পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা] ՀԳծ ও কৰ্ম্মকাণ্ড অপেক্ষা জ্ঞানকাও উৎকৃষ্ট।” উভয়ে বহুক্ষণ বাদাম্বুবাদের পর কপিল স্বামুরশ্মিকে স্বমতে আনয়ন করিলেন। - 源 এক যজ্ঞিক ব্ৰাহ্মণ ও সন্ন্যাসীতে এইরূপ তর্কবিতর্ক হয় ; তাহাতে যাজিক ব্রাহ্মণই জয়লাভ করে ও ধজ্ঞে পশুবধ করে। ( আশ্বমেধিক ২৮ ) পূৰ্ব্বে উদ্ধৃবৃত্তি সত্যনাম এক ব্রাহ্মণ ছিলেন। তিনি যজ্ঞে পশুবধ করিতেন। একদা একটি স্বগকে বধ করিবার সঙ্কল্প করেন । সেইসময় তিনি দেখিলেন, গন্ধৰ্ব্ব ও অপরাগণ বিচিত্র বিমান লইয়া তাহার অপেক্ষা কfরতেছে। মৃগবধ করিলেই তিনি উক্ত বিমানে চড়িয়। অঙ্গরাগণের সহিত স্বগে গমন করিতেন। কিন্তু তাছাঃ মৃগবধ করা হইল না। সহসা তাহার জ্ঞান-চক্ষু উন্মলিত হইল । তিনি বুঝিলেন হিংসা করিয়া যজ্ঞাহষ্ঠান করা শ্রেয়স্কর নহে ৷ মহাভারতে লিখিত আছে মৃগ স্বয়ং তাংকে এইরূপ উপদেশ প্রদান করেন । ধৰ্ম্মই মূগরূপ ধারণ করিয়া আসিয়াছিলেন । ( শান্তি ২৭২ ) এই দ্বিতীয় স্তরে আমরা দেখিতেছি পশুযজ্ঞ ক্রমে বঞ্জিত হইতেছে । বেদের ধৰ্ম্মকাণ্ড যে অপার ও ভ্রান্তিপূর্ণ তাহাও এইসময়ে সকলে বুঝিতে পারিয়াছিল। রাজখি জনক পরাশরকে বলিতেছেন, “অতএব আমি শাস্ত্রসমালোচনপূৰ্ব্বক তোমাকে কহিতেছি যে, হিংসাত্মক কাধ্য পরিত্যাগপূর্বক আত্মজ্ঞান অবলম্বন করা মন্থয্যের অবগুকৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম ।’’ ( শান্তি ২৯৫ ) যাজ্ঞবল্ক্য গন্ধৰ্ব্বরাজ বিশ্বাবস্ককে কহিতেছেন, “কৰ্ম্মকাণ্ডোক্ত নশ্বর ধৰ্ম্ম পরিত্যাগপূর্বক অক্ষয় ধৰ্ম্মে নিরত হইয়া যত্নসহকারে অহরহ জীবাত্মাকে বিশুদ্ধরূপে দর্শন করিতে পাখিলেই প্রস্তুতিকে অতিক্রম ও পরমাত্মার সহিত সাক্ষাৎকার লাভ করা যায়।” (শাস্ত ৩১৯ ) নারদ শুকদেবকে বলিতেছেন,"লোকে একবার দুষ্কর্মের অনুষ্ঠানপূর্বক নিতান্তই দুঃখিত হইয়৷ সেই দুঃখ দূরীকৃত করিবার নিমিত্ত নানাপ্রকার জীবহিংসা দ্বারা বিবিধ যাগযজ্ঞের অনুষ্ঠান করিয়া থাকে।” (শাস্তি ৩৩০ ) দেবরাজ ইন্দ্র কোনো সময়ে এক যজ্ঞ করেন। ঐ যজ্ঞে “পণ্ডবধের সময় উপস্থিত হইলে মহুষিগণ পশুদিগকে প্রাচীন ভারতে ধৰ্ম্ম নিতান্ত কাতর দেখিয়া দয়ার্দ্রচিত্তে ইক্সকে সম্বোধনপূর্বক কহিলেন, “দেবরাজ ! এরূপ যজ্ঞানুষ্ঠান কখনই মঙ্গলকর নহে la ••••••যজ্ঞে পশুহত্য করা, শাস্ত্রসঙ্গত নহে ।” ( আশ্বমেধিক ৯১) ভগবদগীতায় ভগবান বলিতেছেন “যেমন কুপ, বাপী, তড়াগ প্রভৃতি জলাশয়ে যে-সকল প্রয়োজন সিদ্ধ হয়, একমাত্র মহাস্থদে লেইসকল প্রয়োজন সম্পন্ন হুইয়া থাকে, সেইরূপ সমুদয়-বেদে যে-সকল কৰ্ম্মফল বর্ণিত আছে,সংশয়রহিত বুদ্ধিবিশিষ্ট ব্রহ্মনিষ্ঠ ব্রাহ্মণ একমাত্র ব্রন্ধে ভংসমুদয়ই थाश्रु श्इंग्र। श्राप्+न ।* ( डौग्र २७) অন্যত্র ভগবান বলিতেছেন, “যাহার বেদ-বিহিত যজ্ঞহুষ্ঠান করেন, তাহার স্বৰ্গলাভ করিয়া পুনরায় মর্ত্যে জন্মগ্রহণ করেন, যাহারা অনন্তমনে আমাকে চিন্তা ও আরাধনা করেন আমি তাহাদিগকে যোগক্ষেম প্রদান করিয়া থাকি।” ( ভীষ্ম ৩৩) এস্থলে যজ্ঞ অপেক্ষ শ্রদ্ধা ও ভক্তির প্রাধান্ত স্বীকৃত হইতেছে । ভগবান অর্জুনকে বলিতেছেন, “হে অৰ্জুন ! তুমি আমার যে নিতান্ত দুর্ণিরীক্ষ্য মূৰ্বি অবলোকন করিলে দেবগণ উহা নেত্রগোচর করিবার নিমিত্ত নিয়ত অভিলাষ করিয়া থাকেন। কিন্তু কেহই বেদাধ্যয়ন, দান, তপ ও যজ্ঞানুষ্ঠান দ্বারা আমার ঐ মূৰ্ত্তি প্রত্যক্ষ করিতে সমর্থ হয় ন৷ ” ( ভীষ্ম ৩৫ ) বেদব্যাস শুকদেবকে বলিতেছেন, “যিনি লোভপরাষ্ম খ দুঃখশুন্ত, ইন্দ্ৰিয়নিগ্রহশীল, ধজ্ঞাদিকাৰ্য্যবিহীন....... সেই যোগী মুক্তিলাভ করিতে সমর্থ হয়েন।” (শান্তি ২৩৬ ) অন্যত্র তিনি বলিতেছেন, “কৰ্ম্মকাণ্ড বেদে ব্ৰহ্ম ইন্দ্রাদি দেবতারূপে নিরূপিত হইয়াছেন বলিয়া, কৰ্ম্মকাও বেদবিদ ব্যক্তিরা তাহাকে পরিজ্ঞাত হইতে পারে না। জ্ঞানকাগু বেদে তিনি ব্যক্তরূপে কথিত হইয়াছেন ; এই নিমিত্ত জ্ঞানকাও বেন্ধবেত্তা তত্বজ্ঞ ব্যক্তিরাই তাহাকে দর্শন করিতে সমর্থ হন।” (শান্তি ২৩৮ ) কৰ্ম্মকাও বেদে নানা খণ্ড দেবতার কল্পনা করায় তাহ ব্যাসদেবের মতে জ্ঞানকাও অপেক্ষা নিকুষ্ট । তবেই দেখা যাইতেছে সমাজ তিনটি কারণে কৰ্ম্মকাও বর্জন করিয়া