পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৪৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- o b^०७ প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩২২ トへヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘーヘヘヘヘヘーへ^^^* --SumitaBot (আলাপ) ০৯:০২, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) ----- ഹ~~ ヘヘヘヘヘ、ヘーヘ、ヘーハ、ヘーベ [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড । য়ুকাটানে আবিষ্কৃত অতি প্রাচীন সভ্যতাঁর নিদর্শন পূৰ্ণ বেদী ও তাহার সর্পভূষণ নরমূৰ্ত্তির পায় মিশরের সতি ঘনিষ্ট ঐক্য সপ্রমাণ করিয়া দিতেছে। পরিধান করিয়া থাকেন। চিচেমের রাজকুমার ‘ক'য়ের নামের অর্থও চিতাবাঘ। মিশরের অরিসিসের দুই ভগিনী ছিল—একজনের নাম 'মাউ' বা ‘ইসিস’, অপরের নাম নিকে’। রাজকুমার ‘ক'য়েরও দুই বোন ছিল—এক জনের নাম ‘মু ও অপরের নাম নিকে । ‘মাউ' বা ইসিসের সহিত অরিসিসের প্রণয়সঞ্চার হয় এবং ‘মূও যুবরাজ ক'রের প্রণয় আকর্ষণ করেন। উভয় প্রণয়ের ফলেই এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। মিশরের স্ফীক্ষামূৰ্ছিটি ‘ইসিস’ ও ‘অরিসিসের মন্দিরের মাঝখানে তাহদের প্রণয়জাত সন্তান হর' কর্তৃক নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল বলিয়া প্রকাশ । ‘মাউ' ও 'ক'য়ের সস্তানের নাম ‘হাল’। 'হাল' নামটি অনেকটা ‘হরেরই কাছাকাছি। মায়া ভাষায় ‘র’ নাই। তাহার স্থানে সচরাচর "ল'ই ব্যবহৃত হইয়া থাকে। রাজকুমার কয়ের সমাধির উপরিভাগেও একটি স্ফীন্ধসমূৰ্ত্তি বিরাজ করিতেছে—দেহটা তাহার চিতাবাঘের ও মুখটা মানুষের মুখের মত। প্রাচীনকালে রাজবংশের পবিত্রত রক্ষা করিবার জন্য মিশরের মত য়ুকাটানেও ভ্রাতা ভগ্নীর বিবাহের পদ্ধতি প্রচলিত ছিল। ক্লিওপেট্রারও বিবাহ হইয়াছিল তাহার ভ্রাতার সহিত । তবে মিশরের প্রণয়কাহিনীটির সহিত এথানকার প্রণয়কাহিনীটির এইটুকু মাত্র প্রভেদ যে 'মু'র প্রণয় লাভে হতাশ কয়ের অপর একটি ভ্রাতা বিদ্বেষবশত: প্রতিদ্বন্দ্বী ‘ক’কে হত্যা করে। মায়া ভাষায় মূর অর্থ—বিচিত্র বর্ণের টিয়াপাখী। আশ্চৰ্য্য এই যে মিশরীয় গল্পটিতে ‘মাউ বা ‘ইসিস’কে বার বার নানা বর্ণের পালকে খচিত বসনে ভূষিত বলিয়৷ বর্ণনা করা হইয়াছে। এইরূপে আরো নানা বিষয়ে এই বিপুল ব্যবধানের দুটি মহাভূমির প্রণয়কাহিনীর মধ্যে আশ্চৰ্য্যরূপে সোসাদৃশ্ব দেখিতে পাওয়া যায়। রাজকুমার ‘ক'য়ের সমাধি খনন করিয়া প্রায় বিয়াল্লিশ মন ওজনের একটি বিরাট পাথরের মাথা পাওয়া গিয়াছে। তাহার সঙ্গে দুটি গুরুভার পাথরের পাত্রও ছিল। একটির ভিতরে চিতাভস্ম ও অপরটির ভিতরে একটি বহু ৬ষ্ঠ সংখ্যা ] - へヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘー・ペペペ --- মিশর দেশের স্ফীন্ধস্। প্রাচীন 'শুষ্ক জৈবিক পদার্থ পাওয়া যায়। পরীক্ষার দ্বারা জানা গিয়াছে যে উহা মানুষের হৃদপিণ্ড । প্রাচীন মিশরেও