পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

め8b" প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৪ শিক্ষালয়ের অধ্যাপকদের চেয়ে কম যোগ্য নন। অথচ ইহান্তে শিক্ষাপ্রাপ্ত পরীক্ষোৰ্ত্তীর্ণ ছাত্রেরা বিদেশীদের পরিচালিত বা সরকারী কলকারখানায় কাজ পান না । জাচার্ষ্য রায় এদিকে স্বদেশবাসীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সরকার বাহাদুর এবং বিদেশী বণিকগণ আমরা বিদেশী পণ্য বর্জন যা বয়কট করিলে বড় ক্রদ্ধ হন ; কিন্তু নিজের ষে আমাদের প্রতিষ্ঠানাদিকে বয়কট করেন, তাহাতে দোষ হয় না। “মাকড় মারিলে ধোকড় হয় ।” সে যাহা হউক, আমাদের ভাল প্রতিষ্ঠানগুলির আমরা যেন সৰ্ব্বদা সমুচিত আদর ও সাহায্য করিতে ভুলিয়া না ৰাই । ছাত্রদিগকে সম্বোধন করিয়া আচার্য্য রায় বলেন ৪ –

  • স্থায়ী আয়ের জন্য তোমরা বড় ব্যস্ত। একটি চাকুরী পাইলেই তোমরা বাচিয়া যাও। ইহ। তোমাজের ভুল ধারণ । যত ছোট গেক লা কেন, নিজে নিজে ব্যবসা করিতে শিখ । সেইজন্তই তে। এখানে তোমাদিগকে হাত চেন্তেরে শিক্ষা দেওয়া হয় । চাকরী খুজিতে গিয়া তোমরা এই জাতীয় শিক্ষার উদ্দেশ্য ব্যর্থ করিয়া থাক । তোমরা बलिtव मूलषम cछांशाग्न ? वांभाद्र भरन झग्न. कहेमश्कूिठ ७ ४ीकीiठी থাকিল মূলধনের অভাব হয় না। মনে রাখিবে, এই দুই গুণ জীবনে সাফল্যলাভের উপায় ।”

