পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ) সম্পাদকের চিঠি ૨86: অন্ত উদ্দেশ্যে নির্মিত হইয়াছিল। লীগের ইন্টায়হাশঙ্কাল লেবার আফিস (অন্তর্জাতিক শ্রমসম্পৰ্কীয় আফিস) তাহার জন্য নিৰ্ম্মিত বৃহৎ অট্টালিকায় অবস্থিত। ইহা বৃহৎ, কিন্তু ইহার স্থাপত্যের প্রশংসা করিতে পারা ষায় না । ইহার একটি সোপানাবলীর পার্থস্থত দেওয়ালে রঙীন কাচের বৃহৎ ছবি আছে। তাহাও আমার উংকৃষ্ট মনে হইল না । বাহিরে যে কয়েকটি প্রস্তরমূৰ্ত্তি আছে, তাহাও মূৰ্ত্তিশিল্পের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন নহে । এই লেবার অফিসে আমি দুই একবার মাত্র গিয়াছিলাম। তাহা হইতে ইহার সম্বন্ধে কোন প্রামাণিক মত প্রকাশ করা যায় না। তবে, আমি যেমন ইউরোপের কোন কোন দেশে কয়েকদিন মাত্র থাকিয় তাহাদের সম্বন্ধে কিছু লিখিতেছি, তেমনি কোন প্রতিষ্ঠান দুই একবার দেখিয়া ও যাহা মনে হইয়াছিল, তাহ বল। চলিতে পারে—তাহার মূল্য যাহাই হউক। একট। ধারণ আমার এই হইয়াছিল, যে, এই অফিসে প্রাচ্যদেশের লোক খুব কম। এটা শুধু ধারণা নয়, ইহার অকাট্য প্রমাণ আছে। পৃষ্টান্ত স্বরূপ জাপান ও ভারতবর্ষের কথা বলিতেছি। জাপান স্বাধীন দেশ, পৃথিবীর প্রবলতম চারিটি দেশের একটি। লীগে জাপান টাকাও দেয় বিস্তর । কিন্তু দেখিলাম, একটি ছোট কামরায় কেবল দু'জন জাপানী ভদ্রলোক কাজ করিতেছেন। তাহাদিগকে আমি বলিলাম, জাপানের পক্ষ হইতে যত লোকের আফিসে কাজ করা উচিত তত লোক নাই। তাহারাও বলিলেন, যে, জাপান সম্বন্ধে রিপোর্টাদি লিখিবার জন্য দুটি মানুষ যথেষ্ট নহে। ভারতবর্ষেরও কেবল ছুটি মাচুর্য অত বড় আফিসে কাজ করেন। তাহার মধ্যে আবার ঐযুক্ত রজনীকান্ত দাস অস্থায়ীভাবে কাজ করিতেছিলেন। কোন স্থায়ী কাজ তিনি পাইবেন কি না, এখনও ঠিকৃ হয় নাই। রিপোর্ট লেখা তাহার কাজ । তাহার জন্য র্তাহাকে আফিসের সময় ছাড়া অল্প সময়েও থাটিতে হইত, দেখিয়াছি। কুরিয়ান নামক আরএকটি ভারতীয় লোক এই অফিসে কাজ করেন। ইনি ত্রিবাঙ্কুড়ের লোক। ইহঁার কাজ স্থায়ী। এই অফিসের ইউরোপীয় কতকগুলি কৰ্ম্মচারীকে গল্পগুজব করিয়া সময় কাটাইতে দেখিয়াছিলাম । छ: ब्रछनौकांछ प्राण আগে হইতে সময় নির্দিষ্ট করিয়া একদিন এই আফিসের ডিরেক্টর মস্ত আলবেয়ার টমার সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছিলাম। ইনি ফ্রান্সের লোক । মস্ত টমা নমস্কার ও করকম্পনানন্তর তাহার কামরায় আমাকে বসাইলেন । কথা বড় <েশী গুইল না । তিনি অবাধে ক্ৰত ইংরেজী বলিতে পারেন না। সাধারণ নানাবিষয়ে ২৩ মিনিট কথা হইবার পর তিনি এরূপ ভঙ্গী করিলেন মনে হইল, যে, তিনি নিজের কাজে প্রবৃত্ত হইতে চান। আমি তখন তাহকে বলিলাম, আপনার বড় ব্যস্ত লোক, আপনাদের সময় নষ্ট করিব না। তাহাতে তিনি সায় দিলেন । বলিলেন না, “ন! মশায়, এমন আর কি ব্যস্ত ? বসুন না,” ইত্যাদি । ভদ্রত। অনেক সময় আমাদিগকে প্রকৃত মনোভাব গোপন করিতে বাধ্য করে । তিনি যে তাহা করিলেন না, ইহা এক দিক দিয়া ভাল বটে। কিন্তু আমি বিদেশ হইতে লীগের নিমন্ত্রণ গিয়াছিলাম ; স্বদেশ সম্বন্ধে বিশেষজ্ঞ না হইলেও, সম্পূর্ণ অজ্ঞও নহি ; সুতরাং ভারতবর্ষ সম্বন্ধে তিনি আমাকে এক-আধটা প্রশ্ন ও করিতে পারিতেন। কিন্তু ইহার সেরূপ কোন কৌতুহল দেখিলাম না। বোধ হয় সরকারী রিপোর্ট এবং ইংরেজ ও অন্য হউরোপীয়দের লেখ ভ্রমণ-বৃত্তাত্ত ও অন্যান্ত বহিষ্ট ভারতবর্ষ সম্বন্ধে জ্ঞানলাভের জন্য ইহার যথেষ্ট মনে করেন। অন্তর্জাতিক শ্রম আফিসের ডেপুট ডিরেক্টার মিস্টার