এইরূপ পদ্ধতি প্রচলিত ছিল। বহুদিনের খনন ও পরিশ্রমের ফলে একটি বিরাট অৰ্দ্ধ রাসায়নিক শয়ান প্রস্তরমূর্তি আবিষ্কৃত হইয়াছে। ভূগর্ভ হইতে সেটিকে তুলিবার জন্য ষোলো জন লোকের প্রবল শক্তির প্রয়োজন হয় । সমাধিটি খনন করিতে করিতে আরও একটি প্রকাও আধার বাহির হয়। তাহার ঢাকনীটি তুলিতে চারিজন লোকের দরকার হইয়াছিল। তাহার ভিতরে চিতাভস্ম ও একটি ছোট স্ফটিক-প্রস্তর রত্নাদি ও সবুজ ধাতুময় একপ্রকার পদার্থ প্রভৃতি আরও অনেকগুলি জিনিস পাওয়া গিয়াছে। ইহার দ্বারা বুঝা যায় যে উহ একজন ভবিষ্যৎবাদী সাধুর সমাধি ছিল । কারণ ভবিষ্যৎবাদীদিগের স্ফটিকের দ্বারা নানা বিষয় নির্ণয় করিবার প্রথা স্মরণাতীত যুগ হইতে প্রচলিত আছে। আধারটির সম্মুথে দুটি বর্শাফলক উহার দিকে মুখ করিয়া মিশর-রহস্য - ونيا


-------------------- -

শাতি ছিল এবং তাদের ঠিক মধ্যস্থলেই একটি কুষ্ঠীর শাবকের কঙ্কাল সযত্বে রক্ষিত। মিশর দেশেও কুম্ভীর অতি পবিত্র জীব বলিয়া গণ্য হইত। ঐ ভষ্মের আধারটির চারি পাশে বিচিত্র আকারে সজ্জিত দ্বাদশটি প্রস্তরগঠিত সপের মাথা পাওয়া গিয়াছে। তাহাদের প্রত্যেকের মাথায় অগ্নিশিখাকৃতি একটি চূড়া আছে। ইহার অর্থ যে কি তাহা বৰ্ত্তমানে সঠিক নিৰ্দ্ধারণ করা কঠিন। द्देशप्तत्र প্রত্যেকের মাথায় রাজকীয় চিহ্নস্বচক দুটি করিয়া শৃঙ্গ আছে। স-শৃঙ্গ সাপ মিশরেও রাজকীয় চিহ্নরূপে ব্যবহৃত হইত। ডাক্তার প্লজিওঁর আবিষ্কারের ফলে छाना ब्रािप्६। যে অতি প্রাচীনকালে মায় দেশে এক রাজবংশ রাজত্ব করিত—তাহাদের উপাধি ছিল, ‘কান’ ( Can )। মায়। ভাষায় ‘কান’ কথার বহু অর্থ আছে—তাহার মধ্যে একটি —সর্প। বর্তমানে ইংলণ্ডের যেমন সিংহ, রুষের ভল্লুক এবং জাৰ্ম্মানী অষ্টিয়া ইটালি ও আমেরিকার ঈগল পক্ষী ধ্বজচিহ্ন, সেইরূপ সৰ্প তাহদের রাজকীয় চিহ্নরূপে ব্যবহৃত হইত। ” অতি প্রাচীনকাল হইতে সৰ্প অতি ধূৰ্ত্ত বুদ্ধিমান ও পবিত্র জীব বলিয়া পরিগণিত হইত। বাস্তবিকই ‘কান' ধাতু হইতেই শক্তি বুদ্ধি জ্ঞান প্রভৃতি অনেক কথারই উৎপত্তি হইয়াছে। ইংরেজী কথা ‘can'এর লেও ঐ শক্তির কথা। এখনও প্রাচ্য জগতের বহু নৃপতিই থা নামে অভিহিত হন এবং তাহদের ধ্বজায় প্রায়ই সর্প ড্রাগন প্রভৃতি আজও অঙ্কিত দেখিতে পাওয়া যায়। সেদিন পৰ্য্যন্ত অর্থাৎ স্পেন কর্তৃক আমেরিক জয়ের সময়েও মায় দেশ "বিরাট সপের দেশ” বলিয়া কথিত হইত। মায়া ও মিশরীয় ভাষায় আশ্চর্য মিল দেখিতে পাওয়া যায়, অক্ষরগুলি প্রায় সবই এক। ব্যাকরণের নিয়মগুলিও প্রায় একরূপই । মিশরতত্ত্ববিং পণ্ডিতদিগের মতে যাহা আসল মিশরীয় ভাষা তাহার তিন ভাগের এক ভাগ থাটি মায়া ভাষা। আরও একটি মজার বিষয় এই যে গ্ৰীক ভাষায়ও অনেক মায় ভাষার ধাতু দেখিতে পাওয়া যায়— পণ্ডিতবর ব্রাসিউর দে বুবুর্গ (lorasseur de Bourbourg, তাহা দেখাইয়া দিয়াছেন। মায় দেশে ক্রশের চিহ্ন জলদেবতার সঙ্কেতরূপে ব্যবহৃত হয়, ইহার কারণ সাদান