পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--০৭:৫৪, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)SumitaBot (আলাপ) ০৭:৫৪, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) ----------০৭:৫৪, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)SumitaBot (আলাপ) "সে কথা থাক। তোর দিদিকে বলগে আমি এবেলা - কিছু খাব না।” । -- - “বাবা, আমি বুঝতে পেরেছি, ভেবে ভেবে তোমার - –তিনি ত! আর পরবেন না " । “তোর দিদির গয়না? সে কোথায় ?" | “আমি দিয়েছিলাম—তারা নিয়েছে।” "কেন ? গয়না ত দিদির! যাই দেখি, দিদিকে জিজ্ঞাসা করতে।" - মনোরম ছুটিয়া দিদির কাছে গেল “দিদি, তোমার গয়না সব কোথায় ? নিয়ে আসনি ? “আমার গয়না কোথায়? সে সব কি আমার? যাদের - “আমার নাম মাত্র—আমার জন্যে হলে কি বাবাকে ঋণ করে সর্বশ্বাস্ত হতে দিতাম—আমাকে দরকারभड পরিয়ে দিয়েছিল—এখন দরকার নেই, খুলে নিয়েছে।" দিদির কথা মনোরমা ভাল করিয়া বুঝিল না। বিবাহের বরকত্ব ভাবী বধূর অঙ্গভরণের জন্য কেন. যে আদায়ের জন্য গলদঘৰ্ম্ম ব্যাপার ঘটিয়া যায়—মে যে একটা অধিকারবিহীন নিমিত্ত মাত্র, এতটা বুঝিয় উঠ৷ গহনা, তার নিয়েছে কেন ?" - “তারা যে দয়া করে নিয়েছে, এই তোমার বাবার - চোদপুরুষের ভাগ্য। তারা যদি অনুগ্রহ ক'রে দেড়হাজারের প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩২২ - , , , , [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড ১ম সংখ্যা ] ു ~ে~~ ു~ുSumitaBot (আলাপ)ാ ---------------- BBBB BBB B DSDSDS BB BBB BBB BBBBBS S BBS BBBBBB BBBBB BB BBBBBB BBS নাম ঘূচত না। এখন সব ঘুচেছে। আমি নিশ্চিন্ত, তোমার । দিদিও নিশ্চিন্ত ।” o “তবে গয়না যখন তাদের কাছে, তখন পোদ্ধার মশায়কে বলে দাও, দাম তারাই দেবে। তুমি কেন যাবে ?" ਾ। “ন, মা ! গয়না তাদের, ঋণ আমার, আমাকেই দিতে । করিলেন। - তখন সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হইয়া গিয়াছে। স্বরূপদত্তের দোকানে হালখাতার কৌশলমূলক আমন্ত্রণ-উৎসব ইতিপূৰ্ব্বেই লাগিয়া গিয়াছিল। পুত্ৰ নিৰ্ম্মলচন্দ্র এ বৎসর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার খুলিয়া স্বসজ্জিত দোকানের উপযুক্ত স্থানে বসিয়া গিয়াহবে ।” ছেন। খাতায় নাম লিথিয় বংসরের প্রথম দিনে তহবিল “সে কেমন কথা ! আমায় তোমাকে একখানিও গয়না | পূর্ণ করিবার জন্য যে নিমন্ত্রণ করা হয় সেই কার্ধে পোদারদিতে হবে না, আমি চাইব না।” o | তনয় পরিপক্ক ন হইলেও পিতা যপন ইদানীং সকল কার্য্যে একটা চাপা দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করিয়৷ কন্যাকে অন্যদিকে পুত্রকে পাকাইয়। তুলিবার জন্য উদগ্রীব হইয়াছিলেন তখন BBBBBBB BB BB BBBDSDB BBS BBBB BB S BB DDDD DDDBBB BBB BBBBB BB BBB পেয়েছে ।” - - . গিয়াছেন। ইতিপূৰ্ব্বে পিতা পুত্রকে একাধিকবার সতর্ক BBB BBBB BB BBB BBB BDS DDD DBBBSBBBB BBB itttt DD D জনে চলিয়া গেল। তাহ যেন তৎক্ষণাৎ তাহাকে জানান হয়।

