পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

§ebe প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৪ [ २१* छां★, sञ ४७ শ সহমরণ প্রথার এবং জগন্নাথের রথের চাকায় আত্মবলিদানের উল্লেখ করিয়াছেন । এই দুটির কোনটিই এখন প্রচলিত নাই। আগে কি কি নিষ্ঠুর রীতি বা কুরীতি কোন দেশে প্রচলিত ছিল, তাহার দ্বারা জাতিবিশেষের সভ্যতা অসভ্যতার বিচার হইতে পারে না। স্ত্রীর, দাসদাসীর, কৰ্ম্মচারীর, ও অন্তান্ত লোকের সহমরণ অতীত কালে ইউরোপে ও অন্য সব মহাদেশে প্রচলিত ছিল । সমাজ-বিজ্ঞান ও নৃতত্ত্ব বিষয়ক বহিতে তাহার বৃত্তাস্ত আছে। ভারতবর্ষে আদিম যুগে ইহার প্রচলন ছিল। বৈদিক সময়ে সহমরণের পরিবর্তে বিধবার দ্বিতীয় পতি গ্রহণ প্রচলিত হয়। তাহার পরবর্তী কোন সময়ে, স্বামীর চিতা হইতে উঠিয়া বিধবাকে “জগ্রে” যাইবার যে আদেশ আছে, তাহা স্বার্থপর লোকেরা “আগ্নেঃ” যাইবার, আগুনে পুড়িয়া মারবার, আদেশে পরিবর্তিত করে। সহমরণ এই প্রকারে আবার প্রবর্তিত হয়। কিন্তু ইহা প্রধানত: বাংলা, অযোধ্যা ও রাজপুতানায় প্রচলিত হয়, দক্ষিণ ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলে ইহা নিষিদ্ধ ছিল, পঞ্জাবেরও সীমান্ত প্রদেশ সকলে চলিত ছিল না। আকবর বাদশাহের আমলে ইহা নিষিদ্ধ হয়। ইংরেজদের আমলে রাজশক্তি তাহদের হাতে ছিল বলিয়া তাহারা ইহা নিবারণ করিতে সমর্থ হয় । কিন্তু তখনকার হিন্দুজাতির শ্রেষ্ঠ পুরুষ রামমোহন রায় এবিষয়ে ইংরেজের সহায় ছিলেন, এবং সতীদাহের বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলন করিয়াছিলেন । রাজশক্তি তাহার মত লোকদের হাতে থাকিলে, কোনও বিদেশীর সাহায্য ব্যতিরেকেও ইহার উচ্ছেদ সাধিত হইত। বার্ণার্ড শ অসভ্যতার প্রমাণ স্বরূপ সতীদাহের উল্লেখ করিয়াছেন, যদিও তাহার মধ্যে স্ত্রীর স্বেচ্ছায় মরণ অনেক ছিল ( যাহার সমর্থন আমি একটুও করি না ) । । কিন্তু তিনি আমেরিকায় লিঞ্চিং নামে পরিচিত নৃশংস নিগ্রোদাহ রীতির জন্য আমেরিকার পাশ্চাত্য লোকদিগকে কেন অসভ্য বলেন না, এবং তাহাদিগকে সভ্য করিবার জন্য ইংরেজদিগকে আমেরিকা দখল করিয়া বসিয়া খাকিতে কেন বলেন না ? জাগে জাগে জগন্নাথের রথের নীচে বৎসরের মধ্যে একবার বা দুইবার কোন কোন লোক নিজেকে নিক্ষেপ করিয়া আত্মহত্যা করিত। তাহাদের সংখ্যা অল্প ছিল । সে-রীতিও এখন আর নাই। তথাপি আমাদের অসভ্যতার প্রমাণ স্বরূপ শ তাহার পুনরুল্লেখ করিয়াছেন । ইংলণ্ডে বাষ্পীয় যন্ত্রের সাহায্যে কারখানা চালাইবার প্রথা প্ৰবৰ্ত্তিত হইবার পর ৬৭৮১• যৎসরের শিশুদের দ্বারাও তথায় অমামুধিক পরিশ্রম করাইয় তাহাদিগকে বিকলাঙ্গ, ব্যাধিগ্রস্ত ও অল্পায়ু করা হইত। প্রধানতঃ লর্ড শ্যাফটুসবেরী (মৃত্যু ১৮৮৫) প্রভৃতির চেষ্টায় এই সব নিষ্ঠুরতা নিবারিত হয়। মানুব ভ্রান্ত ধৰ্ম্মবুদ্ধি বা কুসংস্কার বশত আত্মহত্যা করিলে তাহাও অবশুই গৰ্হিত কাজ এবং অসভ্যতার লক্ষণ ; কিন্তু টাকার জন্য আবালবৃদ্ধবনিতা অপরের অঙ্গবৈকল্য, ব্যাধি ও অকালমৃত্যু ঘটাইলে তাহ কি উহা অপেক্ষাও গর্হিত কাজ ও অসভ্যতার চিহ্ন নহে ? শ রোমানদের দ্বারা বুটনদের পরাজয়ের সহিত ইংরেজদের দ্বারা ভারতীয়দের পরাজয়ের তুলনা করিয়া নিজের বক্তব্য বিশদ করিতে চেষ্টা করিয়াছেন । হিন্দুদের সম্বন্ধে তাহার অজ্ঞভ কত বেশী এবং সেই জন্য র্তাহার তাহাদের প্রতি অবজ্ঞা কত বেশী, তাহা এই তুলনা দ্বারাই বুঝা যায়। রোমান-বিজয়ের সময় ব্রিটনরা ছিল আদিম অবস্থায় । তাহাদের না ছিল সাহিত্যদর্শনাদি, না ছিল সভ্যজনোচিত পরিচ্ছদ, না ছিল অন্যান্স সভ্যতার অঙ্গ। হিন্দুদের এই সব যাহা ছিল, তাহার উল্লেখ নিম্প্রয়োজন। প্রাচীন কালে হিন্দুর নিজেদের দেশের বাহিরে সমগ্র ইউরোপ অপেক্ষা বিস্তৃত ভূখণ্ডে নিজেদের সভ্যতার বিস্তার করিয়াছিল, এবং বিস্তর বর্বর নরখাদক জাতিকে সভ্য করিয়া তুলিয়াছিল। প্রাচীন ব্রিটনর সেরূপ কিছু করে নাই। এ বিষয়ে অধিক লিখিব না। শ ইংরেজদের একজন প্রধান লোক। তিনি যখন ভারতবর্ষ সম্বন্ধে এমন গওমূখ, তখন অন্তে পরে কা কথা ? কোন দেশের লোকদের কি কি বদগুণ, দোষ, गांभांछिरू द १*गशकौञ्च कूर्द्रौङि चांटझ्, ८कबल उiशब्र দ্বারা তাহীদের সভ্যতা অসভ্যতার বিচার করা যায় না ।