পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8৬২ প্রবাসী—শ্রোবণ, ১৩৩৪ [ २१* छां★, »श थ७ তথাপি ধিংশতি বৎসর পর্য্যন্ত সৈন্ত রক্ষিত হইতে পারে এতট। অর্থ সৰ্ব্বদ। তিনি কোষে সঞ্চিত রাথিবেন [ “দণ্ডভূভাগ শুন্ধৈস্তু বিনা কোশাদ বলন্ত চ। সংরক্ষণং ভবেৎ সম্যগ, যাবদ বিংশতি বৎসরম্। তথা কোশন্তু সন্ধার্যা: স্বপ্রজা-রক্ষণক্ষম?" ॥ ( ৪২৷১৩ ) অর্থ ব্যসনে ‘‘প্রণয়” সংজ্ঞক করাদি রাজকোষের যতট। আয় হইবে তদপেক্ষায় অল্প ব্যয়ে শাসনকাৰ্য্য সমাধা করিয়া রাজা অবশিষ্ট নীীবী নামক ধনকোষে প্রবেশ করাইয়া রাখিবেন, যেন বিপদে ভদ্বারা উদ্ধারের উপায় উদ্ভাবিত হইতে পারে। পূৰ্ব্বে একবার কথিত হইয়াছে যে, রাজা শাস্ত্রণমুমোদিত কর ব্যতীত অন্য কোন অত্যাচারমূলক করাদি নিরুপল্লব সময়ে সংগ্ৰহ করিতে পারিবেন না। কিন্তু রাজ্যে যুদ্ধাদিরূপ কোন উপদ্রব ও উপপ্লবাদি উপস্থিত হইলে কিম্ব রাজকোষে কোন কারণে ধনের হ্রাস লক্ষিত হইলে, তিনি প্রজাবর্গকে তাহা না জানিতে দিয়া, কিরূপ কৌশলে কোযবৃদ্ধির চেষ্টা করিতেন তাহার কিছু উল্লেখ এই স্থানে করা হইতেছে। এইসমস্ত উপায় সম্পূর্ণভাবে স্বায়াহুমোদিত ন হইলেও বিপদ-সময়ের আত্যয়িক উপায় বলিয়া তাহা ক্ষস্তব্য বিবেচিত হইতে পারে। দুগুতঃ আনায্য হইলেও, রাজা যে ইহা অবলম্বন করিয়া রাজকোষ পূর্ণ রাখিবার চেষ্টা করিতেন, তাহা হইতে ইহাই প্রতীয়মান হয় যে, পূৰ্ব্বে নৃপতিগণ প্রচলিত শাস্ত্রবিহিত করাদির আয় দ্বারা অনেক সময় রাজ্যশাসন কাৰ্য্য স্থসম্পন্ন করিয়া উঠিতে সমর্থ হইতেন না,— তাই অর্থব্যসন উপস্থিত হইলে রাজগণ যে যে উপায়ে কোষ পূর্ণ করিতে পারেন তাহারও বর্ণনা প্রাচীন রাজনীতি-শাস্ত্রে লিখিত পাওয়া যায়। ঐতিহাসিকগণ অবগত আছেন যে, প্রাচীন রাজার কেহ কেহ অর্থক্কচ্ছে, পড়িয়া অবিশুদ্ধ ধাতু মুদ্রাও নিৰ্ম্মাণ করাইয় তাহ বাজারে প্রচলিত করাইয়াছেন । মুসলমান আমলেও প্রত্যেকের বাধ্যতামূলক যে কর রাজদেয় ছিল তাহা ‘আসল' বলিয়া গৃহীত হইত এবং অর্থব্যসনসময়ে রাজা যে অতিরিক্ত কর উঠাইয়া লইতেন তাহাকে “আবওয়াব’ বলা হইত "। প্রাচীন রাজগণ এইরূপে যে