পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ve J প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড নিজে ভারতের অল্পের মায়া কাটাইতেও পারেন নাই, স্বদেশ বাদী দিগক্ষে ও ভারত ত্যাগ করিতে বলেন নাই । ইহা হইতে দেখা যাইতেছে, যে, ভারতবর্ষকে সভ্য জানিয়াও তিনি, বার্নার্ড শ’র পরামর্শ অনুযায়ী, ভারত ত্যাগ করেন নাই ; যে যে বিষয়ে ভারতবর্ষ তাহার বিবেচনায় নিকৃষ্ট সেই সব বিষয়ে উৎকৃষ্ট করিবার চেষ্টাও করেন নাই ; অথচ ভারতবর্ষ ত্যাগ করেন নাই। তাহ হইলে তিনি ও র্তাহার সহকৰ্ম্মীর কেন ভারতবর্ষে ছিলেন ? নিশ্চয়ই, অন্ততঃ অংশতঃ, প্রভূত্ব করিবার জন্য ও ধনী श्हेबांद्र छछ । বার্নার্ড শ’র সব কথার আলোচনা করিবার জায়গা নাই, দরকারও নাই। আরো দু-একটা কথা সম্বন্ধে কিছু বলিতে চাই । তিনি লিখিয়াছেন :– Archer went to see, for himself, and instantly and uncompromisingly denounced the temples as the shambles of a barbarous ritual of blood sacrifice, and the people as idolaters with repulsive rings through their noses. তাৎপৰ্য্য। আর্চার (ভারত-জনুরাগী পশ্চাত্যদের কথায় ল তুলিয়া) নিজের চোখে ভারত দেখিতে গেলেন, এবং তৎক্ষণাৎ কোন রফ না DDD DD BBBBB BBBBS BBB BB BBB BBBBBB কসাইখানা বলিয়া এবং ভারতবর্ষের লোক গুলাকে নাকে কুৎসিৎ গয়না-পল্লী পৌত্তলিক বলিয়। নিৰ্ম্ম করিলেন । ভারতবর্ষের মুসলমানাদি অহিন্দুদের কথা ছাড়িয়া দিলাম। হিন্দুদের কথাই বলি। তাহদের দেবমন্দিরসমূহের মধ্যে কালীদুর্গা প্রভৃতি শাক্ত মন্দিরেই পশু বলি হয়, অনেক জায়গায় পশু বলি না দিয়াও দুর্গাপূজা হয় । বাকী অসংখ্য দেবমন্দিরে পশুবলি হয় না । সুতরাং, বদি মন্দিরে বলি হইলে তাহাকে কসাইখানা বলিতে হয়, তাহ হইলেও সমূদয় হিন্দুমন্দিরকে কসাইখানা বলা ঠিক নয় । বলিদান হিন্দুমুসলমান ইহুদী যিনিই করুন, তাহা আমরা বীভৎস বলিয়া মনে করি । কিন্তু বলিদান না করিয়া কেবল উদরপূর্তির জন্য পশুষধই কি বলিদানের চেয়ে ভাল ? যে পশুগুলা হত হয়, তাহাদের পক্ষে বলিদানের জন্ত হত হওয়া বা ८कवण भांश्रयव्र cङाछtनब्र छछ श्ऊ श्eघ्नl७कहे स्थl। তাহারা বলিতে পারে, “প্ৰভু, তোমরা আমাদিগকে মন্দিরে মার, মসজিদে মার, কসাইখানাতে মার, সব জায়গাতেই মৃত্যু মৃত্যুই ।” ভারতবর্ষে সমুদয় শাক্তমন্দিরে যত পশু বলি হয়, ভারতীয় ইংরেজ ফিরিঙ্গীদের প্রাত্যহিক আহারের জন্তু তাই অপেক্ষা কম পশু হত হয় না, বরং বেশী হয়। বলির পশুর মাংস মাহুযে খায়, দেবতা খান না ; কসাইখানার পশুর মাংসও মামুষে খায়। স্বতরাং ইংলণ্ডে কোন মন্দিরে পশু বলি হয় না, ভারতবর্ষে কোন কোন মন্দিরে পশু বলি হয়, বলিয়া ভারতবর্ধটা ইংলণ্ডের চেয়ে অসভ্য দেশ, এটা বাজে কথা। আসল কথা, কোন দেশে কত পশুবধ হয় ? ইংলও ভারতবর্ষের চেয়ে ছোট দেশ। অথচ সেখানে, ভারতবর্ষের হিন্দু যত পশু বলি দেয়, তার চেয়ে অনেক বেশী পশু কসাইথানায় হত হয় ; কারণ, মাংস বিলাতের লোকদের প্রধান খাদ্য কিন্তু তর্ক উঠিতে পারে, দেবতা পশুবধে তৃপ্ত হন, এই বিশ্বাসটা কি কুসংস্কার ও অসভ্য বিশ্বাস নহে ? আমরা মনে করি, ইহা কুসংস্কার ও অসভ্য বিশ্বাস, এবং হন্দুধৰ্ম্মশাস্ত্রের শ্রেষ্ঠ যে প্রাচীন উপনিষদগুলি, তাহা এরূপ কুসংস্কার সমর্থন করে না। এতটুকু বলিয়া পাশ্চাত্যদিগকেও একটা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিতে চাই । নরহত্য পশুহত্যা অপেক্ষ ভাল, ইহা পাশ্চাত্যর বলিতে পারিবেন না। তাহার। কিন্তু, স্বদেশরক্ষার জন্য নয়, নিজের স্বাধীনতা বৃক্ষার জন্য নয়, অন্য দেশ ও জাতিকে অধীন করিবার জন্ম ও তাহাদের ধনে ধনী হইবার জন্য যুদ্ধ করিয়া অসংখ্য মানুষের প্রাণবধ করিয়াছেন, এবং এখনও এই হত্যা কাৰ্য্য চলিতেছে। পাশ্চাত্যদের ভূমিক্ষুধ, প্রভুত্ৰলালসা ও অর্থগৃং তার ফলে আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়া ও আফ্রিকার কত জাতি নিমূল বা প্রায় নিন্মুল হইয়াছে। পাশ্চাত্যদের পক্ষসমর্থনকারী কেহ বলিতে পারেন, কিন্তু এগুলা ত ফলি —নরবলি-নয় ; ভারতবর্ষে যে মন্দিরে, দেবতার প্রীত্যৰ্থ, পশুবলি হয়। তাহার উত্তরে আমি বলি, পশুহত্যার সঙ্গে ধৰ্ম্মর যোগ, দেবতার যোগ,এইটাই ত আপনারা দোষের বিবয় মনে করেন ? আচ্ছা ; যুদ্ধে নরহত্যার সঙ্গে ত আপনারাও আপনাদের ধর্মের যোগ স্থাপন করিয়া uছন। যুদ্ধে যাইবার আগে গির্জায় উপাসনা হয়; যুদ্ধ