পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8\,8 প্রবাসী-শ্রাবণ, ১৩৩৪ [ २१* छांशं, »भ थे ? ধনাগম স্থানের অধিপতিরূপে তিনি কাজ করিতেন । রাজবিধি অনুসারে প্রাপ্য যাবতীয় রাজস্বের সমাহরণকার্ধ্য এই অমাত্যের উপর ন্যস্ত থাকিত । তাহার একমাত্র লক্ষ্য থাকিত কেমন করিয়া রাজ্যের আয় বৃদ্ধি ও ব্যয় সংক্ষেপ হয়। তদ্বিপরীত কিছু হইলে তাহার প্রতীকীর-চেষ্টাও তাহার কর্তব্য। প্রত্যেক জনপদের চতুর্ভাগের উপর স্থানীক নামক যে রাজকৰ্ম্মচারী নিযুক্ত থাকিতেন এবং ইহার অধীনস্থ হইয়া দশগ্রামাধিপতি বা পঞ্চগ্রামাধিপতিরূপে গোপনামক রাজ-পুরুষ কাৰ্য্য করিতেন তাহারা সকলেই এই সমাহৰ্ত্তার তত্ত্বাবধানে থাকিয়া রাজাদের কর-শুদ্ধাদি সংগ্ৰহ করিতেন । কিন্তু দুর্গ বা নগরের স্থানীক ও গোপগণ সমাহৰ্ত্তার তত্ত্বাবধানে না থাকিয়া atsifarsa ( City-governer) stva stfat its a সংগ্ৰহ করিতেন । নগরের গোপগণের অধিকার স্থানবিশেষে দশকুল, বিংশতিকুল অথবা চত্বারিংশং কুলের উপর বিস্তৃত। সে যাহা হউক,—কোন গ্রাম বা কুল হইতে রাজার কি পরিমাণ ধান্ত, পশু, হিরণ্য কুপ্য ও বিষ্টি উত্থিত হয়, কোন গ্রাম বা কুল পরিহার (কর-মুক্তি) ভোগ করে, কোন গ্রাম বা কুল সৈন্ত-বিভাগের জন্ত কত লোক ধোগাইয়া দেয়, কোন গ্রাম বা কুলের সীমা কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত, নানাবিধ শস্তাদির উৎপত্তি জন্য কোন গ্রামে কত প্রকার ক্ষেত্র আছে, কোথায় কতটি কর্ষক, গোরক্ষক, বণিক, কারুকর, কৰ্ম্মকর ও দাস আছে, এবং কত দ্বিপদ ও চতুষ্পদ জন্তু আছে, প্রত্যেক বাড়ীতে কত সংখ্যায় কুলপুরুষ ও কুলস্ত্রী আছে এবং তন্মধ্যে কাহার কত বয়স, ব্যবসায় ও চরিত্র, কাহার কিরূপ জীবিকা দ্বারা কত আয় ও কুটুম্ব ভরণের জন্য কাহার কত ব্যয় ইত্যাদি বিষয়গুলি এই কৰ্পচারিগণ নিবন্ধ-পুস্তকে (record) লিখাইয়। রাখিতেন। নিয়মিত ভাগধেয় ও শুষ্কাদি সংগ্ৰহ করিতে অসমর্থ হইলে সমাহৰ্ত্ত প্রদেষ্ট-পুরুষদের সহায়তা লইয়া প্রজার নিকট হইতে রাজস্ব আদায় করিয়া লইতে পারিতেন । অর্থ লোভে রাজকৰ্ম্মচারিগণ রাজার প্রাপ্য অর্থের কোনরূপ ক্ষয় ঘটাইয়া দেন এবং প্রজাবর্গের উপর অত্যাচার ও উৎপীড়ন না করেন তজ্জন্ত সমহত্ত্বগণ নানা-ব্যঞ্জন-গুঢ় পুরুষদের সাহায্য লইয়া কাজ করিতে পারিতেন। शंiगंगिंक यङ्ठि श्मिांद ब्रकक★र्भ প্রত্যেক বিভাগীয় অধ্যক্ষকে তাহার অধীনস্থ কাৰ্ম্মিক কারণিক প্রভৃতি কৰ্ম্মচারী দ্বারা যথা-সময়ে নিজ বিভাগের সৰ্ব্বপ্রকার আয়-ব্যয়ের হিসাব নিবন্ধ-পুস্তকে লিখাইয়৷ লইতে হইত এবং বংসরে নির্দিষ্ট সময়ে তাহ অক্ষপটলে ( record office ) গণনানিযুক্ত রাজপুরুষদের (গাণনিকদের ) উৰ্দ্ধতন কৰ্ম্মচারী মহাক্ষপটলিকের নিকট উপস্থাপিত করিতে হইত। যথাসময়ে হিসাব না দিতে পারিলে কার্যের প্রকার-ভেদে অধ্যক্ষগণের ষিভাগীয় হিসাব-রক্ষকগণকে হিসাব প্রস্তুত করিবার জন্য অতিরিক্ত সময় লইয়াও দিতে পারা যাইত। হিসাবে ভুল-ভ্রাস্তি লক্ষিত হইলে তাহাদিগকে, এমন-কি, র্তাহাদের অধ্যক্ষকেও দওভোগ করিতে হইত এষং রাজসরকারের কোনরূপ ক্ষতি হইলে তাহাদিগকে তাহ যথানিয়মে পূরণ করিয়া দিতে হইত। রাজকোষ হইতে অর্ধ ব্যয়ের মুল ক্ষমত কাহাতে পৰ্য্যবসিত ? রাজকোষ হইতে প্রজাহিতকর প্রয়োজনীয় কার্ধ্যে অর্থ ব্যর করার জন্ত মূল দায়িত্ব কাহার ছিল এই প্রশ্ন স্বভাবতঃই মনে উদয় হইতে পারে । বৰ্ত্তমান সময়ে রাজস্ব-সচিবই ( Finance Member ) প্রধানতঃ রাজস্ব *ff; (Finance Committee) hotto & ortoto দায়ী ও ক্ষমতাবান এবং প্রজার যোগক্ষেমবহু কাৰ্য্যবলীতে অর্থ-ব্যয়ের অর্থ নির্দেশ তিনিই করিয়া দিতে পারেন সত্য, কিন্তু ব্যবস্থাপক-সভার সভ্যগণের অনুমোদন ও সমর্থন না পাইলে অনেক বিষয়ে তিনি সেই খরচ করিয়া বা করাইয়া লইতে পারেন না। তারপর শাসনকৰ্ত্তাদের যে অসীম ক্ষমতা রহিয়াছে, তত্ত্বারা তাহারা সৰ্ব্বপ্রকার আয়-ব্যয়ই সিদ্ধ করিয়া লইতে পারেন। প্রাচীন কালেও দেখা যায় যে, নূতন দুর্গ-নগর-জনপদ-নিবেশ, নূতন ক্ষেত্রাদির আবাদ, কি সদ্ধি-বিগ্ৰহাদিরূপ ব্যয়বহুল ক্রিয়াকলাপে ভজন্তু তৎতা-বিভাগীয় সরকারী অধ্যক্ষগণের সহিত পরামর্শ করিয়া সন্নিধাতু-নামক ষে প্রধান অমাত্যের কথা এই মাত্র বলা হইয়াছে, তিনি না হয় রাজকোষ হইতে প্রয়োজনীয় অর্থ বাহির করিয়া দিলেন,