অতিরিক্ত কর সংগ্রহ করিতেন—তাহার নাম ছিল ‘প্রণয়’-কর, ইহা মাগিয়া বা যাচ ঞা করিয়া লইতে হইত। কি কর্ষক শ্রেণী, কি বণিক শ্রেণী যাহাদের উপর যে হারে ভাগ ও করাদি দেওয়া নিয়মিত ছিল কুচ্ছ সময়ে তাহাদের নিকট হইতে তদপেক্ষ বৰ্দ্ধিত হারে করাদি যাচ ঞ দ্বারা বাড়াইয়া লইতে পার। যাইত । কর্ষকগণের নিকট ষড, ভাগের পরিবর্তে তৃতীয় বা চতুর্থ ভাগও যাচিত হইত। এই অতিরিক্ত করের সংগ্রহ-ব্যাপারে অরণ্যজাত দ্রব্য ও শ্ৰোজিয়ের অর্থ স্পৃষ্ট হইতে পারিত না । অনেক বিপদের সময় রাজস্ব-বিভাগের রাজকৰ্ম্মচারিগণ কৃষকগণ দ্বারা গ্রীষ্মে ক্ষেত্রের অতিরিক্ত আবাদ করাইয়াও অর্থলাভের উপায় করিয়া লইতেন । এমন-কি কুশীলব ( নাট্যব্যবসায়ী ও রূপাজীব ( বেশু ) নিজ নিজ স্বেীপার্জিত ধনের অৰ্দ্ধভাগ রাজাকে বিপদ সময়ে দিতে বাধ্য হইত। মনে রাখিতে হইবে যে, এই বৰ্দ্ধিত হার অস্থায়ী । বৎসরে একবায়ের অধিক এইরূপ প্রণয় করের সংগ্ৰহ নিবিদ্ধ ছিল । বাসন কাটিয়া গেলেই পূৰ্ব্ব প্রচলিত হারে কর চলিতে থাকিবে । এইভাবে বিশেষ অর্থলাভ ন হইলে, সাধনীয় কোন প্রয়োজনীয় কার্য্যের ভাণ করিয়াও রাজা সমাহৰ্ত্তার সহায়তায় পৌরজনপদগণের নিকট হইতে অর্থ ভিক্ষা করিতে পারেন এবং নিজ কৰ্ম্মচারিগণকে সৰ্ব্বাগ্রে সেই কার্ধ্যের নিম্পাদন জন্য চাদারূপে অতিমাত্রায় অর্থ দেওয়াইতেন । তৎপর ধনাঢ্য ব্যক্তিদের নিকট নগদ টাকা চাদণরূপে চাৰ্ছিয়া লইতেন । রাজকোষের এইরূপে কৃচ্ছ সময়ে যাহারা অর্থ-সাহায্য করিতেন রাজা তাহাদিগকে পদ-পদক-ভূষণাদিরূপ বহুমান চিহ্ন প্রদান করিতেন। অর্থব্যসনে পাষণ্ড দ্রব্য, সংঘৰ্দ্ৰব্য ও দেবত্রব্যও ছলে গৃহীত হইত। দেবতাধ্যক্ষের সমায়তা লইয়া রাজা নগরে ও জনপদে প্রতিষ্ঠিত দেবতাগণের সম্পত্তি ও অর্থও একত্র সংগৃহীত করাইয়া লইতেন । অনেক সময় এক রাত্রির মধ্যেই দেবতার চৈত্য ও সিদ্ধ পুরুষের পীঠস্থান নিৰ্মাণ করাইয়া তৎসমীপে যাত্ৰা-তামাসার ব্যবস্থা করাইয়াও অর্থ সংগ্রহের উপায় করিতেন। দেবতা ও দানবের নানারূপ দৃষ্টি-ভয় দেখাইয়া তৎপ্রতীকরার্থ নগদ টাকা উঠাইয়া লইয়। তস্থারাও রাজকোযে অর্থাগমের