পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওয় সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ-মুসলমানভুখ্রিষ্ঠ প্রদেশের সংখ্যা বৃদ্ধি 88ፃ অংশীদার জুটাইতে চাহিতেছেন কেন ? তাহারাও ত ৰৗরপুরুষ ; এবং তঁাহাদের সংখ্যা আফগানদের দশগুণেরও বেশী। আফগানর রাজা হইলে স্থখসম্পত্তির প্রধান অংশটা তাহারাই লইবে । তার চেয়ে ভারতীয় মুসলমানরাই সব কিছু একচেটিয়া করিয়া ফেলিলে মন্দ হয় না । ভারতবর্ষের সীমার একদিকে আফগানিস্থান যেমন স্বাধীন, আর এক দিকে নেপালও তেমনি স্বাধীন । আফগানিস্থানের নৃপতির মত নেপালের নৃপতিও "হিজ, ম্যাঞ্জেষ্টী" বলিয়া ইংরেজীতে উল্লিখিত হন। নেপালের লোকসংখ্যা হুইটেকারের পঞ্জিকা অনুসারে ৫৬,৩৯,৯২, চেম্বাসের এন্সাইক্লোপীডিয়া অনুসারে ৫৫ লাখ এযং ভারতীয় সেন্সাস রিপোর্ট অনুসারে ৫৬ লাখ ; মোটামুটি আফগানিস্থানের সমান। সাহস,রণনৈপুণ্য ও যুদ্ধামুরাগেও গুর্থার। আফগানদের চেয়ে একটুও নিকৃষ্ট নহে। কিন্তু ভারতীয় হিন্দুদের মধ্যে একজনও কখনো সানন্দে বলে নাই, যে, ইংরেজরা ভারতবর্ষ হইতে চলিয়া গেলে নেপালীর ভারতবর্ষ জয় করিবে । ওটা ভারতীয় হিন্দুদের কল্পনাঞ্জল্পনার বিবয়ই নহে। ভারতীয় হিন্দুরা মনে করে, ষে, ইংরেজরা চলিয়া গেলে ভারতবর্ষ স্বাধীন হইবে, এবং আফগানিস্থান ও নেপাল, তিব্বত ও চীন প্রভৃতির সহিত বন্ধুভাবে বাস করিবে। স্বদেশের স্বাধীনত কামনা সবাই করে। অনেক ভারতীয় মুসলমানও নিশ্চয়ই করেন। কোন কোন ভারতীর মুসলমান যদি ভারতবর্ষকে স্বাধীন দেখা অপেক্ষ আফগানের অধীন দেখিতে ইচ্ছুক, তাহার কারণ কি এইরূপ একটা চিন্তা বা ভাব, “আমরা যখন ভারতবর্ষে প্রধান বা প্রভু হইতে পারিব না, কারণ হিন্দুর সংখ্যায় বেশী, তখন বরং আমাদের ধর্শ্বভাই স্বাক্ষগানরা হিন্দুদের রাজা উক, তবু যেন হিন্দুরা স্বাধীন বা প্রধান না হয়” ? এইরূপ হিংস্কটে স্বভাব চীনদেশের মুসলমানদের নয় । ভারতীয় মুসলমানরা ভারতবর্ষের অধিবাসী-সমূহের মধ্যে শতকরা বত জন, চীনের মুসলমানরা চীনের মোট অধিবাসীর তার চেয়ে অনেক কম অংশ। ভারতবর্ষে মুসলমানদের যতটা প্রভাব প্রতিপত্তি, চীনে মুসলমানদের তার চেয়ে অনেক কম। তথাপি চীনের কোন মুসলমান নিজের দেশকে আফগান, পারসীক, জারব বা তুর্ক দ্বারা বিজিত ও অধিকৃত দেখিতে ইচ্ছা করিয়াছে বলিয়া কখন কোথাও পড়ি নাই, শুনি নাই । অনেক ভারতীয় মুছলমানের এই যে পরদেশী পরদেশী ভাব, ইহার জন্য আমরা কেবল মাত্র মুসলমানদিগকেই দোষ দি না । তাহাদের দোষ আছে। তাহাদের অনেকে ভারতীয়ের বংশধর বলিয়া প্রকৃত পরিচয় দেওয়া অপেক্ষ বিদেশীর বংশধর বলিয়া মিথ্যা পরিচয় দেওয়া পছন্দ করেন। অনেকেরই স্বদেশী মুসলমান ও হিন্দু অপেক্ষা বিদেশী মুসলমানের প্রতি কাৰ্য্যতঃ দরদ বেশী। কিন্তু অনেক হিন্দু যে ভারতবর্ষকে কেবল নিজেদেরই দেশ মনে করেন, সেট। তাদের ভুল ও দোব। র্তাহাদের মধ্যে অনেকে যে মুসলমানদিগকে অবজ্ঞেয় ও অস্পৃপ্ত এবং সমান সমান ব্যবহারের অযোগ্য মনে করেন, সেটাও তাহাদের দোষ ও छूल । _ মুসলমানভুয়িষ্ঠ প্রদেশের সংখ্যা বৃদ্ধি এমন প্রদেশ ভারতবর্ষে কয়েকটি আছে, যাহার অধিবাসীদের মধ্যে অৰ্দ্ধেকের অধিক মুসলমান। যেমন বাংলা, পঞ্জাব । উত্তরপশ্চিমসীমান্ত প্রদেশেও মুসলমানরা সংখ্যায় বেশী, কিন্তু উহার শাসনকৰ্ত্তার পদ গহর্ণরের মত নহে এবং উহার ব্যবস্থাপক সভাও নাই । বালুচীস্থানও ঐস্কপ প্রদেশ । এই দুটি প্রদেশকে গযর্ণয়শাসিতও ব্যবস্থাপকসভাযুক্ত প্রদেশে পরিণত করা হউক, মুসলমানদের এই একটি দাবী । সিন্ধুদেশে মুসলমানের সংখ্যা অৰ্দ্ধেকের উপর । উহা এখন বোম্বাই প্রদেশের অস্তগত এবং বোম্বাইয়ের লাট ও ব্যবস্থাপক সভার অধীন। মুসলমানরা চান, যে, সিন্ধুকে বোম্বাই হইতে আলাদা করিয়া উহার একজন স্বতন্ত্র গবর্ণর নিযুক্ত করা হউক এবং উহার আলাদা ব্যবস্থাপক সভাও হউক। এই তিনটি নূতন গবর্ণরশাসিত ও ব্যবস্থাপকসভাযুক্ত প্রদেশের দাবীর একটা কারণ এই, যে, হিন্দুর। এই প্রকারের অনেকগুলা প্রদেশে সংখ্যাভূমিষ্ঠ, অতএব মুসলমানদেরও আরও কতকগুগ এইরূপ প্রদেশে সংখ্যাঙ্কুষ্ঠি হওয়া চাই। কিন্তু দুঃখের বিষয়, নূতন তিনটা "গবর্ণরের প্রদেশ”