পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ట్ర6ఫి প্রবাসী స్ప్రిలి$8 নিজেকে কারারুদ্ধ করে আমরণ ধ্যানে বসেছিলেন । কৰ্ম্মের ডাকে তার শেষ জীবনের যোগ-নিজ ভাঙে নি । আপনারা কারাগুহের দেবতা, আপনার আমায় আশীৰ্ব্বাদ করুন যেন আমার নিজের রচিত কারাগৃহ— সাধন-মন্দিরের মধ্যাদা লাভ করুক, আমার ক্ষুদ্র সাধনা সিদ্ধির পথে সার্থক হয়ে উঠুক ! আপনি ভারতীয় শিল্পের ভক্ত, আপনি আমার নমস্ত । আপনাকে আবার নমস্কার । বিনীত ঐআৰ্দ্ধেন্দ্রকুমার গঙ্গোপাধ্যায় רטן ר ן א মান্তবরেষু, আপনার প্রেরিত পুস্তক, পুস্তিকা এবং বিশেষ ক’রে একান্ত আন্তরিকতাপূর্ণ ও সাহিত্যিক ভাব-রসে ভরপুর আপনার চিঠিখানার জন্যে শত শত ধন্যবাদ । “আমি সাহিত্যিক নই” বলে আপনি ধতই সাফাই গাইবার চেষ্টা করুন না, আপনার প্রবন্ধ, পুস্তিকা ইত্যাদি ছাড়াও এই চিঠিখানাই নেমক-হারামি ক’রে আপনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিচ্ছে । “সাহিত্য মানুষের মনের মধ্যে পরিচয়ের সৌমিত্র”—এই কথাটা যার কলম থেকে বেরিয়েছে, সাহিত্য-সভায় তার অন্ত পরিচয় বাহুল্য মাত্র। তবে পণ্ডিত সমাজে আপনার রচনা পঠনীয় কি না, সে কথার জবাব যারা পণ্ডিত, র্তার দেবেন—আমার সে ধৃষ্টতায় কাজ নেষ্ট । আপনি যে বর্ণশ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণ হয়ে আমার মত একটা সাধারণ লোককে বার-বার নমস্কার জানিয়েছেন, তার ফলে চিত্রগুপ্তের থাতার পাতায় নিশ্চয় আমার অনিবার্ষ্য নিরন্থগমনের ব্যবস্থা পাকা হয়ে গেছে । সনাতনী চিত্রগুপ্ত কি আর শেষের সে দিনে জ্ঞাতি ব'লে খাতির করবে ?— করবে না। তবে কথা এই যে আমি সে জন্যে কিছু মাত্র ভয় পাই নে—বোঝার উপরে এক গাছি তৃণের ভার বই স্ত নয় ? নরকে যদি যেতেই হয়, তবে তার জন্তে অনেক কারণই জমা হয়ে আছে। কিন্তু নমস্কারটা আপাততঃ ৰে ব্যক্তি-বিশেষকে লক্ষ্য করে দেওয়া হয়েছে, তার বিশ্বাস ৰে এটা নিতান্তই অহৈতুক। তবে, তৃণ হতেও স্বনীচ হয়ে যদি অমানীকে মান দিতে চেয়ে থাকেন, তাহলে তার ফলে ষে হরি-সঙ্কীৰ্ত্তনের পথ খোলসা হবে, তা আমার খরচায় ( at my expense ) হ'ল, মনে রাখবেন এবং তাতে ক’রে যে পুণ্যার্জন হবে, আমারও তার ভাগ পাবার দাবি রইল । তবে আপনার আমন উচ্ছ্বসিত নমস্কারের উপলক্ষ হ'লেও প্রকৃত লক্ষ্য যে আমি নই—এ কথাটা বুঝতে পারি নে, এতটা আহাম্মক নই। এর সবটাই যে কলাদেবীর পাদপদ্মে আপনার প্রাণের ঐকাস্তিক ভক্তির পুপ-অৰ্ঘ্য, তাতে কিছুমাত্র ভুল নেই। শিল্পকলার প্রতি ধে আপনার কতটা প্রীতি, কতখানি দর, ও, কি একনিষ্ঠ ভক্তি, এতেই তার পূর্ণ পরিচয় বিশেষ ক'রে স্পষ্ট হয়েছে। তথাপি আমি একটা কথা বলব—বেয়াদবি মাপ করবেন । কথাটা এই যে আপনার বিলম্ব-প্রকাশের রকমটা সম্বন্ধে আপত্তি জানাতে চাই। আপনি এক বিষয়ের বিশেষজ্ঞ । অবনীন্দ্রনাথ যেমন ‘বেঙ্গল স্কুল অব আট’-এর স্থাপয়িত, আপনিও তেমনি ‘বেঙ্গল স্কুল অব আটক্রিটিসিজম’ গড়ে তুলবেন—এইটে আমরা প্রত্যাশা করি । তাতে এক দিকে যেমন একটা কাজের মত কাজ হবে— বাংলার এক দিকের একটা মস্ত অভাবের পরিপূরণ হবে, অন্ত দিকে তেমনি দেশ-বিদেশে বাংলার সম্মান বাড়বে নবীন যুগে নব সংস্কৃতির পতাক-বাহক হিসেবে। কিন্তু ধারা অগ্রদূত, বেশী বিনয় করে কথা বললে, তাতে তাদের কথার মূল্য কমে—বিশেষ ক'রে অন্ত প্রদেশের লোকের কাছে । সেটা মোটেই কাম্য নয়। ভারতীয় শিল্পকলা সম্বন্ধে আমি কিছু কিছু জানতে বুঝতে চাই। আপনি লিখেছেন–বই পড়ে তা হবে না। আপনার কথার মানে আমি যা বুঝেছি, তা এই যে, কি শিল্প-স্বষ্টি ( creation ), fr fr-wTzottsal ( criticism )– উভয়েরই মূলে রস-বোধ এবং শিল্প-রসজ্ঞ হওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে—“সাক্ষাং দৃষ্টির পথে ছবি ও পুতুলের সঙ্গে মিতালি পাতানো”—আসল না মিললে, অন্ততঃ উচু দরের প্রতিলিপি। এই যদি হয়, তবে এ-রসে রসিক হওয়া আমার কৰ্ম্ম নয়। যেহেতু আমার পক্ষে তার স্বৰোগ-হুবিধা করে