পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७०8 প্রবাসী-শ্রাবণ, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড সভ্যতা দিবার জন্য । এখনও যে এই মিথ্যা ধারণার প্রতিবাদ করা আবখ্যক হয়, তাহা হইতেই বুঝা যায় ইংলণ্ডের নামজাদা লেখকরা পৰ্য্যস্ত ইংলগুের ভারতবর্ষ দখল, ভারত শাসন ও ভারতে থাকিবার মূল উদ্দেশ্য সম্বন্ধে কত অজ্ঞ। যাহারা ঠিক কথা জানে, তাহাদেরও কেহ কেহ ঐ সব বিষয়ে কিছু যলিবার সময় অপ্রকৃত কথা বলে । ইংরেজরা ভারতবর্ষে আসিয়াছিল টাকার জন্ত, ব্যবসার দ্বারা ধনী হইবার নিমিত্ত। রাজশক্তিও অর্জন করিয়াছিল ধনী হইবার নিমিত্ত। এখন ইংরেজরা ভারতবর্ষে আছে টাকার জন্য, ব্যবসা বাণিজ্য রক্ষার জন্ত, প্রভুত্ব রক্ষার জন্ত । “আমি প্রভু’ এই বোধেই একটা মুখ আছে ; তা ছাড়া, রাজনৈতিক প্রভুত্ব থাকিলে অধীন দেশের বড় বড় সরকারী পদ দখল করিয়া বেশ রোজগার হয় ; তার চেয়ে নিম্ন পদে নিযুক্ত করিয়াও বিস্তর ইংরেজের বেকার অবস্থা ঘুচান যায়, এবং নিজের দেশের ব্যবসাবাণিজ্যেরও খুব স্থবিধা করিয়া দেওয়া যায়। চীন ভারতবর্ষের চেয়ে বড় দেশ এবং তার লোকসংখ্যাও ভারতের চেয়ে বেশী । অথচ চীনে ইংরেজ নিজের তত জিনিষ বিক্ৰী করিতে পারে না এবং নিজের তত কারখানা স্থাপন করিতে পারে নাই, যত ভারতবর্ষে পারে ও করিতে পারিয়াছে। তাহার একটা প্রধান কারণ, ভারত ইংরেজের অধীন, চীন নর। ইংরেজদের ভারত দখল করিয়া যসিয়া থাকিবার আর একটা প্রধান কারণ এই, যে, ভারতেশ্বর বলিয়াই ইংরেজ এত বড় সাম্রাজ্য গড়িয়া তুলিতে পারিমাছে । ভারতবর্ষের সৈন্ত ও ভারতবর্ষলব্ধ টাকার জোরে ইংলও আরও অনেক দেশকে অধীন করিতে পারিয়াছে। ভারতবর্ষ গেলে প্রকৃত প্রস্তাবে সাম্রাজ্য বলিতে ইংলণ্ডের বিশেষ কিছু থাকিবে না, বর্তমান ঐশ্বৰ্য্যও থাকিযে না। সুতরাং, ইংরেজরা বেশী সভ্য যলিয়া ভারতবর্ষকে নিজের মত সভ্য করিবার নিমিত্ত এদেশে আসিয়াছিল ও এদেশে আছে, এই দুইটাই মিথ্যা কথা। ইংরেজরা ষে যে উপায়ে ভারতের প্রভু হইয়াছে, তাহাও যে উৎকৃষ্টতর সভ্যতার পরিচায়ক, তাহ বলিতে পারি না । তাহাদের কোন কোন শক্তি ও গুণ যে ভারতীয়দের চেয়ে বেশী ছিল, তাহা অবগুস্বীকার্ঘ্য ; নতুবা তাহারা প্ৰভু হইতে পারিত না। কিন্তু এই সব গুণই যে সদগুণ ছিল এবং এই সব শক্তিই যে উৎকৃষ্টতর ধৰ্ম্মনীতিপ্রস্থত, তাহা নহে। এই ক্ষুদ্র প্রবন্ধে এবিষয়ের বিস্তৃত আলোচনা সম্ভব নহে । কৌতুহলী পাঠক মেজর যামনদাস যন্থর লেখা ইংরেজদের ভারত দখল করিবার ও রাজত্ব দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত করিবার ইংরেজী ইতিহাস পড়িতে পারেন। ভারতবর্ষে ইংরেজী শিক্ষার প্রবর্তনও প্রথমতঃ ইংরেজদের দ্বারা হয় নাই। পরে যখন ঈষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী শিক্ষার জন্য কিছু টাকা দিল ও ইংরেজী শিক্ষা প্রবর্তিত হইল, তাহারও প্রকৃত উদেখা ছিল সস্তায় কৰ্ম্মচারী পাওয়া, বিলাতী জিনিষের কাটতি বাড়ান, এবং শিক্ষিতদের মনোভাব বিজাতীয় রকমের করিয়া দিয়া স্বাধীনতার জন্ত বিস্ত্রোহের সম্ভাবন কমান । * ভারতবর্ষকে সভ্য করিবার জন্য ইংরেজরা এদেশে আসে নাই, এবং এখনও তাহাদের ভারতবর্ষে থাকিবার কারণ ও উদ্দেশু আমাদিগকে সভ্য করা নহে । তাহার এখানে আছে টাকার জন্য, প্রভুত্বের জন্য, এবং পৃথিবীব্যাপী ব্যবসা ও সাম্রাজ্য রক্ষণর জন্য ভারতবর্ষ দখল করিয়া থাকা একান্ত আবখ্যক বলিয়। ভারতবর্ষকে সভ্য করিবার নিমিত্ত ইংরেজদের আসিবার প্রয়োজন এই জন্য ছিল না, যে, ভারতবর্ষ অসভ্য দেশ ছিল না, এখনও নহে। তাহার সভ্যতার প্রকৃতি পাশ্চাত্য সভ্যতা হইতে কতকটা ভিন্ন । উৎকর্ষ অপকর্ষের বিচার এখন করিব না। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য উভয়বিধ জীবনযাত্র-প্রণালী,মত, বিশ্বাস, আদর্শ, সামাজিক ব্যবস্থা প্রভূতির দোষ ও গুণ উভয়ই আছে । মোটের উপর কোনগুলা ভাল, হঠাৎ তর্কের ঝোকে বলিলে ভুল হইতে পারে। কিন্তু প্রাচ্য ও প্রতীচ্য উভয় মহাদেশের গত শতাব্দীর দু এক জন লোকের সাক্ষ্য গ্রহণ করা যাইতে পারে । রামমোহন রায় পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের পক্ষপাতী ছিলেন, ধিশুর উপদেশ সংগ্রহ ও অম্বুবাদ করিয়াছিলেন, সতীদাহ নিবারণের জন্য তখনকার বড়লাটের সহায়তা করিয়াছিলেন, এবং তখনকার গোড়ী হিন্দুরা তাহাকে স্বধৰ্ম্মভ্ৰষ্ট ও পাষণ্ড মনে করিতেন। তিনি किरू थऊँौका या ५भ ajकJ, मृछाप्रछांद्वक निङ्गहे बबिब}