  • এতটাকা পাওনা, কি করিয়া দশটাকা লইয়া মুখ দেখাইবেন, এই ভাবিতে ভাবিতে অমুকুলচন্দ্র ক্ষুন্ধচিত্তে পোদ্দারসদনে উপস্থিত হইলেন । ঠিক সেই সময়টায় স্বরূপদত্ত কাৰ্য্যাস্বরে অন্যত্র ব্যস্ত ছিলেন। অমুকুলচন্দ্র সন্তপণে নোটখানি r v- নিৰ্ম্মলচন্দ্রের সম্মুখে রাখিয়া দিয়া চোরের ন্যায় কুষ্ঠিতহৃদয়ে য়ানা পাইতেও বিলম্ব আছে। তবু আপিসে একবার ত গাম - পিচুপি প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলেন। নিৰ্ম্মল তাহাকে কোনচাহিয়া দেখিতে হইবে। প্রকার অভ্যর্থনাচক জিজ্ঞাসা-বাদ করিল না। সময়ােচিত আপিসে টাকা মিলিল না। সমস্ত দিন চিন্তা করি। আপ্যান লাভ করিতে নিমন্বিতেরও কিছুমাত্র ইচ্ছ। নিয়মিত সময়ে বাট ফিরিলেন। তখনও চিন্তা, যদি আজ ; ছিল না। • । কার মত পোদারকে সন্তুষ্ট করিতে না পারি কাল আর * দরজার গোড়ায় রহমানের সহিত দেখা হইল । তাহার কাছে মুখ দেখান যাইবে না। তিনি আকাশপাতাল - "আমি আপনাদের বাড়ী গিয়েছিলাম। বাবা এই ভাবিতে লাগিলেন। . কুড়িটা টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন--তিনি আপিসে জানতে মনোরম অনন্যচিন্তায় ১লা বৈশাখের দিকে বিশেষ । ন যে আজ আপনার টাকার বিশেষ দরকার

- লক্ষ্য রাখিয়াছিল। সে পিতার চিস্তার কারণ সৰ্ব্বতোভাবে আছে । আপনি বাড়ী ছিলেন না ; মহু বললে এ-দিকেই বুঝিতে পারিয়াছিল। , আপনি এসেছেন—তাই আমি আপনার জন্যে দাড়িয়ে “বাব, আমার কাছে এই একথান। দশটাকার নোট আছি। এই টাকা নিন।” আছে, এটা তুমি নাও বাবা।” . “বাবা, তোমার বাবাকে আমার নমস্কার দিও। আজপিতা কিছু বলিলেন না—নোটখানি লইবার জন্য হস্তও কার মত কাজ সেরেছি। পরে দরকার হলে জানাব।” প্রসারিত হইল ন—অন্থকূলচন্দ্ৰ নিৰ্ব্বাক বসিয়া রহিলেন । (8 ) মনোরমা নোটখানি পিতার হস্তে গুজিয়া দিয়া চলিয়া (७) একশত টাকা—হাতে কিন্তু কিছুই সংগ্রহ হয় নাই। x - আসিয়া একছিলিম তামাক - - - • হালখাত , १७ ।। সাজিয়া খাইতে বসিয়াছেন মাত্র, পাশের বাড়ীতে বিবাহের । উৎসবের কোলাহল ভেদ করিল্প নহবতের সানাই করুণ । স্বরে বিলাপ করিতেছিল, রহমান দৌড়িয়া আসিল্প । বলিল—“কাকা, কাকিমাকে শীগগির জোগাড় করতে বলুন, আজ মহ বোনটির বিয়ে। বর আসছে!" | অনুকূলচন্দ্রের হাতের হুক হাতে রহিল, অবাক হইয়া । রহমানের মুখের দিকে খানিকক্ষণ তাকাইয়া থাকিয়া । থাকিয়া বলিলেন–রহমান, তুমি কি বলছ ? পাগল হয়েছ ? বড় মেয়ের বিয়ের ঋণ এখনো শোধ করতে পারিনি। মন্থর । বিয়ে দেবো কোথা থেকে ?” “কাক, সে আপনাকে কিছু ভাবতে হবে না। আপনি । একজন পুরুত ডেকে আগুন ? আর মন্থকে একখানা। ফরস কাপড় পরিয়ে নি। বর এই এসে পড়ল বলে । আমি বরং নিস্থ ভট্চাজকে ডেকে আনছি। আপনি । রহমান ছুটিয়া চলিয়া গেল ; সে ও তাহার বাবা অনুকূলচন্দ্রের স্বখে দুঃখে বড় আপনার। রহমা दफ़ ভালো ছেলে। সে ত ঠাট্টা করিবার পাত্র নয় ব্যাপার কি ! দেখিতে দেখিতে খবর পাড়ায় পাড়ায় । রাষ্ট হইয়া গেল ; নিস্থ ভটচাজ আসিয়া উপস্থিত, - - - তাগাদায় তাহারাই সমস্ত উদ্যোগ আয়োজনে লাগিয়া । গেলেন ; অনুকূলচন্দ্র হতভম্ব হইয়া বসিয়াই রহিলেন, डिनि বুঝিতে পারিতেছিলেন না, তিনি নিদ্রিত অথবা জাগ্রত। অরক্ষণ পরেই স্বরূপদত্তের পুত্ৰ নিৰ্ম্মলচন্দ্র বরবেশে । আসিয়া উপস্থিত। রহমান অমুকুলচন্দ্রকে ডাকিয়া বলিল । —কাকা, কাকা, বর এসেছে। অনুকূলচন্দ্র অবাক হইয়া চাহিয়া চাহিয়া বলিল—এ যে । নিৰ্ম্মল । - "), নিৰ্ম্মলই তমলুকে বিয়ে করবে। ও-ই ত আমাকে . আগে পাঠিয়ে দিয়েছিল আপনাকে খবর দিতে।" | অনুকূলচন্দ্র কাদিয়া ফেলিলেন। দুই হাতে লিখলের হাত চাপিয়া ধরিয়া বলিলেন—“বাবা নিৰ্ম্মল, তোমাদের - হালখাতায় সব দেনা শোধ করতে পারিনি; তার জন্যে কি আমাকে এমনি করেই অপদস্থ করতে হয় ?” . ---