পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] পত্তিগত সংস্কার তাদের দেহমনকে অধিকার করে তোলে। নানা প্রকার সেবা ও ব্যবহারের দ্বারা এই সংস্কার কেবলি প্রবল হ’তে থাকে l. - আমাদের সমাজে সতী স্ত্রীর মাহাত্মা সম্বন্ধেও একটা সংস্কারের প্রচলন আছে। স্ত্রীর প্রতি সাধৰী গৃহিণী ভাবে একটি ভক্তিভাবের চর্চা আমাদের দেশে দেখা যায়। অর্থাৎ স্ত্রীপুরুষের প্রেম ব’লে যে একটি স্বাভাবিক হৃদয়বৃত্তি আমাদের আছে তাকে অতিক্রম ক'রে দাম্পত্যপ্রেম নামক একটি সামাজিক হৃদয়বৃত্তিকে সাধনার স্বারা গড়ে তোলবার বিশেষ চেষ্টা আমাদের দেশে আছে। কিন্তু একথা মানতেই হবে যে, মেয়েদের স্বভার হৃদয়প্রবণ ( Emotional ) ব’লে এই দাম্পত্যপ্রেম মেয়েদের পক্ষে মত সহজ হয়েছে, পুরুষের পক্ষে তত সহজ হয় নি। পুরুষের পক্ষে দাম্পত্য একনিষ্ঠতা সম্বন্ধে সমাজের কিঞ্চিৎ অনুমোদন আছে, কিন্তু কিছুমাত্র অনুশাসন নেই। এমন কি, স্ত্রীর বর্তমানে বা অবর্তমানে এই একনিষ্ঠত লঙ্ঘনের পক্ষে বিশেয বিধিরও অভাব নেই। তা ছাড়া অবৈধ লঙ্ঘনকে শাসন করবার সামান্ত চেষ্টা মাত্রও দেখা যায় না । বস্তুত একপক্ষে দাবীকে অত্যন্ত বেশি কড়া করার দ্বারাই অল্পপক্ষে শিথিলতাকে সহজ ক’রে দেওয়া হয়েছে । অতএব ভারতীয় বিবাহের বিচার করতে হ’লে একথা জানা চাই যে এ-বিবাহে স্ত্রী পুরুষের অধিকারের সাম্য নেই। এখানে অধিকার বলতে আমি বাহ অধিকারের কথা বলছি নে। এই অসাম্যের দ্বার স্ত্রীলোকের চরিত্রে হীনতা ঘটতে পারত। তা যে ঘটেনি তার কারণ, স্বামী তার পক্ষে আইডিয়া । ব্যক্তির কাছে পাশববলে সে নত হয় না, আইডিয়ার কাছে ধৰ্ম্মবলে সে আত্মসমর্পণ করে । স্বামী যদি মাছুষের মডে, হয়, তা হলে স্ত্রীর এই আইডিয়াল প্রেমের শিখা তার চিত্তেও সহজে সঞ্চারিত হয়। আমরা এমন দৃপ্ত দেখেছি। এই আইডিয়াল প্রেম হচ্ছে যথার্থ মুক্ত প্রেম। এ প্রেম প্রকৃতির মোহবন্ধনকে উপেক্ষা করে । একথা মনে রাখা চাই, ভারতসমাজ গৃহকেও চরম ব'লে স্বীকার করে নি। মুক্তির অন্বেষণে একদিন গৃহকে

- چسبیده به

ভারতবর্ষীয় বিবাহ 8N36: পরিত্যাগ করতে হবে, এই ছিল তার উপদেশ। ভারতের উদ্বেগু ছিল গৃহকে মুক্তিপথের সোপান করে গড়া। সস্তানের বয়ঃপ্রাপ্ত হ’লে আজও আমাদের দেশে অনেক গৃহী গৃহ ছেড়ে তীর্থে বাস করে। ভারত সভ্যতার মূলে এই একটা স্বতোবিরোধ আছে। একদিকে এ সভ্যতা গৃহপ্রধান, এবং এই গৃহ মানুষের সঙ্গে আপন সম্বন্ধ অত্যন্ত ব্যাপকভাবে স্বীকার করে। ভারত আবার আর একদিকে আত্মীর মুক্তির প্রতি লক্ষ্য রেখে সকল সম্বন্ধই একে একে ছিন্ন করতে বলে । সম্বন্ধকে স্বীকার করতে বলবার , কারণ এই যে, তার মধ্য দিয়ে না গেলে তাকে উত্তীর্ণ হওয়া যায় না। মানুষের মনে ষে সকল স্বাভাবিক প্রবৃত্তি আছে তাদের ক্ষয় করতে গেলেও তাদের ব্যবহার कङ्काउ श्झ । ७३ बावश्ब्रष्क निबूखिब्र दोब्र! निम्नबिज्र ক’রে তবে প্রকৃতির বন্ধনগুলিকে একদিন কাটানো সম্ভবপর হয়। বৌদ্ধধর্শ্বের সঙ্গে ব্রাহ্মণ্যধন্মের এই তফাৎ। প্রকৃতির শাসন সম্বন্ধে বৌদ্ধধৰ্ম্ম গোড়া থেকেই “toxico orajorio, anarchist ভারতসমাজের মুস্কিল এই যে, চারিদিক থেকে অতি যত্বে রক্ষিত না হ’লে এ সমাজ বিশ্লিষ্ট হ’য়ে পড়ে। কারণ এসমাজ বিচারকে শ্রদ্ধা করতে সাহস করে নি; আচারকেই একান্তভাবে অবলম্বন করেছে ; প্রধানত এ’র বন্ধন আভ্যস্তরিক স্বায়ু শিরার নয়,বাহিক দড়িদড়ার । এইজন্যেই নড়াচড়ার সম্বন্ধে এ’র এত বেশি সতর্কত। বাহিরের বন্ধনের গ্রন্থি পাছে বাহিরের একটুমাত্র আঘাতে খুলে যায় এইজন্তেই বাহিরকে সে এত বেশি ভয় করে। এই সতর্কতা আর তো থাটে না । সমুদ্রের এ পারের লোককে ওপারে ক্ষেতে আটকানো যায় কিন্তু ওপারের লোক যখন এপারে এসে পড়ে তখন কি করা যাবে? নূতন শিক্ষা নূতন মত, নূতন অভ্যাস বাঁধভাঙা বস্তার মত ভারতবর্ষের উপর আছড়ে পড়েছে। যে সব বিশ্বাস ছিল তার সমাজের স্তম্ভ, সে সব বিশ্বাসে প্রতিদিনই ছোটো বড় ছিজ দেখা দিচ্ছে। মতও বিশ্বাসের এই পরিবর্তন হ’ল ভিতরকার कथा, किरू दाहे८ब्रव्र लिट्टरूद्र थदन चांकघर्षणै। आर्थिक । অন্নস্বচ্ছলতা না থাকৃলে বহুলসম্বন্ধ-বিশিষ্ট সমাজের নিয়ৰ কখনই পালিত হতে পারে না। পর-সমাজের মত