পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] পরভৃতিক 8bo পত্র সব বেশ পরিপাটি করিয়া গুছাইতে লাগিল, তাহ। না করিলে সব জিনিষ ইহার ভিতর কুলায় না। কাপড়চোপড় নাড়ানাড়ি করিতে করিতে দুই টুকৃরা রেশম বাহির হইল। একটি ফিকা নীল রংএর অন্তটি সোণালী। নিজের ব্লাউস তৈয়ারী করিবে বলিয়া কৃষ্ণা এ দুটি টুকৃরা কলিকাতা হইতে কিনিয়া আনিয়াছিল, কিন্তু ছুটীর মধ্যে আলস্ত করিয়া আর সে কিছু করে নাই। এখন হঠাৎ এগুলির উপর চোখ পড়াতে তাহার মাথায় একটা বুদ্ধি আসিল । ভাবিল, “এইগুলো দিয়ে লীলার একট, বেলার একটা জাম হ’য়ে যাবে। কিছু খেলো জিনিষও হবে না, বেশ দামী সিন্ধ । তা হ’লে এখনকার মত টাকার টানাটানির হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়। থোকাকে এখান থেকেই কিছু ভাল দেখে কিনে দেব এখন । কিন্তু সময়ই বা কোথা ? অাজ দুপুরেই যদি লাবণ্যর ওখানে গিয়ে সেলাই স্বরু করি, তা হ’লে; হয়। দেখা যাক্ ।” ইতিমধ্যে ভূভ্য ফিরিয়া আসিয়া খবর দিল যে, ধোপা আর ঘণ্টাথানেকের মধ্যেই কাপড় লইয়া আসিবে। খানিকট নিশ্চিস্ত হইয়া কৃষ্ণ তখন স্নান করিতে চলিয়া গেল । স্নান করিয়া, ভাড়াতাড়ি ভাল ভাত যাহা পাইল, মুখে দুটা শুজিয়া, সে রেশমের টুকুর দুটি ও শেলাইয়ের সব সরঞ্জাম লইয়া লাবণ্যদের বাড়ী যাইবার জন্ত পথে বাহির হইয়া পড়িল। আর বেশী দেরি করিলে হয়ত গরমের জন্য আর রাস্তায় চলাই যাইবে না । লাবণ্য বলিল, “কিরে, হঠাৎ যে এমন অসময়ে f” কৃষ্ণ বলিল, “মহা কাজ নিয়ে এসেছি। লীলা, বেলার এ জামা দুটো কালকের মধ্যে শেষ করতেই হবে। তোর প্যাটান বইট। শিগগির বার কর।” সারা দুপুর কেবল কাটা, জোড়া দেওয়া, সেলাই করা চলিতে লাগিল। দুই সখীরই ধেন আর নিশ্বাস ফেলিবার সময় নাই। লীযণ্য মাঝে একবার নাওয়াখাওয়া করিতে উঠিয়া গেল। তাহার ছোট ভাই বোনরা স্থ-চার বার ঘরের ভিতর ঘোরাঘুরি নাচানাচি করিয়া - بيكسجيا مة গেল, কিন্তু কৃষ্ণার বিষম গম্ভীর ভাব দেখিয়া আর বেশী কিছু করিতে সাহস করিল না। - বিকালের দিকে কৃষ্ণার ঘাড় পিঠ সব ব্যথা করিতে আরম্ভ করিল। আর কাজ করা চলিবে না বুঝিয়া সে জিনিষ-পত্র গুছাইয়া উঠিয়া পড়িল। লাবণ্য বলিল, “এই চা খেয়ে য! সারাদিন বসে থেকে ঠিক এই সময় উঠ ছিস যে বড় ? এখন তোকে না খাইয়ে ছেড়ে দিলে ম। আমাকে খুব বক্বেন।” কৃষ্ণ মিনতি করিয়ু বলিল, “ন ভাই যাই এখন। গরমে মাথা কেমন করছে, বাড়ী গিয়ে আর একবার স্বান করব। আর ধোপাটাও কাপড় দিয়ে গেল কিনা দেখতে হবে। আমার আবার কালকের মধ্যে সব গোছগাছ হওয়া চাইত ? পরশু মুদি ওরা গাড়ী রিসার্ভ পায় ত পরশুই চলে যাবে, সেদিন আর কিছু গোছাবার সময় পাবে না ।” লাবণ্য বলিল, “তা হ’লে কাল রাত্রে এসে আমাদের সঙ্গে খাবি, কথা দিয়ে যা। কবে থেকে ভাবছি, তোকে একদিন খেতে বলব, তা এর অসুখ, ওর অস্থখ লেগেই আছে । আর এই ছোট ফ্রকূট। রেখে যা, আমি ওটা শেষ ক’রে রাখব।” কৃষ্ণ রাজী হইয়া জিনিষ-পত্ৰ লইয়া বাহির হইয়। পড়িল । বাড়ী ফিরিয়া দেখিল, ধোপা কাপড় দিয়া গিয়াছে বটে, কিন্তু তাহার খুব ভাল একটা ঢাকাই শাড়ী দেয় নাই। চাকর আসিয়া খবর দিল যে, ধোপ বলিয়াছে শাড়ী সে কাল পরশুর মধ্যে নিশ্চয় আনিম্ন দিবে,*আচ্ছাসে তৈয়ার” হয় নাই বলিয়া সে আজ জানে নাই। “পরশু আসলে ত আমি কৃতাৰ্থ হয়ে যাব একেবারে,” বলিয়া বিরক্তিতে ভ্র কুঞ্চিত করিয়া সে বিছানার উপর বসিয়া পড়িল । গরমে তখন তাহার মাথা ঘুরিতেছিল। একখানা খবরের কাগজ পাট করিয়া বাতাস খাইতে খাইতে সে ভাবিল, “এত রোদের মধ্যে না এলেই পাৰ্বতাম।” থানিক পরে উঠিয়া পড়িয়া সে স্নান সারিয়া আসিল । কালে চুলের রাশে বাতাস করিতে করিতে জিনিষপত্ৰ cभाझांनञ्च भन लिन । cवजा छू8िञ्च पञ्चब्र लिङग्न छूकिल्ला