পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] দুই বার রাজা SDNS অবস্থা আর এর বেশী কি সঙ্গীন হবে ? দু'মাসের মাইনে দেবার শেষ তারিখ উৎরে গেছে দেখে নাম লাল কালিতে কেটে দিয়েছে। সরোজ বল্লে—তুমি ফ্রি না ? ছ’ হাত দিয়ে বুকের ঘাম মুছে অমর বল্লে—ত হ’লে স্বপারিশ লাগে,—ঐ যে মোড়ের তেতলা বাড়ীর বারান্দায় বসে যিনি মোট চুরুট টানেন তার। তিনি আর প্রিন্সিপাল ত আমার আর এই ছেড়া কাপড়, বদ্ধক দেওয়া ছু-খানি সোনার বালা, এই ঝুল-ঝোলা নোংরা দাত-বের-করা খোলার ঘরটা দেখতে আসেন নি। অ'বুজি একটা করেছিলাম বটে, স্বপারিশ ছিল না ব’লে বাতিল হ’য়ে গেল । সোজা হ’য়ে আজো ধেন দারিত্র্য তার সত্য পরিচয় দিতে শেখেনি। আর মহীনকে চেন ত –বাইকে যে আসে-ফ্রি। বাড়ী থেকে মাইনে বাবদ যা টাকা আসে, তা দিয়ে “পিকাডিলি' টিন কেনে, সেলুনে ব’সে দাড়ি কামায় । মা হতাশ হ’য়ে বল্পে-উপায় কি হবে তবে ? যেন হঠাৎ একটা বাড়ীর ভিৎ খ’সে গেল ; কাদায় ব’লে গেল চলন্ত গাড়ীর চাকা । অমর বললে—ভিজিট পাবে না জেনে ডাক্তার যখন স্বাকৃড়ায় ভোটক-গন্ধওলা খানিকট নাইটিক এসিডের মতো কি ফেলে ব'লে গিয়েছিল এ রোগে কেউ মরে ন, তখন আশ্বস্ত হ’য়ে আমাকে তোমার বুকে নিয়ে কি বলেছিলে ? বলেছিলে—ঠাকুর তোকে বঁচিয়ে রাখুন, এইটুকুই শুধু চাই। বেশ ত, আবার কি ! কাল যদি ফের টান ওঠে, তোমার এ ভূতুড়ে হাতুড়ে ডাক্তার না ভাস্কৃলেও বেঁচে উঠব । পরে টোক গিলে ফের বাল্প—তোমার সেই ঠাকুর উড়ে ঠাকুরদের মতই বাজে রাধুনে মা। হয় খালি ঝাল, নয় খালি মুন। পরিবেশন করতে পৰ্য্যস্ত ভালো শেখেনি । জামাটা খুলে ফেল্পে। ছাব্বিশ ইঞ্চি বুক, কঞ্চির মত হাত পা, পিঠটা কুজে, মাথার চুলে চিরুণী পড়ে না, —তবু মনে হয় যেন একটা উদ্ধত তর্জনী । মা পাখাক’য়ে ঘামটা মেরে বুকে পিঠে হাত বুলিয়ে به حسسه 3 দিতে লাগলেন। যেমন ক’রে পুরুত তার নারায়ণ শিলা গঙ্গাজলে ধোয় —ততখানি যত্নে । সরোজ বল্লে—তা কি হয় ? সামান্য কটা টাকার জন্য “কেরিয়ার” মাটি করার কোনো মানে নেই। আমি দেব টাক, মাইনে দিয়ে দিয়ে ফাইনগুছু । মা’র বুকের ওপর গা এলিয়ে দিয়ে অমর বল্লে— কিছু লাভ নেই তাতে। তা ছাড়া পালেণ্টজও নেই। হথায় দু' বার ক’রে টান ওঠে— বানান ভুল নিয়ে ঘোষমাষ্টারের সঙ্গে তর্ক করা অবধি প্রক্সিও চলে না.আর, খালি আমাকে জব্দ করার চেষ্ট ৷ ‘গোষ্ট্র’কে যদি অনবরত ‘ঘোই’ ব’লে চলে একঘণ্টা ধ’রে,—তা জার যার সহ হোক, আমার হয় না ভাই। বিনয় সহকারে প্রতিবাদ করলাম, মাষ্টার ত রেগেই লাল । প্রিন্সিপালকে গিয়ে নালিশ—আমি নাকি অপমান করেছি। আমি বললাম—‘উনি গোষ্টকে বলেন ‘ঘোষ্ট’, ‘পিয়াসকে বলেন ‘পায়াস”— তাই শুধু জিজ্ঞেস করেছিলাম ও উচ্চারণগুলি কি ঠিক ? উনি ভাবলেন, ওঁর বাড়ী বরিশাল ব’লেই বুঝি ঠাট্টা করছি আমি। সরোজ বল্লে—প্রিন্সিপ্যাল কি বল্লেন । —বল্লেন, প্রোফেলার তোমায় চেয়ে ঢের বেশী জানেন। তাকে করেক্ট করবার তোমার রাইট নেই। ফের এমন বেয়াদবি কর ত ফাইন করব। অদ্ভুত । তাছাড়া, আমি বিরক্ত হ’য়ে গেছি, সরোজ । একটু থেমে বল্লে-আমি কি বিরক্ত হ’য়ে যে গেছি, তুমি তা ভাবতেও পারবে না। আমাদের যিনি পোয়েটি, পড়ান, তিনি আবার উকিল । চাপকান পরে ছুটতেছুটতে হাজির, এক গাদা পানে মুখটা ঠাল,—কাঁটুসের ‘নাইটিঙ্গল পড়াবেন। ডাক্তার যেমন ছুরি দিয়ে মড়া কাটে ভাই, তেমনি ক'রে কবিতাটা দ’লে পিষে দুমড়ে চটুকে একেবারে কাদা-চিংড়ি ক’রে ছাড়লেন। ওঁর ব্যাখ্যা শুনে এত ব্যথা লাগল, যে মনে হ’ল বেচারা কীটস যদি ছাত্র হয়ে শুনত ওঁর পড়, ত বেঞ্চিতে কপাল ঠুকে ঠুকে আত্মহত্যা করত। কি সে চেঁচানি, পানের ছিবড়ে ছিটকে পড়ছে-ভয়ে নাইটিজলের প্রাণ থ হয়ে গেছে। ‘ক্ষ’ এর কথা যেখানে আছে, সেখানটাৰ এলে ওঁর কি