পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] সম্পাদকের চিঠি ©$Ꮌ করিতে দিলেন না। ভিয়েনার বক্তৃতাও তথনকার মত ডাক্তার মহাশয় বন্ধ করিয়া দিয়াছিলেন, যদিও আমরা পৌছিয়া দেখিয়াছিলাম, উদ্যোক্তার সহরময় দেওয়ালে বড় বড় ইস্তাহার দিয়াছে এবং খবরের কাগজেও বিজ্ঞাপন দিয়াছে। বক্তৃত৷ বন্ধ হওয়ায় আশাভঙ্গজনিত উত্তেজনাও হইয়াছিল । কিন্তু ডাক্তার ওয়েঙ্কে ব্যাকু সব দায়বুকি নিজের ঘাড়ে লইয়াছিলেন। কবি পরে ভিয়েনায় বক্তৃতা দিয়াছিলেন, হাঙ্গেরীর রাজধানী বুডাপেস্থেও গিয়াছিলেন । সেখানকার অধিবাসী হাঙ্গেরীয়গণ বংশত হুন ও প্রাচ্য। এইজন্য তাহারা রবীন্দ্রনাথকে নিজের লোক বলিয়া দাবী করে । বলা বাহুল্য, রবীন্দ্রনাথ তথায় যেরূপ সংবৰ্দ্ধনা পাইয়াছিলেন, তাহা অতুলনীয়। কয়েকদিন ভিয়েনায় থাকিবার পর আবার জেনীভ যাইবার সময় হইল। একদিন সন্ধ্যার পর ট্রেনে উঠিলাম। শ্ৰীমান প্রশাস্ত আমার নিকট হইতে পাচ শিলিং লইয়া ট্রেনের কণ্ডাক্টবুকে দিলেন এবং আমাকে প্রাতে এক পেয়ালা কোকো এবং দিনের বেলা অল্প পানীয় খনিজ জল দিতে বলিলেন । তাহার দাম পাচ শিলিং হয় না । কিন্তু বাকীট। সে ব্যক্তিকে বকৃশিশ দেওয়া হইল, ইহা উহ রহিল । সে পরদিন সকালে এক পেয়ালা কোকো দিয়াছিল, ছোট এক বোতল খনিজ জলও দিয়াছিল, কিন্তু দুপুর বেলা জুরিকে ট্রেন বদলাইবার সময় বলিল, “আপনি কোকো ও জলের দাম বাবতে আমার তিন শিলিং ধারেন, আপনার বন্ধু আমাকে যে পাচ শিলিং দিয়াছিলেন সেটা আমার বকৃশিশ!” লোকটার সঙ্গে দরদস্তুর করিতে ভাল না লাগায় তাহাকে তিন শিলিং দিলাম । বলিয়াছি, দুপর বেলা জুরিক্ পৌছি। তাহার আগে ভোর রাত্রে জীবনে প্রথম তুষার-আচ্ছাদিত ভূমি ও বৃক্ষাবলী এবং তুষারপাত দেখি। পাৰ্ব্বত্য প্রদেশের ভিতর দিয়া যাইতে ঘাইতে দেখিলাম পাহাড়ের গা শাদী। আর একটু আলো হইবার পর দেখিলাম, পাইনগাছের ভালপালাগুলাও শাদ এবং সমতলভূমির উপরও কে cवन ठून इफ़ॉरेष्ठा बिाहरु । उषन चांभांब भtन श्रेण, বোধ করি রাত্রে তুষারপাত হইয়াছে। কিন্তু তখন অক্টোবর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ চলিতেছে। তখন কি আল্পসের পাৰ্ব্বত্য অঞ্চলেও এত শীত হইতে পারে ? এইজন্ত মনে সন্দেহ হইতেছিল, যে, সত্য সত্যই তুষার পড়িয়াছে কি না। কিন্তু যখন প্রভাতে সেণ্ট এণ্টন ফ্ল্যাম । এলেবর্গ ষ্টেশনে ট্রেন থামিল, তখন আর সন্দেহ রহিল না ; দেখিলাম পাতল পেঙ্গা তুলার মত হাস্ক তুষার রেলের কৰ্ম্মচারীদের লম্বা লম্বা কাল কাল কোটের উপর পড়িতেছে। পরে জেনীভায় চিঠি পাইয়া জানিতে পারি, যে, আমি ভিয়েনা ছাড়িবার দুদিন পরে সেই সহরেও তুষার পড়িয়াছিল। ভিয়েনা হইতে ধে-ট্রেনে জেনীভ যাইতেছিলাম, তাহার গাড়ীগুলা উষ্ণ বাষ্প বাহী নলের দ্বারা গরম রাখা হইতেছিল। জুরিক পেছিবার পর, একটা জেনীভাগামী গাড়ী কাটিয়া ষ্টেশনের স্বপ্রশস্ত ময়দানে রাখিয়া দিম, ট্রেনট। অন্যদিকে চলিয়া গেল। অন্য ট্রেন সেই গাড়ীটাকে নিজের সঙ্গে যুক্ত করিয়া জেনীভ যাইবে । ট্রেন হইতে বিচ্ছিন্ন গাড়ীট। ক্রমশ: ঠাগু হইতে লাগিল। আমি দীর্ঘকাল গরম গাড়ীতে থাকার পর সেই ঠাও। গাড়ীতে প্রচণ্ড শীতে প্রায় দেড়ঘণ্ট। রেলের ময়দানে দিলাম । যখন প্রায় রাত্রি নয়টার সময় জেনীভ পৌছিলাম, তখন বৃষ্টি হইতেছিল। ষ্টেশন হইতে নামিয়া হোটেলে যাইবার সময়ও কিছু ভিজিয়াছিলাম। জেনীভ পেছিবার পরদিন সন্ধ্যার আগে বেড়াইবার সময় খুব জোরে বৃষ্টি আসিয়াছিল । তাহাতেও হয়ত ঠাও। লাগিয়াছিল । সম্ভবতঃ ইনফ্লুয়েঞ্জার বিষ আগেই কোথাও হইতে সংগ্ৰহ করিয়াছিলাম। cखनौङञ्च हेन्श्वश्च श्ईल । उीश १८ब्र छदणू बिछेমোনিয়ায় পরিণত হয় । প্রথম বার জেনীভা থাকা কালে যে-হোটেলে ছিলাম, এবারেও সেইখানেই ছিলাম। এই হোটেলের নিরিখ অন্ত অনেক হোটেলের তুলনায় কম হইলেও আমি এই হোটেলে যেরূপ যত্ব *ाँहेम्नांश्लिांभ ७ श्रांब्रांभ *ांशेष्ठांझिलाभ, अछ ८काशाe তাহ পাই নাই । ইহার অধ্যক্ষের ভাল খৃষ্টান বলিয়া খ্যাতি আছে এবং প্রত্যেৰ কামরা ইংরেজী