পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&8 প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড দ্বারা পরীক্ষিত হইয়া জাহাজliহইতে নামিতে পারিব। শীঘ্রই তাহ ঘটিল। জেনীভ হইতে আমি শ্ৰীমান প্রশাস্ত মহলানবীশের পরামর্শ অনুসারে কলম্বোর বাণিজ্যশুদ্ধ আফিসের আস্ততম কৰ্ম্মচারী শ্ৰীযুক্ত সিন্নাটান্ধীকে চিঠি লিখিয়াছিলাম। আনন্দ কলেজের চিত্রবিদ্যাশিক্ষক শ্ৰীযুক্ত মণীন্দ্রভূষণ গুপ্তকেও চিঠি লিখিয়াছিলাম এবং এখানে বাড়ী হইতেও তাহার কাছে তার গিয়াছিল। ডাক্তারের পরীক্ষা শেষ হইবার পর বাহিরে আসিবামাত্র একটি যুবক আমাকে ইংরেজীতে জিজ্ঞাসা করিলেন, "আপনি কি মিঃ চট্যার্জি ? আমি সিয়াটাম্বী।” আমি উহাকে ধন্যবাদ দিয়া তখন জিনিষপত্র লইয়া তাহার সহিত একটি নৌকায় বাণিজ্যগুৰু আফিসে গেলাম। সেখানে জেটিতে নৌকা লাগিবার আগেই দেখি, মণীন্দ্রবাবু দাড়াইয়া আছেন। বহুদিন পরে বাংলা কথা বলিয়া বড় স্থখ হইল। মণীন্দ্রবাবু আগে হইতেই স্থত ও কাপড়ের কলের অন্যতম কৰ্ম্মচারী শ্ৰীযুক্ত ভূপেন্দ্রনাথ বস্থর বাসায় আমার থাকিবার বন্দোবস্ত করিয়া রাখিয়াছিলেন । বাণিজ্যশুত্ব অফিসে একটুও দেরী হইল না। তাহার পর শ্ৰীযুক্ত সিয়াটাম্বী আমাকে ভূপেন্দ্রযাবুর বাসায় পৌছাইয়া দিলেন । ভূপেনবাবু তখনও মিল হইতে বাড়ী আসেন নাই । তাহার পত্নী কল্যাণীয়৷ শ্ৰীমতী আভাময়ীর সহিত পরিচিত হইলাম । দেখিয়াই বুঝিলাম, তিনি আমার কন্যাদের চেয়ে ছোট । তথাপি *আপনি” বলিয়া কয়েকবার কথা বলিলাম । তিনি তাহাতে বাধা দিয়া বলিলেন, “আমাকে আপনি বলিবেন না । " তখন হইতে “তুমি” আরম্ভ হইল। ভূপেন বাবুর বাড়ীতে র্তাহাদের গুণে চিরপরিচিত আত্মীয়ের মত ছিলাম। দীর্ঘকাল পরে বাঙালীর বাড়ীতে থাকিতে পাইয়। বড় জারাম বোধ হইল । গুরুতর পীড়ার পর জাহাজে নিঃসঙ্গ অবস্থায় আসায় আমার বিশ্রাম করিতেই তিন দিন কাটিয়া গেল, কলম্বে দেখা হুইল না । ২৫শে নবেম্বর সন্ধ্যার পর কলম্বো ষ্টেশনে রেলগাড়িতে চড়িলাম ৷ পর দিন প্রাতে তালাইমায়ার ষ্টেশন পৌছিলাম । সেখান হইতে জাহাজে অল্পপরিসর প্রণালী পার হইয়া ভারতবর্ষের ধন্থম্বোটি বম্বরে আলিতে

  • †.

হয়। এই জাহাজে আমাদের দেশী লোকেরা যেরূপ তন্ন তন্ন করিয়া আমার জিনিষপত্র উল্টাপাট করিয়া পরীক্ষা করিয়া ছিল এরূপ ইউরোপে কোথাও কেহ করে নাই। ধন্থক্ষোটিতে রোদে ট্রেনদাড়াইয়াছিল। কোথাও গাছপালা বা অল্পকিছুর ছায়া নাই। তৃষ্ণ পাওরায় বরফ লেমনেড চাহিলাম। ট্রেনের লোক দুই তিন বার বলিল, আন্‌ছি আন্‌ছি, কিন্তু আনিলন। কলম্বো হইতে টমাস কুকের মারফৎ তার করিয়া গাড়ীতে জায়গা রিজার্ড করিয়াছিলাম, এবং ইহাও নিশ্চিত, ধে, সে তার ধনুষ্কোটি পৌঁছিয়ছিল ; কেননা, রেলের একটি কৰ্ম্মচারী আমাকে পারের ষ্টীমারেই আপন হইতে বলিয়াছিলেন, “আপনার তার পাওয়া গিয়াছে।” কিন্তু গার্ডকে জিজ্ঞাসা করায় সে তাচ্ছিল্যের সহিত বলিল সে কিছু জানে না । বাস্তবিকও দেখিলাম, অনেক গাড়ীতে অনেক ইংরেজের নাম লেখা কার্ড লাগান রহিয়াছে, কিন্তু যে কৰ্ম্মচারীটি জাহাজে আমাকে আমার তার প্রাপ্তির সংবাদ দিয়াছিলেন তিনি অনেক অনুসন্ধান করিয়াও আমার নামযুক্ত কার্ড কোথাও দেখিতে পাইলেন না। তখন ঐরুপ একটা কার্ড একটা খালি গাড়ীতে লাগাইয়। দিলেন । পারের জাহাজে বাণিজ্যশুদ্ধ বিভাগের দেশী কৰ্ম্মচারীদের ব্যবহার (ইংরেজদের প্রতি সেরূপ ব্যবহার হয় নাই ), ষ্টেশনে গার্ডের তাচ্ছিল্য, ট্রেনের ভোজনকক্ষের বরফলেমনেডওয়ালাদের অমনোযোগ, ইত্যাদি হইতে বুঝিতে বাকী রহিল না, যে, আমি আবার "আমার দেশ” নামক ভূখণ্ডে আসিয়াছি ; নতুবা এত সম্মান আদর আর কোথায় সম্ভবে ? সেতুবন্ধরামেশ্বরের মন্দিরের এক পাণ্ড যাত্রী ংগ্ৰহ করিতে ষ্টেশনে আসিয়াছিলেন । তাহার নাম মোতীরাম। আমাকে অনেক পীড়াপীড়ি করিলেন ; কিন্তু আমি তখন ঘরমুখো। এ যাত্র রামেশ্বরম দেখিবার অভিলাষ ত্যাগ করিলাম। মোতীরাম দয়া করিয়া আমার জন্য একজন বরফলেমনেডওয়ালা ডাকিয়া দেওয়ায় আমার তৃষ্ণানিবৃত্তি হইল ও আমি তাহাকে কিছু বকৃশিস দিলাম। १छ्रझॉछि श्रङ cझ dètन भांक्षांथ चांनिtठ श्ब्र, ठाश्ॉब्र গাষ্ঠীগুলার স্বাক্ষরানি বড় বেশী। বালুম্বাৰ্ত্তীর্ণ অঞ্চল দিয়া রেলগাড়ী জালে বলিয়৷ ধূলা ও গরম বড় খেী ।