পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ヘごb〜 প্রবাসী | 為N○88 ব্যাপার মনে করা হয় ; যেন “ইংরেজ বনাম কালা-আদমী" মোকক্ষম হইতেছে, যেন মন্ত্রিমণ্ডলের সমর্থক দল এবং মন্ত্রিমণ্ডলের বিরোধী দলের একটা ঝগড়া হইতেছে, এইরূপ মনে করা হয়। বিষয়টি যে ন্যায়বুদ্ধির দিক্ হইতে যে উদার মানবিকতাপ্রণোদিত হৃদয়-মন লইয়া বিবেচনা করা উচিত ছিল, তাহ করা হয় নাই। অধিকাংশ মুসলমান সদস্য হয়ত ভাবিয়াছেন, প্রায়োপবেশকেরা ত সবাই বা প্রায় সবাই হিন্দু ; অতএব আমাদের তাহাতে কি আসে যায় । ইংরেজ সদস্যেরা ভাবিয়া থাকিবেন ইহা বিদ্রোহী কাল-আদমীদের ব্যাপার, তাহাদিগকে সায়েস্তা করাই উচিত। কাগজে দেখিলাম, প্রায়োপবেশকদের সংথ্যা ১৮৭ হঠতে ২৫০-এ পৌছিয়াছে। পরে হয়ত আরও বাড়িবে। অনেক উপবাসীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। জোর কfরয়া খাওয়াইবার চেষ্টায় বা অমৃ কারণে কত জনের প্রাণ সংশয় হুইবে ব! প্রাণ যাইবে, বলা ধায় না । গবন্মেণ্টকে ও জনগণকে মনে রাখিতে হইবে, যে, এই বন্দীরা প্রথমেই প্রায়োপবেশন করে নাই ; তাহার। প্রথমে দরখাস্ত করিয়াছিল, তাহ। মঞ্জুর না-হওয়ায় তাহার অনাহারে প্রাণত্যাগ কfরবে প্রতিজ্ঞা করিয়াছে । তাহার যে বিচারাস্তে দণ্ডিত ও বন্দীকৃত কয়েদী, এই কথার উপর ঞ্জোর ন-দিয়া, এই কথাটি ভুলিয়া গিয়া, কেবল চহাই বিবেচনা করা উচিত, যে কতকগুলি মাচুর্য কোন কারণে মৃত্যু পণ কfরয়াছে । সেই কারণগুলি বিবেচ্য। আগেই বলিয়াছি, তাহার প্রথমেই প্রায়োপবেশন করে নাই ; প্রথমে দরখাস্ত করিয়াছিল, তাহ মধুর না-হওয়ায় প্রায়োপবেশন করিয়াছে। মায়ুধ এক এক বা দলবদ্ধ ভাবে ধfদ রাষ্ট্রীয় বা শাসন-সম্বন্ধীয় কোন পরিবর্তন হওয়া বাঞ্চলীয় মনে করে, তাহা হইলে ভাহা ঘটাইবার একাধিক পন্থা ও উপায় আছে । শাস্তিপূর্ণ বা অহিংস একটা রীতি তদৰ্থে আন্দোলন ও কর্তৃপক্ষের নিকট তদৰ্থে আবেদন প্রেরণ। ইতিহাসে দেখা যায়, অনেক দেশে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে এই উপায়ে সিদ্ধিলাভ না-হওয়ায় কিংবা জনগণের এই উপায় অবলম্বনে বাধা দেওয়ায় বা তাহার। এই উপায় অবলম্বন করিবার স্বযোগ না পাওয়ায়, সশস্ত্র বিদ্রোহ ও বিপ্লবচেষ্টা /ংইয়াছে, এবং তাহা কথন বা সফল কথন বা ব্যর্থ হইয়াছে । এই যে দ্বিতীয় উপায় ইহার পশ্চাতে এই মনোভাব থাকে, যে, "কর্তৃপক্ষ আমাদের কথা শুনিলেন না, স্বতরাং আমরা বল-প্রয়োগদ্বারা আমাদের কথামত কাজ করিতে কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করিব কিংবা কর্তৃপক্ষের উচ্ছেদসাধন করিব।” ভারতবর্ষে বর্ধমান যুগে প্রথম উপায়ই অবলম্বিত হইয়া আদিতেছে। নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা, কেহ বা অহিংসা তাহাদের ধর্থের একটি সার অংশ বলিয়া, কেহ বা সশস্ত্র বিদ্রোহ ও বিপ্লব বৰ্ত্তমান অবস্থায় অসাধ্য ৪ অসমীচীন বলিয়, আবার অন্য কেহ বা উভয়বিধ কারণে, দ্বিতীয় উপায় অর্থাং সশস্ত্র বিদ্রোহের পথ অবলম্বনের বিরোধী। আমরাও হিংসামূলক বিপ্লবচেষ্টার বিরোধী। তৃতীয় উপায়, অম্বুকে দুর্থ না দিয়া, অস্তের প্রাণবধ না করিয়া, নিজেই দুঃখ সহ এবং প্রয়োজন হইলে মৃত্যুকে বরণ করা। ইতিহাস-প্রথিত বিদ্রোহ ও বিপ্লবসমূহে বিদ্রোহীর ধেন কর্তৃপক্ষকে বলিয়াছে, “তোমরা আমাদের কথা শুনিলে না, অতএব তোমাদিগকে বাধা করিবার নিমিত্ত বল প্রয়োগ করিব, দুঃখ দিব, প্রয়োজন হইলে তোমাদের বিনাশসাধন করিব।” এই প্রকার মনোভাব রাষ্ট্রনীতিক্ষেত্রে ভারতবর্ষের বর্তমাণ নেতৃবর্গের অনুমোদিত নহে। তাহারা, প্রয়োজন হইসে কর্তৃপক্ষকে দুঃখ না দিয়া স্বয়ং দুধ বরণ করিয়াছেন, কারাবরণ করিয়াছেন, লাঠির আঘাত সঙ্গিয়াছেন ; তাহদের দগের লোকেরাও তাই করিয়াছেন । কর্তৃপক্ষীয় কাহারও প্রাণ বধ না করিয়া তারা কেহ কেহ নিজে মৃত্যু বরণ করিতে প্রস্তুত। তপশীলভূক্ত জাতিদের এবং অন্ত হিন্দু জাতির প্রতিনিধি নিৰ্ব্বাচন একেবারে পৃথক হইবে, সাম্প্রদায়িক বাটোয়াখার প্রথম ব্যবস্থায় এইরূপ একটা বিধি ছিল । মহাত্মা গান্ধী হিন্দুসমাজকে দ্বিখণ্ডিত করিবার এই বিধি 4 উপায়ের প্রতিবাদ করেন। প্রতিবাদ নিফল হওয়ায় তিনি পুণা জেলে প্রায়োপবেশন করেন । তথন কর্তৃপক্ষ সাম্প্রদায়িক বঁটোয়ার প্রথম ধেভাবে করা হইয়াছিল, তাহার কিছু পরিবর্তন করেন। - আমরা আগে বলিয়াছি, জাওামানের বন্দীরা ধাই করিয়াছে, তাহার বিচার করিতে হইলে, ইহা ভাবা উচিত