পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శిలీని এখুনি বেরোতে হবে, সেই মেয়েটর অস্থখের আজ বড় বাড়াবাড়ি। যাহোক একটা কিছু ব্যবস্থা আজ সারাদিনের মধ্যে ক’রে ফেলতেই হবে।” গৌরী খাত ও বইট নামাইয়। রাখিয়া বলিল, “মাসিম, আমরা আপনার কিছু সাহায্য করতে পারি না ?” মাসিমা বলিলেন, “না মা, এ তোমাদের মত কচি মেয়ের কাজ নয় । আমাদের পোড়-খাওয়া হাড়েই এসব কাজ সাজে ।” চঞ্চল হৈমবভীর ঘর হইতে একটা মোট চাদর ও ছোট ব্যাগ আনিয়া দিল। হৈমবতী ব্যাগটা কাপড়ের ভিতর লুকাইয়। চাদরটা আপাদমস্তক মুড়ি দিয়া রাস্তায় বাহির হইয়া পড়িলেন ; সঙ্গে গাড়ী কিম্ব লোকজন কিছুই লইলেন না। আজ দশ বৎসর এই ভাবে একলা একলাই তিনি পথে ঘাটে ঘুরিয়া কাজ করিয়া আসিতেছেন । তিনি বলিতেন “গাড়ী চড়তে আর লোকের মাইনে দিতে আমার যা খরচ হ’বে, তাতে আমার তিনটে মেয়ের খরপোধ কুলিয়ে যায়।” হৈমবতী বাহির হইয়া গেলে চঞ্চল বলিল, “মালিমার কিন্তু ধন্যি সাহস ভাই ! ওই এদেfপড়া গলির ভিতর রাজ্যের মুসলমান বস্তি পেরিয়ে দিনের পর দিন একলাটি হেঁটে যাওয়া-আসা করছেন। আমরা হ’লে ভয়েই মরে ভূত হ’য়ে যেতাম।”

  • গৌরী বলিল, "গরীবের দেশে কাজ করতে হ’লে এমনি ক’রেই করতে হয়। ঢাকাই শাড়ী প’রে মোটর চড়ে দরোয়ান পাইক সঙ্গে ক’রে যত দিন আমাদের দেশের মেয়েরা সৌখীন দেশোদ্ধার করবে তদিন দেশের কোনো আশা নেই ।”

চপল বলিল, “মেয়েদেরই শুধু শুধু গাল দিচ্ছ কেন ? জামাদের দেশের পুরুষরা যে পুরুবজ্ঞের বড়াই করেন, তারা ত সব দেশের কাজ করতে গিয়ে ট্রাভলিং এলাওন্স’ যত নেন, চাকরী কবুলে তার সিকিও মাইনে পেতেন না ।” झकला दणिल, “निखाब्रिीमि,ि छूभि पनि डाइँ, একটু খাড়া হ’য়ে উঠতে পারতে, তাহ’লে তোমাকে একট। প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ృరిలి8 [ ২৭শ ভাগ, ১ম so দেশেদ্ধোরের চাকরী আমি কোনো রকমে জুটয়ে দিতাম । বেশ ছ পয়দা হাত ক’রে নিতে পারতে। পরকালের জন্তে আর ভাবনা থাকৃত না ।” নিস্তারিণী অতি সহজ অল্পবুদ্ধি মানুষ । সে বলিল, বাবা! আমি ভাই, ক অক্ষর জানি না, দেশোদ্ধার وية ؟ করব কোথা থেকে ?” চঞ্চগা বলিল, “ওম, তাও জান না, নিস্তারিণী-দি } লেখাপড়া শিখলেইত মেম হ’য়ে যাবে। ষে যত মুখুা হয়, সেই তত সহজে দেশোদ্ধার করতে পারে। এই সনাতন প্রথা ।” নিস্তারিণী বলিল, “কেন ভাই, বোকা মানুষ দেখে ঠাট্ট করছ? ওসব তোমাদের কাজ তোমরাই কোরে । অনেক দুঃখু ভোগ করেছি; আবার নূতন জালে জড়াতে চাই না ।” গৌরী বলিল, “নিস্তারিণী দিদি, তোমার কিন্তু এক দিকে কপাল ভাল। কোথাকার চাটগায়ের মেয়ে তুমি, কলকাতা সইরে মাসিমার কাছেই বেছে বেছে এসে জুট লে কি ক’রে ?” নিস্তারিণী বাতগ্রস্ত শরীরটা অনেক কষ্টে গেীরীর দিকে ঘুরাইরা বলিল, “সে-কথা আর বল কেন ভাই ? আর জন্মের অনেক পাপের সঙ্গে একটা কিছু বড় পুণ্য করেছিলুম যার জোরে এমন লক্ষ্মীর পায়ে ঠাই মিলেছে। দেখতে একে কুচ্ছি ত ছিলুম, তার উপর আবার একটা প৷ বাকী ; কাজেই সহজে যে পার করা যাবে না তা বাপ মা বেশ জানতেন । বাবার সাতটি মেয়ের শেষে জন্মেছিলুম যেমন রূপ তেমনি কপাল নিয়ে । ছয় মেয়ের বিয়ে দিতে দিতেই বাবার বাড়ীখানা বাধা পড়ল, মার হাতে শাখা সম্বল হ’ল, জমিজমা সব বিক্ৰী হ’য়ে গেল । তার উপর স্যাকর। আর মুদির তাগিদে ত বাড়ীশুদ্ধর প্রাণান্ত হ’বার যোগাড় । অত ঠেলা আর সইবে কেন ? বাবা শেষে মরে হাড় জুড়োলেন ; কিন্তু ভাইগুলিকে গেলেন পথে বসিয়ে । সৰ্ব্বস্ব বেচলেও ধারশোধ হ’বার উপায় রইল না। যে বোনগুলোর জন্তে তাদের এমন দশা হ’ল তারা তখন সবাই বেশ চাকুরে স্বামীর ঘর কৰছে,