পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s>や পরেই বাড়ীতে আসিয়া তাহাদিগকে যা কিছু খাইতে হইত। আমার বাল্যকালে শ্ৰী:ট্র সহরেও এখনকার মতন সম্বেশ রসগোল্লা বা লুচী, কেচুরী, গঙ্গা প্রভৃতি খাবার মিলিত না । ছানার সংবাদ তখনও সে দেশে পৌছায় নাই। বাজারে এক জিলাপী মাত্র পাওয়া যাইত। আট ময়দা মিলিত না, সইরেও প্রস্তুত হইত না, বাহির হইতেও আমদানি হইত না। নারিকেলের মিষ্ট দ্রব্যই গৃহস্থের বিশেষ বিশেষ পৰ্ব্বাহে বা যজ্ঞাদিতে ব্যবহার করিতেন। এই সকল মিষ্টান্নে স্থনিপুণ স্ত্রীশিল্পের পরিচয় পাওয়া যাইত। নারিকেলের চিড় জিরা এবং গঙ্গাজলী নামে সন্দেশ আজিও পূর্ববঙ্গে প্রসিদ্ধ। আমার বাল্যকালে এছাড়া আর কোন মিষ্টান্ন আমাদের দেশে প্রচলিত ছিল না। আর এ সকল বাজারে মিলিত না। বালকের চরিবেলাই ভাত খাইত। প্রাতঃকালে গরম ভাত এবং ঘিই আমাদের প্রধান খাদ্য ছিল । ইহার সঙ্গে মাঝে মাঝে ইসের ডিম ভাতে কিম্বা কোন তরকারী ভাতেওঁ পাইতাম । দশটার সময় স্নানান্তে আবার ভাত ডাল ও একট। মাছের তরকারী দিয়া মধ্যাহ্ন ভোজন সমাপন করিয়া ইস্কুলে যাইতাম। ইস্কুল ছুইতে ফিরিয়া আসিয়া বৈকালে আবার ভাতই খাইতাম । এ সময় নিরামিব ব্যঞ্জনাদিই বেশী থাকিত । আমার এক জ্যেঠাইমা আমাদের বাড়ীতে ছিলেন । আমার আপনার জ্যাঠা বা কাকা কেউ ছিলেন না। এই জ্যাঠাইম আমাদের পরিবারভুক্ত ঠিক ছিলেন না। তবে তাহার সস্তানাদি কেউ ছিল না । অসহায় বৈধব্যে বাবা তাহাকে আমাদের বাড়ীতে আসিয়া থাকিতে অনুরোধ করেন। এই ভাবেই ইনি আমাদের পরিবারভুক্ত হইয়া যান এবং জীবনের শেষ পর্য্যস্ত আমাদের বাড়ীতেই অতিবাহিত করেন । ইহার পাকশালে যে নিরামিষ রান্না হইত আমাদের ইস্কুল হইতে আসিয়া খাইবার জন্য তাহা রাখা হইত। এইরূপে মধ্যাহ্ন আহার অপেক্ষা এই বৈকালের আহারেই বেশী তরিতরকারী মিলিত । ( وعلا ) আমাদের বাসায় আমরা প্রায় আট দশ জন বালকছিলাম। অনেকেই আমাদের সম্পর্কিত ; দু একজন প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১০৬৪ [ २१* छ१, sग थ७ একেবারে নিঃম্পর্কিতও ছিলেন। শহরে থাকিয়া লেখাপড়া শিখিবার কোন ব্যবস্থা ইহাদের ছিল না বলিয়া ইহাদের অভিভাবকের বাবাকে আসিয়া ইহাদের শিক্ষার ব্যবস্থার সুবিধা করিয়া দিতে অনুরোধ করেন। আমাদের প্রাচীনের অন্নদান অপেক্ষাও বিদ্যাদানকে পুণ্যতর কৰ্ম্ম বলিয়া ভাবিতেন । এ সম্বন্ধে বাবা কোনদিন কোন অনুরোধ সাধ্যাতীত না হইলে অগ্রাহ করিতেন না। এইজন্য আমার নিজের ভাই না থাকিলেও সম্পর্কিত এবং অসম্পর্কিত প্রায় আট দশজন বালক আমাদের বাসায়ু থাকিয় লেখা পড়া শিখিতেন। প্রতিদিন ইস্কুল ছুটি হইলে আমরা সকলে একসঙ্গে খাইতে বসিতাম। মা প্রায়ই নিজের হাতে আমাদিগের সকলকে খাওয়াইয়া দিতেন । একটা বড় গামলায় একরাশ ভাত লইয়া বসিতেন আমরা বৃত্তাকারে তাহার সম্মুখে ও পাশে বসিয়া যাইতাম । আমার ভগিনীও আমাদের সঙ্গে বসিয়াই খাইত ৷ এ খাওয়ানর কথা জীবনে ভুলিব না। মরণেও তুলিয়া যাইব কিনা জানিনা। কারণ এ কেবল সামান্য ভাতডাল খাওয়ান ছিল না। ইহা আমাদের পরিবারে একরূপ প্রতিদিনের বাৎসল্য-উৎসব ছিল । আর এ কথা মনে আছে ও চির দিন মনে থাকিবে এইজন্য যে, এই খাওয়ানের ভিতর দিয়া আমার মায়ের চরিত্রের একটা দিক আশ্চৰ্য্যরূপে ফুটয়া উঠিয়াছিল। কত বছর ধরিয়া এইরূপে দিনের পর দিন ইস্কুল হইতে আসিয়া সকলে মিলিয়া মায়ের হাতে খাইয়াছি । কিন্তু একদিনও আমি মায়ের সন্তান বলিয়৷ এক কণা মাছ বা অন্ত সুস্বাদু বস্তু অপর অপেক্ষ ষেশী श्राद्दे नाइँ । भूभाग्न अपौग्न श्हेप्न थाइँ...उ बनिम्नाश्,ि श्रृङ्कर्ड বিলম্ব সয়না, কতবার চাহিয়াছি, যে প্রথম গ্রাস আমার মুখে পড় ক, কিন্তু সেই বৃত্তের মধ্যে আমি পাশেই বলি আর মাঝখানেই বসি, যেখালেই বসিন। কেন, সৰ্ব্বদাই অপর সকলের পরে মায়ের হাত আমার মুখের কাছে আসিত। ইহাতে আমি চটিয়া যাইতাম। মা কেবল এই খাওয়াইবার সময় নহে অন্য সময়েও বাড়ীতে কোন বিশেষ খাবার হইলে বা বাবার মস্কেলদিগের নিকট হইতে