পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] তখন ভাল অবস্থায় ছিল, ও এখনও আছে। এখনও অনেক বাঙ্গালী তীর্থাত্রী দাক্ষিণাত্যে ৰায়। ১৯১৯ খৃষ্টাৰো আমি কাঞ্চীতে একদল কলিকাতাবাসী তীর্থযাত্রী পাইয়াছিলাম, তাহারা তখন নয় মাসের বেশী দাক্ষিণাত্যে ঘুরিতেছেন, আর ছয় সাত মাস পরে কলিকাতায় পহছিবেন বলিলেন । অতএব দাক্ষিণাত্যের তীর্থস্থান সম্বন্ধে জ্ঞান, তীর্থযাত্রী বাঙ্গালী মাত্রেরই ছিল। কেবল এই জ্ঞান দ্বারা বিশেষ কিছুই প্রমাণিত হয় না। ২১। বহুমতী বলেন, “৩৫০বৎসর পূৰ্ব্বে বৈষ্ণবকবি বলরাম দাস র্তাহার এক পদে লিথিয়াছেন যে,গোবিন্দ দাস মহাপ্রভুর সঙ্গে দাক্ষিণাত্যে গিয়াছিলেন", আরও বলেন যে, গোবিন্দ আপনার স্ত্রীর হাতে ধরা পড়িবার ভয়ে আপনাকে প্রচ্ছন্ন করিয়া ঈশ্বরপুরীর প্রেরিত সেবক বলিয়া পরিচয় দিয়াছিল, ও ধরা পড়িবার ভয়েই কড়চা গোপন করিয়াছিল। কিন্তু ইহা কিরূপে সম্ভব বুঝিতে পারা গেল না । গোবিন্দর স্ত্রী জানিত যে, গোবিন্দ প্রভুর সহিত পুরী গিয়াছিল। গোবিন্দর স্ত্রী যদি পুরীতে গিয়া গোবিন্দকে দেখিত, তাহা হইলে কি তাহাকে আপনার স্বামী বলিয়া চিনিতে পারিত না, ঈশ্বরপুরীর ভূত্য বলিয়া সন্দেহ করিত ? কিম্বা সেকালে কড়চাখানি গোপন না করিয়া প্রকাশিত করিবামাত্র বঙ্গদেশের গ্রামে গ্রামে, বৈষ্ণব-সমাজে প্রচারিত হইত, তাহার স্ত্রী সেই পুস্তক দেখিয়া তাহাকে ধরিয়া ফেলিত ? আজকাল মুদ্রাযন্ত্র, বিজ্ঞাপন ও মাসিক পত্রের সমালোচনা-সাহায্যে লব্ধপ্রতিষ্ঠ গ্রন্থকারেরা যে স্বফল আশা করিতে সাহস করেন না, চারশত বৎসর পূৰ্ব্বে হাতে-লেখা তাল-পাতের পুথির কালে গোবিন্দ তাহাই আশা করিয়া পুথি গোপন করিয়াছিল ? কিন্তু এ গোপনও ত কেবল নিজের জীবিতাবস্থায় করা সম্ভব। চরিতামৃত লেখা আরম্ভ হইবার পূৰ্ব্বে ১৫১• খটাব্দের বৃদ্ধ গোবিন্দ নিশ্চয় মরিয়া থাকিবে। প্রভুর তিরোধানের পর তাহার পার্বদেরা পুরী হইতে কড়চাসহ বৃন্দাবনে আসিয়া থাকিবেন, অতএব কবিরাজ নিশ্চয় দেখিয়া থাকিবেন । কিন্তু চরিতামৃতে কড়চার উল্লেখ না থাকায় স্পষ্ট বুঝিতে পারা যাইতেছে যে, চরিতামৃত রচনার সময়ে কড়চার অস্তিত্ব ছিল না। 