পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

86.8 প্রবাসী-আষাঢ়, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড হইলে সাক্ষীদিগকে বিপ্লবীরা খুন করিবে।” ইহা বহুবারখণ্ডিত পুরাতন মিথ্যা যুক্তি। ইহার অসত্যতা "বিপ্লবীদের” বহু আধুনিক প্রকাগু বিচারে প্রমাণিত হইয়া গিয়াছে। সৰ্ব্বাপেক্ষ আধুনিক কাকোরী ষড়যন্ত্রের মামলা । ইহার বিচার এক ষৎসরের অধিক কাল ধরিয়া চলিয়াছিল । আড়াই শত লোকের সাক্ষ্য লওয়া হইয়াছিল। কিন্তু তাহীদের কেহ নিহত হওয়া দূরে কাহারও গায়ে নখের আঁচড়ট পৰ্য্যস্ত লাগে নাই । শাসক জাতিসকলের সেনাদল অস্ত্রশস্ত্র অর্থবল এবং স্বার্থরক্ষার জন্ত সুশৃঙ্খল দলবদ্ধতা ও একতা আছে। কিন্তু এ সকল সত্ত্বেও তাহারা ভীরু । যাহারা সত্য ও ন্তায়কে পদদলিত করে, তাহারাও সত্য ও ন্যায়ের শক্তি ও শ্ৰেষ্ঠত কাৰ্য্যতঃ স্বীকার করিতে বাধ্য হয় ; কারণ, তাহারা মিথ্যা কথা বলিয়া প্রমাণ করিতে চেষ্টা করে, বে, তাহারা ন্যায় ও সত্যের অমুগত আচরণ করিয়াছে । ভারতবর্ষের লোকেরা যে কিরূপ প্রকৃত নেতৃত্ববিহীন, কিরূপ একতাশূন্ত,তাহাদের কিরূপছত্রভঙ্গ অবস্থ, তাহা এই রাজবন্দীদের ব্যাপার হইতেই বুঝা যায়। রাজনৈতিক যত রকম মত ও দল দেশে আছে, তাহার সংবাদপত্রসমূহে বিনাবিচারে কাহাকেও বন্দী করা নিন্দিত হইয়াছে। অথচ এবিষয়ে সকল দলের সম্মিলিত কৰ্ত্তব্য নির্ণয়ের কোন চেষ্টা হয় নাই। হইবে কেমন করিয়া ? দেশের কল্যাণ, দেশের সম্মানরক্ষা ত প্রখম, প্রধান, বা একমাত্র লক্ষ্য নয়। লক্ষ্য জলকে বড় করা, এবং “নেতাদের” ব্যক্তিগত প্রতিপত্তি ও স্বার্থ রক্ষা করা। আমাদের নৈতিক অধঃপতনেরও অনেক প্রমাণ আছে । একটা এই – - মি: যতীন্দ্রমোহন সেন গুপ্ত বলিয়াছেন, বাংলাদেশে যে-সব নারী গুণ্ডাদের দ্বারা অপহৃত ও অত্যাচরিতা হয়, তাহাদের সকলে বা অধিকাংশ আগে হইতেই ভ্ৰষ্ট ছিল বলিয়া এরূপ হয়। লর্ড লিটন যাহা বলিয়াছিলেন, তাহা ভারতনারীদের এরূপ কোন নিৰ্ম্ম নহে, এবং তিনি পরে ভারতনারীদের সতীত্বগৌরব কোন প্রকার "যদি” ৰ “কিন্তু বর্জিত ভাবে মুক্ত কণ্ঠে স্বীকার করিয়াছিলেন। তথাপি র্তাহার প্রতি সকল দলের সকল কাগজে ও বক্ততমঞ্চ হইতে কত কটু কথা বর্ধিত হইয়াছিল। মিঃ সেনগুপ্ত উক্ত প্রকার জঘন্য কথা যে বলিয়াছেন, তাহ তিনি অস্বীকার করিতে পারেন নাই, কিম্বা তাহার জন্য का चौकांब एकून नाहे । देश डिनि वैषडौ ग:ब्राणिनौ নাইডু, ডাঃ কুদ্দীন কিচলু প্রভৃতির সম্মুখে বলিয়া ছিলেন। তথাপি তাহার নিন্দ কয়ুখানি কাগজে, কও বক্ত তামঞ্চ হইতে হইয়াছে ? "মাকড় মারিলে ধোকড় হয়”, প্রবাদের ইহা একটি উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত । সুভাষচন্দ্র বস্থর মুক্তি ঐযুক্ত স্বভাষচন্দ্র বস্তুকে যে কোন প্রকার সর্তে আবদ্ধ না করিয়া মুক্তি দেওয়া হইয়াছে, তাহ অতীব্র সন্তোষের বিষয় । ইহা সরকার বাহাদুরের দয়। নহে। কারণ, যে ব্যক্তি কোন দোষ করে নাই, তাহাকে বিনা বিচারে বন্দী করিয়া রাখাটাই অস্বাভাবিক ব্যাপার। অস্বাভাবিক হী সুভাষচত্র বন্ধ ব্যবহার হইতে স্বাভাবিকতার দিকে অগ্রসর হইলে তাহাকে দয়া বলে না। ইহা সৰ্বকার বাহাদুরের ন্যায়নিষ্ঠার দৃষ্টাস্তও নহে । কারণ, যদি স্বভাষচন্দ্রকে যদী করা অন্যায় হইয়াছে বুঝিয় তাহাকে সৰ্বকার থালাস দিতেন, তাহ হইলে তাহাকে স্বাস্থ্যভঙ্গের ওজু খাতে খালাস দেওয়া হইত না ; বলা হুইত, তিনি নির্দোব, অতএব থালাস দেওয়া গেল । স্বাস্থ্যভজের ওজুহাতটাও সম্পূর্ণ সত্য মনে হয় না ; কারণ,