পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७8२ ন, তখন তাহাকে দুয়ে-দূরেই থাকিতে হইবে। সে . নলিনীর দিকে ফিরিয়া কহিল, “আমার শরীরের গ্লানি এখনও যায়নি, কিছু খাবো না ।" নলিনী কহিল, “কাল কিছু খেলেন না, আজও থাবেন না ? রুট ক’রে দেবো ?” "না দিদি, দেখ ছ না বিছানায় পড়ে রয়েছি—আমার ভারি অন্বথ বোধ হচ্ছে ।” নলিনী কহিল, "কিছু না খেয়ে কি লোকে থাকৃতে পারে! একটু স্বজি ক'রে দিই ?” কানাই বলিল, “ন, সত্যিই বলছি, আমি এখন কিছু খেতে পারব না । ভালো বোধ করি ত তখন তোমায় ডেকে বল ব ।” নলিনী যাইয় গণপতিকে কহিল । গণপতি অল্পের থালা সম্মুখে লইয়া কানাইলালের অপেক্ষা করিতেছিলেন। তিনি বাহিরে আসিয়া বলিলেন, “কি কানাই-বাৰু, কিছুই খাবেন না নাকি ? জর-জারি হয়নি ত, বরং দু-চারখানা রুটি ক’রে দিক ৷” কানাই বলিল, “আপনার সবাই ব্যস্ত ক'রে তুলছেন । আমার যখন দরকার হবে চেয়ে নিয়ে খাবো। এখন একটু ঘুমিয়ে দেখি যদি শরীরটা ভালো হয়।” গণপতি কহিলেন, “আমি ত খেয়েই বের হ’য়ে যাচ্ছি। লঙ্গ কবৃৰেন না যেন । নলিনীকে ডেকে বল বেন। যা হয় কিছু থাবেন । সারাদিন উপোষ ক’রে থাকৃবেন না।” তা’র পর গণপতি আহার করিয়া কাৰ্য্যস্থলে চলিয়া গেলেন । কানাইলাল দেখিল, তাহার চলিবার পথে কোনো পথটাই পরিষ্কার নাই । সকলগুলিই নির্দয়ভাবে আটকাইয়া দিয়া কে যেন অলক্ষ্যে থাকিয়া শুনাইয়া দিতেছে,-পথ নাই ! পথ নাই ! নানারূপ দুশ্চিন্তা করিতে-করিতে কানাইলাল যখন ক্ষুধাতৃষ্ণায় অত্যন্ত কাতর হইয়া পড়িল, তখন সে নলিনীকে ভাকিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “এখানে একটা উকুন পেতে রায়ার ব্যবস্থা করা যায় ?” নলিনী জিজ্ঞাসা করিল, "কেন ?" প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩২ [ ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড “রা তাম।” নলিনী একটু হাসিয়া কহিল, “কেন—আমাদের शयूड़ খাবেন না বুঝি ?” কানাই সঙ্কোচের সহিত বলিল, “আমি নিজে রেখেবেড়ে খেলেই ভালো থাকুব ।” "তাই বুঝি ও-বেল খেলেন না ? বরাবরই কি নিজে রোধে-বেড়ে খান ?” “তা খাইনে, এখন থেকে থাবো।” “আপনার গলায় কি পৈতে আছে ?” “ত নেই। আমি ত বামুন নই!” “তবে কি ?” “মজুমদার।” “তবে আমাদের হাতে খাবেন না কেন ?” “হাতে খেতে বাধা নেই। আমাকে কিছুকাল এইভাবে চলতে হবে ।" একটু চুপ করিয়া থাকিয়া কহিল, “যা বললাম তা’র কোনো উপায় হবে ?” “দেখি মা’র কাছে জিজ্ঞাসা ক'রে আলি।” এই বলিয়া নলিনী চলিয়। গেল ; এবং মহামায়াকে সকল কথা বলিল। মহামায়া কহিলেন, “কাল থেকে না इछ उोहे कद्रप्दन । जाछ छू'निन थाननि-वांख घ८अ খেলে পারতেন।” নলিনী তাড়াতাড়ি আসিয়া কহিল, "আজকের দিনটা ঘরে খান—দু'দিন থাননি, কাল থেকে রোধে-বেড়ে, থাবেন ।” কানাই দেখিল, যে-সংশয়টা তাহার মনে জমাট বাধিয়া উঠিতেছে, তাহাকে এইরূপে থামাইয়া দিলে, এই নলিনী মেয়েটিই হয়ত একদিন-না-একদিন ছোয়াছুয়ি বিচার করিয়া যে-কারণে শান্তির ননদিনী তাহাকে দিয়া সমস্ত ঢেকিশালাটা গোময়লিপ্ত করাইয়া লইয়াছিলেন, ঠিক সেই কারণেই নিজেদের মধ্যে একটা অনিষ্ট ঘটনা করিয়া তুলিবে । প্রথম হইতেই ছাড়া-ছাড়া থাকিলে সকলের পক্ষেই মঙ্গল হইতে পারিবে । সে কহিল, “না দিদি, আমি অকারণ কিছুই বলিনি। বোধ হয় সকল কথা জানতে-শুনতে পারলে তোমরা সন্তুষ্ট হ’তে পারতে। কিন্তু সে উপায় নেই।”