পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] ইমাম্ অবুলফতেহ ওমর-বিন-ইব্রাহীম-অল-থৈয়ামী সম্বন্ধে যৎকিঞ্চিৎ ১৬১ রূমের কবিতার মত স্বল্প ও উচ্চ ভাব নাই, ও খৈয়াম স্বর সম্বন্ধে এত কবিতা লিথিয়াছেন যে র্তাহাকে অহঙ্কারী gtziosa s Toso of (A Study in vanity and Tipsomania & Bacchanalian Poet) of hol বোধ হয় । তাহার সমালোচনা দেখিয়া বোধ হয়, তিনি থৈয়ামের ভাব গ্রহণ করিতে পারেন নাই। মওলানা রূমের মসনবীর সহিত থৈয়ামের কবিতার তুলনা করিয়া সমালোচক নিজেই হাস্যাম্পদ হইয়াছেন, কেনন অনেক সমালোচকের মতে ঐ মসনবীখানি জগতের শ্রেষ্ঠতম কাব্যের মধ্যে একখানি, ও থৈয়ামকে তাহার ভাষাভাষীর কবি বলিয়াই স্বীকার করেন নাই । আরবী, পামী ও উজু কবিতা বিশেষত: গজল হইতে, ‘স্বর, সাকী, গুল ও বুল বুল” এই চারটি শব্দ তুলিয়া লইলে, কবিতার কবিত্ব নষ্ট হইয়া যায়। প্রাচ্য কবির স্বর। শব্দটি নানা অর্থে ব্যবহার করেন । ভারতের ষ্ণৈব ভক্ত কবিরা ৭ বলেন, “তরি রস-মদিরায় মাতিল সকলে ” এখানে মদিরা যে বাস্তব স্বরা ( alcohol ) নহে ত’হ ইউরোপীয়েরা সহজে বুঝিতে পারেন না। পাস ও উত্ন কবিদের মধ্যে র্যাচার কথন ও স্ন রা স্পর্শ করেন নাই, তাহার আস্বাদ কিরূপ জানেন না, তাহাদের কবিতাও সুরার গুণ বর্ণনাপূর্ণ। ইরানে নিজ হাতে ঢালিয়া স্বরাপান প্রায় কেহ করে না। ধনবানদেব গৃহে অfইথি আসলে একটি স্বন্দরী যুবতা দাসা বাদ। [ বড় পাত্র Decanter ] হইতে ason (wine-glass) Gifol of cotasta [tray J ংখিয় গুহ-ক ব্লার সম্মুখে ধরে । সম্মানিত অতিথিকে গৃংকৰ্ত্ত স্বহস্তে জাম দেন, সমান পদের লোককে দিতে হইলে দাসীকে দিতে আজ্ঞা করেন । এই পরিবেশনকারিণী দাসীকে সকি বলে । স্বর।-বিক্রয়ের দোকানেও শাক (Bar maid) থাকে। ভারতে এপ্রথা নাই ; ভারতের কবির। কখনও সাকা দেখেন নাই, তথাপি উচু গজলে সংকী ও শরাব শব্দের ছড়াছড়ি দেখিতে পাওয়া যায়। ইরানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে থোরাসান প্রদেশ, 21 তুগর নেশাপুর একটি রহ প্রাচীন বিদ্য|কেন্দ্র। নেশাপুরের একটি পাঠশালায় ঈণীয় একাদশ শতকের মাঝামাঝি থৈয়ামকে বিদ্যার্থীরূপে দেখিতে পাই । ج سيسجل جة এই নগরেই তাহার জন্ম, বাস, ও মৃত্যু হইয়াছিল। পরে, ইরানের সম্রাট জলাল উদ্দীন মলিক শাহ যখন প্রাচীন পঞ্জিকা সংস্কার করিয়া আপনার নামে সূতন সম্বং চালাইবার জন্য বহু অর্থ ব্যয় করিয়া একটি মান-মন্দির স্থাপন করিলেন, তখন খৈয়ামকে তিল জল প্রধান গণিতজ্ঞ জ্যোতিষীদের মধ্যে একজন রূপে দেখিতে পাই। এই জ্যোতিষীরা মিলিয়৷ ষে সারণী প্রস্তুত করিয়াছিলেন, তাহার নাম “জীচ মলিক শাহী” [ Malikshahi Astronomical Tables j atol &##tfga i fos coকারণেই হউক, ঐতিহাসিকরা ঐ সারণা প্রস্তুত করিবার সম্মান একমাত্র খৈয়ামকে দিয়াছেন। মলিক শাহের সংস্কৃত জুলালী সম্বই (Jalali Era) ১৯৭৯ ঈশাদের সায়ন মহাবিষুব সংক্রাfস্তর দিন আরম্ভ হইয়াছে ও এখনও প্রচলিত আছে। তাহার পর খৈয়ামকে নেশাপুরে দার্শনিক পণ্ডিত ও নজুমী [ ফলিত জ্যোতিষী ] ৰূপে দেখিতে পাই। তিনি বোধ হয় রাজ-সরকার হইতে বিধানরূপে কিছু বৃত্তি পাইতেন । তিনি আপনার গৃহে বসিয়া দর্শনের অধ্যাপনা করিতেন। এরূপ অবস্থায় অধ্যাপকরা ছাত্রদের কাছে এখনও বেতন স্বীকার করেন না। তাহাকে অন্য কোনও অর্থকরী কাৰ্য্য করিতে দেখি না। ফলত জ্যোতিষের বিচার করাইতে দূর দেশ হইতে ও তাহার কাছে লোক আসিত তাহাতে বোধ হয় কিছু হদিয়া { দক্ষিণ। } পাইতেন । ইসলাম-জগতে দৰ্শনশাস্ত্র বড় অ দৃত ছিল না । থৈয়ামের সমসাময়িক একজন ফকাহ [ ধৰ্ম্মশাস্ত্র বদ ] দৰ্শনের মত খণ্ডন কkিয় যে পুস্তক লিখিয়াছেন তাহ! এখনও ইসলাম-জগতে সম্মানিত । দর্শনের ঈশ্বরবাদ কোরানের মতের বিরুদ্ধ, সেইজন্ম রাজক্ষমতাবলে বলীয়ান মোল্লারা তাহাকে কাফের বলিয়৷ পীড়ন করিতে ছাড়েন নাই । থৈয়াম অস্তরে দার্শনিক ছিলেন ; তিনি যতদূর সম্ভব মুসলমানদের আচার ও শাস্ত্রে আজ্ঞা মানিয়া চলিতেন ; যখন ইচ্ছা হইত নমাজ উপাসনা করিতেন,রোজাও করিতেন ; কিন্তু এগুলিকে ফর্জ অবগু কৰ্ত্তব্য ধৰ্ম্ম]ও স্বর্গে ষাইবার একমাত্র পথ বলিয়। বিশ্বাস করিতেন না। কখন কখন বিদ্রুপ করিতেও ছাড়িতেন না,যেমন তিনি বলিয়াছেন :–