পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ]" একটা বিভীষিকা আছে । তার নিত্য সজীব নিত্য চলন্ত भन किङ्करङहे बैंक्षा भरिङ झाघ्र ना । नूउन পথে , ছুটিতে ভঁrর চিত্ত্বের একটা সহজ গতি সইজ মানন্দ আছে। . তাই এই বয়সে র্তাহার চিত্তে নিত্য-নূতন ভাবের ধারা প্রবাহিত হইতেছে। সঙ্গীবতা নবীনতা প্রাণময়তা তাহার বড় পূহনীয় ! চতুর্থত —সমালোচন। যথার্থই রবীন্দ্রনাথের স্যায় এমন সমালোচক আর দেখি নাই। সুন্নাহ্লস্বল্পরূপে এমন আশ্চৰ্য্য বিশ্লেষণ করিবার শক্তি আর দেখি নাই । খুৎ ধরিতে দোষ দেখাইতে তার মত দক্ষতা কচিং দেখা যায়। কিন্তু বড়ই আশ্চর্য্যের বিষয় দোষ দেখাইয়া দিলেও মৰ্ম্মে তাহা বিদ্ধ হয় না, সমালোচনার তীব্র বিষে কাহারে অন্তর জলিয়ু ধায় না। রবীন্দ্রনাথের আঘাতও কি করিয়া এমন কোমল হইতে পারে ইহা এক আশ্চৰ্য্য কথা । পঞ্চমন্ত:—রবীন্দ্রনাথের কবিতা । রবীন্দ্রনাথের প্রতিভা নানাদিক্ দিয়া ফুটিয়া উঠিয়াছে। কিন্তু কবিত্বশক্তিই হইল রবীন্দ্রনাথের অসাধারণ শক্তি। রবীন্দ্রনাথ যদি আর কিছু ন হইতেন, তবু কবীন্দ্র হইতেন । মেঘ যেমন বর্ষণের দ্বারা আপনার পরিচয় দেয়, তেমনি রবীন্দ্রনাথ তার পরিচয় দিয়াছেন–র্তার বীণার ঝঙ্কারে । কবির চিত্তের ছবিখনি কবিতার ভিতরে যথার্থরূপে প্রতিফলিত হইয়াছে । রবীন্দ্রনাথ কবি হইয়াই জন্মগ্রহণ করিয়াঁছেন। কবিত্ব-শক্তি র্তাহার অস্তিত্বের মূলে । রবীন্দ্রনাথকে জন্ম কবি কেন বলিতেছি ? বাস্তবিক রবীন্দ্রনাথের স্থায় পারিপার্থিক অবস্থা কাহারো পস্কে এত অধিক প্রতিকুল হইতে পারে না। আমরা চিরদিন শুনিয়া মালিয়াছি—প্রকৃতির •রম্য কাননে, নিঝ খ্রিণীর তটে, গিরিকন্দরেই কবিত্বের জন্ম হুইয়া থাকে। কলিকাতার ইষ্টক-প্রাচীরের মাঝখানে সহরের কোলাহলের মধ্যে যে এত বড় কবি জন্মিতে পারে, ইহা এক আশ্চৰ্য্য কথা । কলিকাতার চিৎপুর রোডে, কবিত্ব-শক্তির উদ্দীপনা হওয়া দূরে থাক, তা’র সমাধি এখানে হইতে পারে। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ কবির হৃদয়, কবির চক্ষু, কবির সৌন্দৰ্য্য-জ্ঞান ও শক্তি লইয়া জন্মগ্রহণ করিয়াছেন ; কাজেই স্থাসকে রবীন্দ্রনাথের বাণী 80 জলে-ছুধে দিলে যেমন সে দুধটুকু খাইয়া জল ফেলিয়া দেয়, রবীন্দ্রনাথ তেম্নি প্রাচীর-ঘেরা ঘরে বসিয়া পুষ্করিণীর ধারে বটগাছ আর কয়েকটি নারিকেলগাছ দেখিতেদেখিতে কবি হইয়া উঠিলেন । - আয়োজনের উপকরণ অন্তরেই ছিল; বাহিরের কোনো আবশুকতাই ছিল না । প্রাকৃতিক সৌন্দর্ঘ্যের মধ্যে হর্খ্যমালার পশ্চাতে স্বর্ধ্যোদয়, হুৰ্ম্ম্যমালার পশ্চাতে স্বৰ্য্যন্ত কলিকাতার ধূলিধূসরিত - গগনে তাহার শেষ রশ্মিপাত । কবি আপনার মনের মতন স্বপ্নরাজ্য - নিৰ্ম্মাণ করিয়া তাহাতেই স্বথে বিহার করিতেন । রবীন্দ্রনাথের স্কায় এমন দুঃখের শৈশব কম শিশুর থাকে। বাড়ীর অন্তঃপুরে প্রবেশ নিযেধ—বাড়ীর বাহিরে পদার্পণ নিষেধ ! জগতের সঙ্গে কোনো সম্পর্কই নাই। কিন্তু এমন অবস্থার ভিতরেও রবীন্দ্রনাথের কবিহৃদয় বাড়িতে লাগিল । ৭৮ বৎসরের বালক কবিতা লিখিতে আরম্ভ করিলেন । তখনকার কবিতা এইরূপ :– রবিকরে জালাতন আছিল সবাই বরষা ভরসা দিল আর ভয় নাই । আর-একটি 争 আমসত্ত্ব-দুধে ফেলি, डांश्शाउ कलजौ मनि, সন্দেশ মাখিয়া দিয়া তাতে হাপুস হুপুল শব্দ চারিদিক নিস্তব্ধ পিপিড় কাদিয়া যায় পাতে। এইসকল বালক-কবির রচনা নিতান্ত প্রাঞ্চল তাহাতে আর সন্দেহ নাই। রবীন্দ্রনাথের যাহকিছু শিক্ষা গৃহেই হইয়াছে। রবীন্দ্রনাথ যথার্থই আমাদের জাতীয় কবি। কবিতাই তাহার 2 || কবিত্বের প্রধান দুই উপকরণ কল্পনা ও সৌন্দৰ্য্য-বোধ। এই উভয় উপকরণ রবীন্দ্রনাথে আশ্চৰ্য্য পরিমাণে আছে। রবীন্দ্রনাথের কবি-কল্পন। নানা ঐশ্রজালিক মূৰ্ত্তিতে দেখা দিয়াছে—আর সৌন্দৰ্য্য-বোধ শক্তিতে রবীন্দ্রনাথ অদ্বিতীয়। সৌন্দর্ঘ্য বোধ-শক্তি র্তাহার অস্তিত্বের সতি