিত কৰ্ম্মের পর রাত্রি জাগিয়৷ এমএ পরীক্ষার জন্য পরিশ্রম করিতে আরম্ভ করিল। বুদ্ধাবস্থায় প্রবল ব্যাধি বলিয়া বন্ধুগণ পরিহাস করিল, রুদ্রকান্ত কোন উত্তর দিল না। মাস ছয়ের পরে সে এক অস্তুত কাও করিয়া বসিল,— আত্মীয় স্বজন কাহাকেও কিছু ন বলিয়৷ বিনা আড়ম্বরে, গ্রামস্থ মুমু দরিদ্র বিধবার অরক্ষণীয়া কন্যাকে বিবাহ कब्रिग्र| ५श भूःश् जश्य श्रागिन । वि१बन्न भूक्ला श्श्न বিবাহের পরদিনই। মৃত্যুকালে পরিপূর্ণ শান্তিতে জামাতাকে আশীৰ্ব্বাদ করিয়৷ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করিলেন। অবশ্য এই বিবাহ-ব্যাপার লইয়। চারিদিকে একটা প্রবল ছিছিক্কারের ঢেউ উঠিল, কিন্তু রুদ্রকান্ত চিরদিন যেমন নিঃশব্দে মামুষের রসনা-উংস্থষ্ট কুংসা নিন্দ অগ্রাহ করিয়া আসিয়াছে, এবারেও তাহাই করিল। ওদিকে রুদ্র কাস্তের বিবাহের দিন পনের পরেই জমিদার বক্রেশ্বর বাবু অন্য গ্রামের এক বদ্ধিষ্ণু জমিদারের এক আকাট মুর্থ পুত্রের সহিত অন্যতম কন্যার প্রচুর ধুমধাম করিয়া বিবাহ দিলেন, এবং গ্রামস্থ সকলেই উংসবে নিমজিত হইল, বাদ পড়িল শুধু কন্দ্রকান্ত মিত্ৰ । মাস কয়েক পরেই এক নিঃস্ব নিৰ্ব্বান্ধব সমাজত্যক্ত চণ্ডালের মৃতদেহ বহন ও দাহন করার অপরাধে রুদ্রকান্ত সৰ্ব্ববাদীসম্মতিক্রমে নিষ্ঠুরুরূপে সমাজত্যক্ত হইল, এবং প্রতিবাণী যুবকের তাহার বৈঠকখানায় পান তামাকের ধ্বংস ও পাড়ার-পার্থতি করিতে আসা বন্ধ করায় রুদ্রকান্ত সমাজকে ধন্যবাদ দিয়া অত্যন্ত আরাম অনুভব করিল। ব্যৰ্থ করিবার জন্য তাহার জেদের দৃঢ়ত বাড়িতে লাগিল। | কিন্তু গৃহের অভ্যন্তরের অবস্থা হইল ঠিক তদ্বিপরীত । 4 ة ران দাসী গৃহকাৰ্য্য করিতে আসিল মা, পরিশ্রমী পত্নী স্বযমার তাহা গায়ে লাগিল না বটে, কিন্তু প্রতিবেশিনী মহিলাবৃন্দের কোলাহলময় সংসর্গ হইতে সে যে কিরূপ নিৰ্দ্দয়ৰূপে বঞ্চিত হইল, সে কথা স্মরণ করিয়া সে রুদ্রকাস্তকে কিছুতেই ক্ষমা করিতে পারিল না, রুদ্রকান্ত বাড়ী ঢুকিতেই, ছলছল নেত্রে তাহার পানে চাহিয়া বলিল “of oil 7–" রুদ্রকান্ত নিঃসঙ্কোচে হসিয়া বলিল "অন্তত: পরচর্চা পরকুৎসায় তোমার সময়ের বাজে-খরচটা বন্ধ হলো, এবার নিশ্চিন্দি হয়ে পড়াশুনে কর।” : স্বযম। কিন্তু একথায় মোটেই আশ্বস্ত হইতে পারিল না। রুদ্রকান্ত স্থলে চলিয়া গেলে মৃত জননীকে স্মরণ করিয়া সে খুব এক প্রস্থ কাদিয়া লইল । যথাসময়ে রুদ্রকান্ত বাটী আসিয়া, তাহাকে মৃদু ভংসনার সহিত অল্প বিস্তর সান্থন দিল, এবং তাহার পরদিনই সেই মৃত চণ্ডালের নিঃসন্তান বিধবা পত্নীকে আনিয়া মাতৃ সম্বোধনে অযুগত করি। বাটীতে স্থান দিল। সুষম রাগে জলিযু কহিল,-"তোমার কি সবই গোয়াবৃতুমি ?”— - - রুদ্রকান্ত হাসিয়া বলিল "আগা গোড়া –কিন্তু তোমার । একটু কাজ করতে হবে, বেচারীকে দুপুর বেলা মহাভারতের শান্তিপৰ্ব্ব একটু একটু পড়ে শুনিও মানে বুঝিয়ে দিও বুঝলে!” - প্রতিবেশিনীদিগের পরচরিত্র-সম্বন্ধীয় "মি - গঠিত মন্তব্য অনুসারে সুষম বলিল “তোমার যত ছোটলোক নিয়ে কারবার-ভদ্রলোকের সঙ্গে মিশতে পার না ?” - - রুদ্রকান্ত নিরুদ্বেগে বলিল “ভদ্রদের সঙ্গে মেশ বার। ঢের লোক আছে, এদের খোজ নেবার কিন্তু কেউ নেই!” স্বষম। আর কথা কহিল না। সযত্নে শোকসগুপ্ত। চণ্ডালবধূকে নানারূপ সান্থন দিয়া দীর্ঘ দ্বিপ্রহর ধরিয়৷ মহাভারত পড়িয় তাহাকে অনেক সছুপদেশ দিল। বৈকালে রুদ্রকান্ত বাড়ী আসিয়া পাঠাগারে স্বধমার ক্ষুদ্র শেলফের উপর হইতে একেবারে তাহার টেবিলে হাঃার্ট স্পেনসারের উপর মহাভারতথানি স্পষ্ট বিদ্রুপের বেশে বিরাজমান দেখিয়া একটু হাসিল। - - ميمنة عمير متحن بني منير