বঙ্গে ও পাঞ্জাবে কাগজের কারখানা কলে কাগজ প্রস্তুত করিবার জন্য পঞ্জীবে একটি বৃহৎ কারখানা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে । শীঘ্রই কাজ আরম্ভ হুইবে । ইহার কোম্পানীর অংশ বিক্রীর জন্য খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন বাহির হইয়াছে । ইহা প্রধানতঃ ইউরোপীয়দের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হক্টয়াছে। বাংলা দেশে আসাম বেঙ্গল পেপার মিল্স কোম্পানী নামক কোম্পানী গঠিত হইয়াছিল। কতক টাকাও উঠিয়ছিল। যন্ত্রপাতি বিদেশ হইতে ক্রী ত হইয়। আসিয়া শু্যামনগরে পড়িয়া আছে । কাগজে দেখিলাম, এই কারখানা প্রতিষ্ঠিত হইবে না, কাঞ্জও চলিবে না। এই ব্যর্থতার কারণ কি ? সফলতার ইতিহাস এবং বিফলতার ইতিহাস, দুই-ই কাজে লাগে । সফলভার ইতিহাস হইতে শিখা যায় কেমন করিয়া কার্যসিদ্ধি হয়, বিফলতার ইতিহাস হইতে ভুল-ভ্রান্তি পরিচার কৃরিতে শিখা যায়। এইজন্য আসাম ও বঙ্গের প্রস্তাবিত কাগজের কারখানাটি কেন অস্কুরে বিনষ্ট হইল, তা গর কারণ আচার্ধ্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় কিংবা অন্য কোন বিশেষজ্ঞ প্রকাশ করিলে দেশের উপকার হইবে। [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড বঙ্গীয় নারীশিক্ষার মন্ত্রণাদভী গত ১৬ট, ১৭ই, ১৮ই, ও ১৯শে ফেব্রুয়ারী কলিকাতায় দেশী ও ইউরোপীয় মহিলাদের যে-সভায় বঙ্গে নারীশিক্ষার বিষয় আলোচিত হইয়াছিল, তাহার রিপোর্ট ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হওয়ায় বুঝা যাইতেছে, যে, ইহার উদ্যোত্রীগণ খুব কাৰ্য্যতৎপর। চারি 1দনের অধিবেশনে অনেকগুলি প্ৰবন্ধ পঠিত হয়। সেগুলিও রিপোটে আছে। এইজন্য ইহা , মূল্যবান। সভাতে নারীদের নিম্নতম হইতে উচ্চতম শিক্ষা সম্বন্ধে অনেকগুলি প্রস্তাব ধার্য হয়। সবগুলিই বিবেচনার ধোগ্য। আমরা কয়েকটির উল্লেখ করিতেছি। প্রাথমিক শিক্ষা সম্বন্ধে বলা হইয়াছে, বঙ্গে বালিকাদের প্রাথমিক শিক্ষার অবস্থা সাতিশয় অসস্তোবজনক । ইহা অতি সভ্য কথা । তাহার পর বলা হইয়াছে, যে, এই প্রদেশের প্রত্যেক বালিকা অবৈতনিক শিক্ষা লাভ করিতে বাধ্য, এইরূপ ব্যবস্থা করা উচিত । এই প্রস্তাব সম্পূর্ণ সমর্থনযোগ্য। শিক্ষয়িত্রী প্রস্তুত করি?ার বর্তমান বন্দোবস্ত যে ভাল ও যথেষ্ট নয়, তাহাও ঠিক বলা হইয়াছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট প্রভৃতি যে-সব সভাসমিতির দ্বারা দেশের শিক্ষাকার্য্য পরিচালিত হয়, তাহাতে নারী সভ্য থাকা যে প্রয়োজন, ইহাও সত্য কথা । বালিকা ও তরুণীদের দেহের উন্নতি যাহাতে হয়, ব্যায়ামাদির দ্বারা তাহার ব্যবস্থার ঔচিত্য সম্বন্ধে সভায় যাহা নিৰ্দ্ধারিত হইয়াছে, অবিলম্বে তাহাতে মন দেওয়া গবন্মেণ্টের ও দেশবাসীর কৰ্ত্তব্য । ইউরোপের ছোট ছোট মেয়েদের স্বাস্থ্যের সহিত আমাদের মেঘেদের স্বাস্থ্যের তুলনা করিলে কান্না পায়। বঙ্গে অতীত কাল হইতে যে-সব কারুশিল্প চলিয়া আসিতেছে, তৎসমুদ্বয়ের উন্নতিয় চেষ্টা, প্রত্যেক বিদ্যালয়ে রেথাঙ্কন শিক্ষা, এবং চারু ও কারু শিল্প গৃহস্থালীতে কেমন করিয়া কাজে লাগাইতে পারা যায় তদ্বিষয়ক শিক্ষা, প্রভৃতির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়া সভা সৰ্ব্বসাধারণের ধন্যবাদার্হ হইয়াছেন । এই বিষয় সম্পর্কে প্রবাসীর বর্তমান সংখ্যায় প্রকাশিত কারুশিল্পের পুনরুদ্ধার প্রবন্ধটি পঠিতব্য । পরিশেষে আমাদের বক্তব্য এই, বে, বালক বা বালিকাদের শিক্ষা, সম্পূর্ণরূপে বা প্রধানতঃ, সাক্ষাৎ বা পরোক্ষভাবে, গবৰ্ম্মেন্টের কিংবা খৃষ্টীৰ মিশনারীদের হাতে যাওয়া বাঞ্ছনীয় নহে । যে-সকল শিক্ষিতা বাঙালী মহিলা এই সভাব কর্ষ্যে যোগ দিয়াছিলেন, আশা করি, এবিষয়ে র্তাহাদের দৃষ্টি আছে।