8 سے بے ھو� গোবিন্দদাসের কড়চার ঐতিহাসিকতা 8Եած বলরাম দাসের কথা অবিশ্বাস করিবার কোনো কারণ. নাই, কিন্তু তাঁহাতে এই মাত্র প্রমাণিত হয়,যে দাক্ষিণাত্যে প্রভুর সঙ্গীদের মধ্যে গোবিন্দ নামক এক ব্যক্তি ছিল, কিন্তু ঐ সঙ্গী গোবিন্দই যে প্রচলিত “গোবিন্দ দাসের কড়চা” রচয়িত তাহ প্রমাণিত হয় না। যে পুস্তকখানি কড়চা নামে প্রচলিত তাহার আভ্যস্তরীন প্রমাণ যখন তাহাকে কাল্পনিক, অনৈতিহাসিক ও বহু পরবর্তী কালের রচনা বলিয়া নির্দিষ্ট করিতেছে, তখন গোবিন্দ নামক কোনো ব্যক্তি ছিল কি না, সে কৰ্শ্বকার কি কায়স্থ, সে-ই আত্মগোপন করিয়া আপনাকে ঈশ্বরপুরীর প্রেরিত ভৃত্য বলিয়াছিল কি না, সে সকল তুচ্ছবিষয়ের আলোচনার কোনো ফলই হয় না। বরং বলরাম দাসের উক্তিতে ইহাই সন্দেহ হয়, যে পরবর্তী কালে কোনো রসিক লেখক কড়চা রচনা করিয়া প্রভুর এক নগণ্য সঙ্গী গোবিন্দ কৰ্ম্মকারের নামে প্রচলিত করিয়াছে । ২২। গোবিন্দের কড়চার বর্ণনার অধীনে বস্বমতী বলিতেছেন— চৈতঙ্গ ভাগবতে পরিষ্কার লেখা আছে, যে হরিদাস মুসলমান ; এই অপমান (?) ঢাকিবার জঙ্ক শেষে হরিদাসকে মুসলমান-গৃহে লালিত ব্ৰাহ্মণপুত্র বলিয়া ঘোষণা করা হইয়াছে। এমন-কি, তাহার পিতামাতার শুদ্ধ ব্ৰাহ্মণোচিত নামও পরিকল্পিত হইয়। তাছার জাতি শোধন করিয়া লইবার চেষ্ট হইয়াচে । তিনি যদি ব্ৰাহ্মণ সস্তানই হইবেন, তবে কি কাজীর রাগ এত হইতে পারিত যে, তাছাকে ২২টি বাজারে লইয়া গিয়া এরূপ নির্দয়ভাবে চাবুক মারা হইত ?” কিন্তু যে জয়ানন্দকে সাহিত্য পরিষৎ বেশী পরিচয় সংগ্ৰহ করিয়া লিথিয়াছেন ৰলিয়া প্রামাণিক বিবেচনা ও বিশ্বাস করেন সেই জয়ানন্দই হরিদাসের পিতামাতা সম্বন্ধে লিখিয়াছেন 'ॐव्छणां भांtब्रब्र नाम, बां★ वtनांझ्द्र !' খুব সম্ভব, হরিদাস ব্রাহ্মণকুলে জন্ম গ্রহণ করিয়া বাল্যাবস্থায়, যে-কোনো কারণে, কোনো মুসলমান-পরিবারে প্রতিপালিত হইয়াছিলেন, সেখানে তিনি ইসলাম ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়াছিলেন। হরিদাস যে-বংশেই জন্মগ্রহণ कब्रिब्र थांबून, डिमि देव्हांच्च बां अनिष्क्रांश्च मुर्थन ७कदाग्न ইসলাম ধর্শ্বে দীক্ষিত হইয়াছিলেন, তখন তিনি মুসলমান। মুসলমান বলিলে তাহার মুসলমান পিতামাতার গৃছে জন্ম প্রমাণিত হয় না, মুসলমান ধর্মে দীক্ষিত হওয়াই প্রমাণিত